Why are women getting divorced: বিবাহবিচ্ছেদের তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন মহিলারা! কিন্তু কেন, সময় কি বদলে গেছে?
হিন্দু ধর্মে বিয়েকে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হত। কিন্তু এখন এটি দুর্বল হয়ে পড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাগুলি সামনে আসছে।
Why are women getting divorced: বর্তমানে বিয়ের মতো পবিত্র সম্পর্ক ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে
হাইলাইটস:
- এখনকার যুগে দাম্পত্য জীবনে বিবাহবিচ্ছেদের হার বেড়েছে
- তারা তাদের সঙ্গীর ছোটখাটো ভুলও উপেক্ষা করছে না
- আগে বিয়েকে সাত জীবনের বন্ধন হিসেবে বিবেচনা করা হত, কিন্তু এখন যুগ বদলেছে
Why are women getting divorced: বিয়ে কোনও ছেলেখেলা নয়, বরং সাত জীবনের বন্ধন… আপনি নিশ্চয়ই বাড়ির বড়দের কাছ থেকে এই কথাটি শুনেছেন। হিন্দু ধর্মে বিয়েকে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হত। কিন্তু এখন এটি দুর্বল হয়ে পড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাগুলি সামনে আসছে। এর পিছনে কারণ কী এবং কখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
We’re now on WhatsApp – Click to join
বিয়ে করার জন্য আর কোন চাপ নেই
আগে বিয়েকে সাত জীবনের বন্ধন হিসেবে বিবেচনা করা হত। যদি আমরা ঠাকুমা-ঠাকুরদাদের প্রজন্মের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাবে যে বিয়ে হয়ে যাওয়া মানে সম্পর্কটি সারা জীবনের জন্য বাঁধা পড়ল। এই সম্পর্ক ভাঙা তো দূরের কথা, এই ধরণের চিন্তা তাদের মনে কখনোই আসত না। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন সেই সময়ে মহিলাদের নামে কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না, কোনও ধরণের সাহায্যও ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে, বিয়ে বেঁচে থাকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এখন মহিলাদের একটা পছন্দ আছে। কেবল লোক দেখানোর জন্য বিয়ের বন্ধনে তাদের বোঝা চাপানো হয় না। তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা ভালোবাসা দিয়ে যে ঘর তৈরি করেছিল তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।
শুধু ভালো থাকাই যথেষ্ট নয়
এক প্রজন্ম আগেও একজন নারীর জন্য এটাই যথেষ্ট ছিল যে তার স্বামী তাকে প্রতারণা করে না, মারধর করে না ইত্যাদি। কিন্তু সময় বদলে গেছে। নারীরা এখন সহজতম বিষয়গুলোও প্রশ্নবিদ্ধ করে। তারা মানসিক সংযোগ, সম্পত্তির ভাগাভাগি, পারস্পরিক সমর্থন দাবি করে। যদি তারা এটি না পায়, তাহলে তারা দূরে সরে যায়।
We’re now on Telegram – Click to join
বিবাহবিচ্ছেদ আর লজ্জার বিষয় নয়
নারীরা এখন বিবাহবিচ্ছেদকে লজ্জার সাথে নয় বরং স্পষ্টতার সাথে দেখে। তারা আর বিবাহবিচ্ছেদকে অপমান হিসেবে দেখে না বরং একটি সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখে। প্রতিবেশী এবং সমাজ কী বলবে তা নিয়ে তারা আর চিন্তিত নয়। তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেয়।
শুধুমাত্র সন্তানদের জন্য কষ্ট পায়
অনেক মহিলা তাদের সন্তানদের জন্য অসুখী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন। কিন্তু এখন সন্তানদের একটি নিখুঁত পরিবারের প্রয়োজন হয় না, বরং একটি মানসিকভাবে সুস্থ পরিবারের প্রয়োজন হয়। তারা তাদের বাবা-মাকে দেখে শেখে। যখন একজন মহিলা লোক দেখানোর চেয়ে শান্তি বেছে নেন, তখন তিনি ঘর ভাঙছেন না, বরং মহিলারা তাদের সন্তানদের আত্মসম্মান বোধ রক্ষা করতে শেখান।
যখন আপনার সঙ্গী একাকী বোধ করতে শুরু করে
যখন একজন পুরুষ একজন নারীর অনুভূতি বুঝতে পারে না, তখন সে একাকী বোধ করতে শুরু করে। তার প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয় না। অনেক নারীর বিবাহবিচ্ছেদ হয় কারণ তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয় না, বরং তারা মনে করে যে তাদের দিকে তাকানোর জন্য কেউ নেই।
এখন নারীরা বদলে যাচ্ছে
প্রায়শই আলোচনা করা হয় যে বৈবাহিক বন্ধন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু সত্যটা হল, সম্ভবত নারীরা এখন বদলে গেছে। এটা কোনও ট্র্যাজেডি নয়, বরং এটা একটা জয়। তারা ভালোবাসা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে না, বরং এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা এমন একটি সম্পর্ক চায় যেখানে গভীর ভালোবাসা থাকবে।
এই রকম সম্পর্ক ও জীবনধারা বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
