Lok Sabha Election 2024: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কোন সমঝোতা নয়, সাফ জানালেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী
Lok Sabha Election 2024: কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম এবং কংগ্রেস
হাইলাইটস:
- সিপিআইএম ইন্ডিয়া জোটে যাওয়ার পরেই পঞ্চায়েত ভোটে ধাক্কা খেয়েছে বামফ্রন্ট
- ‘ইন্ডিয়া’ জোটে বামেরা থাকায় দলের নিচু তলার কর্মীদের একাংশের মনে ক্ষোভ ও সংশয় দেখা দিচ্ছে
- সুজন চক্রবর্তীর মত বর্ষীয়ান নেতারা বুঝেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে বামফ্রন্ট জোট বাঁধলে তাঁদের ভোটের শতাংশের হার পাঁচ এর নীচে নেমে যেতে পারে
Lok Sabha Election 2024: আর মাস কয়েক পরেই দেশের লোকসভা নির্বাচন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছে দেশের বিরোধী দলগুলি। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম এবং কংগ্রেস। তাহলে কী এ রাজ্যে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা হবে?
সেই প্রশ্নই দানা বেঁধেছে বাম-কংগ্রেসের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে। অন্যদিকে সিপিআইএম ইন্ডিয়া জোটে যাওয়ার পরেই পঞ্চায়েত ভোটে ধাক্কা খেয়েছে বামফ্রন্ট। তবে ভবিষ্যৎ কি? ‘ইন্ডিয়া’ জোটে বামেরা থাকায় দলের নিচু তলার কর্মীদের একাংশের মনে ক্ষোভ ও সংশয় দেখা দিচ্ছে। কারণ ২০১১ সালে তৃণমূল সরকারে আসার পর বামেদের পার্টি অফিস দখল থেকে শুরু করে বাম কর্মী-সমর্থকদের উপর যে ভাবে আঘাত নেমে এসেছিল সেটা তারা কেউ ভুলতে পারেনি। যার ফলে সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে সিপিআইএমের ১৬% ভোট ৯% নেমে এসেছে বলে রাজনৈতিক মহল।
পশ্চিমবঙ্গের ২-৩টি জেলা ছাড়া কংগ্রেসকে সেভাবে আর কোথাও লক্ষ্য করা যায় না। বাদবাকি জেলাগুলোতে বামেরা কোথাও দ্বিতীয় কিংবা কোথাও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তবে একুশের বিধানসভা ভোটে বামেরা শূন্য হয়েছিল। ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনেও শুন্য বামফ্রন্ট।
সিপিআইএমের নেতা সুজন চক্রবর্তী একটি সাক্ষাৎকারে জানান,’আমরা সবাই বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে লড়তে চাই। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও এ রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে কোন সমঝোতা নেই।’ সুজন চক্রবর্তীর মত বর্ষীয়ান নেতারা বুঝেছেন, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে যদি বামফ্রন্ট জোট বাঁধে তাহলে ভোটের শতাংশের হার পাঁচ এর নীচে নেমে যেতে পারে বামেদের। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাই ইতিমধ্যেই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বামেদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে আইএসএফকে কটা আসন ছাড়া হবে, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত খোলসা করে কিছু বলতে পারেননি সুজন চক্রবর্তী।
রাজ্য রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।