Nitish Kumar: ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেটর হতে পারেন মমতা, এই সিদ্ধান্ত মানতে না পেরেই কী জোট ছাড়লেন নীতীশ?
Nitish Kumar: ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেটর হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রকাশ্যে আসতেই ভিডিও বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন নীতীশ
হাইলাইটস:
- ফের এনডিএ শিবিরে নাম লেখালেন নীতিশ কুমার
- ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেটর মমতাকে নামতে না পেরেই কী এমন সিদ্ধান্ত নীতিশের?
- আসল কারণটি তবে কী?
Nitish Kumar: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই ভাঙল ধরে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি(ইউ) প্রধান নীতীশ কুমার এখন গেরুয়া শিবিরে। বিহারের রাজনীতিতে ‘পালটু কুমার’ বলে পরিচিত নীতীশ ফের এনডিএ-এর সাথে জোট বেঁধে সরকার গঠন করলেন।
এর আগে অবশ্যই তিনিই প্রথম বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একছাতার তলায় নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিতে গিয়ে সে রাজ্যের সরকারের সাথে সাক্ষাৎও করেছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সাক্ষাৎ করতে তিনি নবান্নে এসেছিলেন। এত দায়িত্ব সামলেও তিনি কেন হাঁটলেন স্রোতের বিপরীতে?
সূত্রের খবর, জানুয়ারির প্রথমেই ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে বসেন ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলি। সেই বৈঠকে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি না থাকলেও জোটের কো-অর্ডিনেটর হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ভাবা হচ্ছে দেখে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মাঝপথেই বেরিয়ে আসেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।
We’re now on WhatsApp – Click to join
জানা যাচ্ছে, এই রাগেই তিনি ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance) ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। আরও জানা যাচ্ছে যে, ইন্ডিয়া জোটের আহ্বায়ক হিসাবে তাঁর নাম প্রস্তাব করা সত্ত্বেও তিনি তাতে রাজি হননি। বরং রেগে গিয়ে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই ভিডিও কনফারেন্স ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। তারপরেই ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে নীতীশের ফাটল একেবারে স্পষ্ট হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বৈঠকে এই আলোচনার পরেই জোট ছাড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন নীতীশ। তার পরে অবশ্য ইন্ডিয়া জোটের কোনও নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে কিনা, তা জানা নেই। উল্লেখ্য, এর আগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের নাম প্রস্তাব করেছিলেন বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়েও নাকি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন নীতীশ। পরে অবশ্য তাঁকে ফোন করে এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন রাহুল গান্ধী। জানা যাচ্ছে যে, জোট বদলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই ফের বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তার পরেই নাটকীয় অবস্থার সূত্রপাত ঘটিয়ে গত ২৮শে জানুয়ারি, রবিবার এনডিএতে ফিরে ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। তবে তিনি যেন আর জোট বদলের পথে হাঁটতে না পারেন, সেই জন্য তাঁর নতুন মন্ত্রিসভায় নিজেদের দুজনকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রেখেছে বিজেপি।
এইরকম রাজনৈতিক সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।