lifestyle

World Children’s Day 2025: সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অভিভাবকদের এই ৫টি কার্যকরী টিপস জেনে নিন উচিত

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে পিতামাতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বিশ্ব শিশু দিবসে, আসুন শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পাঁচটি কার্যকর টিপস সম্পর্কে জেনে নিই -

World Children’s Day 2025: আজকের দ্রুতগতির জীবনে সন্তানদের প্রতি বাবা-মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে

হাইলাইটস:

  • প্রতি বছর ২০শে নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস পালিত হয়
  • পরিবর্তনশীল জীবনধারা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে
  • সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অভিভাবকদের কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত

World Children’s Day 2025: আজকের দ্রুতগতির এবং প্রতিযোগিতামূলক জীবন শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। পড়াশোনার চাপ, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব এবং পরিবর্তিত জীবনযাত্রার প্রভাব আগের চেয়েও বেশি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর পড়ছে।

We’re now on WhatsApp – Click to join

এমন পরিস্থিতিতে, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে পিতামাতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বিশ্ব শিশু দিবসে, আসুন শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পাঁচটি কার্যকর টিপস সম্পর্কে জেনে নিই –

খোলামেলা কথোপকথনের পরিবেশ তৈরি করুন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে তারা তাদের অনুভূতি এবং চিন্তাভাবনা খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করতে পারে। এমন একটি পরিবেশ তৈরি করুন যেখানে শিশুরা ভয় বা দ্বিধা ছাড়াই নিজেদের প্রকাশ করতে পারে। প্রতিদিন কিছুটা সময় বের করে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম, বন্ধুবান্ধব এবং পড়াশোনা সম্পর্কে তাদের সাথে কথা বলুন। যখন তারা কোনও সমস্যা শেয়ার করে, তখন তাদের সাথে সাথে বাধা দেবেন না, বরং ধৈর্য ধরে শুনুন। তাদের অনুভূতি যাচাই করুন, তারা খুশি হোক বা দুঃখী। মনে রাখবেন, কখনও কখনও কেবল শোনাই যথেষ্ট।

মানসিক বুদ্ধিমত্তা বিকাশে সহায়তা করুন

বাচ্চাদের তাদের আবেগ চিনতে এবং পরিচালনা করতে শেখান। ব্যাখ্যা করুন যে রাগ, ভয়, দুঃখ বা উদ্বেগের মতো অনুভূতিগুলি স্বাভাবিক, তবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে সেগুলি প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনার শিশু রাগান্বিত হয়, তখন তাকে শান্ত হওয়ার ব্যবহারিক উপায়গুলি শেখান, যেমন গভীর শ্বাস নেওয়া, একা সময় কাটানো, অথবা প্রিয় কোনও কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করা। কঠিন আবেগগুলি কীভাবে পরিচালনা করতে হয় তা তাদের শেখান।

একান্তে সময় কাটান

বাচ্চাদের সাথে একান্তে সময় কাটানো তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০-৪০ মিনিট আপনার সন্তানের সাথে একা কাটান, আপনার ফোন বা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াই। একসাথে গেম খেলুন, গল্প করুন, অথবা হাঁটতে যান। এছাড়াও, নিশ্চিত করুন যে আপনার সন্তানের দৈনন্দিন রুটিনে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

We’re now on Telegram – Click to join

বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা রাখুন

প্রতিটি শিশুই অনন্য, তাদের নিজস্ব শক্তি এবং সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আপনার সন্তানদের কাছ থেকে বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা রাখুন এবং মনে রাখবেন যে নিখুঁত বলে কিছু নেই। অন্যদের সাথে শিশুদের তুলনা করা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। তাদের ছোট ছোট সাফল্যের প্রশংসা করুন এবং কেবল ফলাফল নয়, তাদের প্রচেষ্টার উপর মনোযোগ দিন।

Read more:- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে কেন শিশু দিবস পালিত হয় এবং কীভাবে এটি শুরু হয়েছিল?

স্ক্রিন টাইম পরিচালনা করুন 

আজকের ডিজিটাল যুগে, শিশুরা স্ক্রিনের সামনে বেশি সময় ব্যয় করে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিশুদের স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন এবং তাদের বাইরের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন। খেলাধুলা কেবল শিশুদের শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, বরং এটি মানসিক চাপ কমাতে এবং সামাজিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।

এই রকম জীবনধারা বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button