Bengal BJP: বাংলা-বাংলাদেশি ভাষা বিতর্কে বাংলা নিয়েই প্রবল চাপে বঙ্গ পদ্মশিবির! যুবসমাজের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে আয়োজন ফুটবলের
আর তার উপর সর্বশেষ ‘বাংলাদেশি ভাষা’কে সমর্থন করে দিল্লি পুলিশের, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর মন্তব্য, ‘বাংলা নামক কোনও ভাষাই নেই’। আর ফের বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকও এই মালব্য।
Bengal BJP: বর্তমানে বাঙালির পার্টি হতে চাওয়া বঙ্গের বিজেপি চাপের কবলে! এবার অক্সিজেনের খোঁজ মিলল ফুটবলে
হাইলাইটস:
- ‘বাঙালির পার্টি’ হতে চাওয়া বঙ্গের পদ্মশিবির এবার চাপের মুখে
- ভিন রাজ্যের বাঙালিদের নিশানা করে বিজেপি নেতারাই চাপে ফেলে দিয়েছে
- তবে শেষমেষ তাঁদের অক্সিজেনের খোঁজ মিলেছে ফুটবলে
Bengal BJP: সম্প্রতি এবার বাংলা নিয়েই প্রবল চাপের মুখে বঙ্গ বিজেপি। ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতারাই বাঙালিদের নিশানা করে বর্তমানে চাপে ফেলে দিয়েছে ‘বাঙালির পার্টি’ হতে চাওয়া বঙ্গের পদ্মশিবিরকে। দিল্লির একাংশ এবং ভিন রাজ্যের বঙ্গ বিজেপির কাছে এখন কার্যত ‘ভিলেন’ বিজেপি নেতারাই। বাঙালি অস্ত্র নিয়েই এবার পাল্টা রাজ্য বিজেপির কাছে জবাব দেওয়ার কিছু নেই।
We’re now on WhatsApp- Click to join
আর তার উপর সর্বশেষ ‘বাংলাদেশি ভাষা’কে সমর্থন করে দিল্লি পুলিশের, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর মন্তব্য, ‘বাংলা নামক কোনও ভাষাই নেই’। আর ফের বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকও এই মালব্য।
We’re now on Telegram- Click to join
বঙ্গ বিজেপির উপর ‘বাংলা বিরোধী’ তকমা আরও বেশি করে পড়ে গেল কারণ বাংলা ভাষা নিয়ে যা হচ্ছে তাতে এটাই মনে করছে রাজ্য বিজেপি নেতাদের বড় অংশ থেকে নিচু কিছু নেতা-কর্মীরাও। তারা একইসঙ্গে আরও মনে করছে যে, বাংলা নিয়ে বিজেপি নেতাদের কাজকর্ম এবং মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ছাব্বিশের নির্বাচনে এ রাজ্যে বড় অস্ত্র পেয়ে গেল বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল এবং সিপিএমও। দলের বড় অংশই চাইছে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এই বিষয়ে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব কথা বলুক।
বঙ্গ বিজেপিকে দেওয়া হয়েছে ৩ দফা জনসংযোগ কর্মসূচিও। এলাকায় এলাকায় ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ বের করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই। গোটা রাজ্যে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ ১৪ই অগাস্ট পালন করতে বলা হয়েছে। তৃণমূল বাংলা ভাষা এবং বাঙালি অস্মিতাকেই ‘হাতিয়ার’ করে যেভাবে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে উদ্যত হয়েছে এখন, তাতে অখণ্ড বাংলার তথা দেশের বিভাজনের কারণ এবং আরও বেশি করে প্রচারে সেই সময়ের ঘটনাপ্রবাহ আনা দরকার বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যুবসমাজের সাথে গোটা রাজ্যে যোগাযোগ বাড়াতে আয়োজন করতে বলা হয়েছে ফুটবল টুর্নামেন্ট।
বিজেপির সাংসদ বা বিধায়কেরা রয়েছেন যে সব এলাকায়, তাঁদের উদ্যোগে সেখানে, বিজেপির যেখানে জনপ্রতিনিধি নেই, সাংগঠনিক উদ্যোগে সেখানে এই খেলাধুলোর আসর আয়োজন করার নির্দেশ বৈঠকে দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি বিজেপি সূত্রের। রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য তিনি তো ছিলেন বনসলের ডাকা বৈঠকে। ছিলেন অন্য সাংসদেরাও সকলে। রাজ্যসভার যে সাংসদ অনেক কর্মসূচিতেই দেখা যায় না অনন্ত মহারাজকে, এই বৈঠকে তিনিও ছিলেন। রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভা সাংসদ হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও এমনকি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
এইরকম আরও রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।