Modi vs Mamata: ‘কালকেই ভোট হলে দেখিয়ে দেব’, মোদীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ মমতার! প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে কি কি বললেন তিনি?
আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে লক্ষ্য করে তোপ দেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সভা শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে পাল্টা বিঁধতে ময়দানে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
Modi vs Mamata: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বাংলায় এসে তৃণমূল সরকারকে টার্গেট করলেন মোদী
হাইলাইটস:
- বিধানসভা নির্বাচনের এখনও অনেক দেরি, তবে বাংলার মাটিতে ভোটের দামামা বেজে গেল
- গতকাল আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী
- পাল্টা জবাবে বিজেপির বিরুদ্ধেই ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ তুলেছেন মমতা
Modi vs Mamata: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট তৈরি হতে এখনও দেরি আছে। দেরি আছে প্রচারও। কিন্তু ২০২৬ সালের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের যুযুধান দুই নেতানেত্রী গতকাল শুরু করে দিলেন ‘নির্বাচনী যুদ্ধ’। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বাংলায় পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
We’re now on WhatsApp – Click to join
আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে লক্ষ্য করে তোপ দেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সভা শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে পাল্টা বিঁধতে ময়দানে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের পাল্টা যে তিনিই দেবেন, তা স্থির করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ হতেই প্রথমে তৃণমূলের তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল, দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে। কিন্তু খানিকক্ষণের মধ্যেই ফের জানানো হয় যে, নবান্ন থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই সাংবাদিক বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিতে আসরে মমতা
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিতে যে মুখ্যমন্ত্রী নেমেছিলেন, তাঁকে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ দেখিয়েছে। যথেষ্ট কড়া গলাতেই তিনি বলেন, ‘‘দেশের হয়ে যখন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা বিদেশে গিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন, তখন আপনি এখানে রাজনীতি করতে এসেছেন? এটা রাজনীতি করার সময়? আপনার চ্যালেঞ্জ আমি গ্রহণ করছি। পারলে কালকেই ভোট করুন। দেখিয়ে দেব।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘বাংলায় ভোট আসছে। কিন্তু তার এখনও দেরি আছে। তত দিন আপনি ক্ষমতায় থাকবেন কি থাকবেন না, সেটা আগে খেয়াল রাখুন। জেনে রাখুন, বাংলা কোনও দিন বিজেপির হাতে যাবে না!’’
We’re now on Telegram – Click to join
বিদেশনীতি নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রীয় সরকারের পাশেই থেকেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রতিনিধিদলের সদস্য হয়ে বিদেশে গিয়ে বক্তৃতা রাখছেন। বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে অভিষেকের নামও উল্লেখ করেন। কিন্তু সেই সঙ্গে বলেন ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ যদি কারোর কৃতিত্ব থাকে, তা হল ভারতীয় সেনার। অন্য কারও নয়।
Read more:- ‘ওরা বল করলে, আমি তো ছক্কা হাঁকাবোই…’ অক্সফোর্ডে যাওয়ার আগেই বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রীর ৩৯ মিনিটের সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তি ঝাঁঝালো উত্তর দেন তিনি। নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতার অনুপস্থিতি নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন মোদী। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগের বার বৈঠকে আমার মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটা বাংলার মানুষকে অপমান নয়? আমি যদি কথাই বলতে না-পারি, তা হলে মুখ দেখাতে কেন যাব? মধ্যাহ্নভোজ খাওয়ার জন্য আমি কোথাও যাই না।’’ মোদীকে জবাব দিতে গিয়ে মমতার বক্তব্যে উঠে আসে আইপিএল ফাইনাল কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গও। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম করেছেন আর সব খেলা ওখানে নিয়ে চলে যাচ্ছেন! আসল অঙ্ক কী বলব? কী ভাবেন, আমি খেলার খবর রাখি না? সব খবর রাখি।’’
এই রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।