lifestyle

Summer Safety Tips For Kids: গরমকালে বাচ্চাকে সুস্থ রাখার টিপসগুলি জেনে নিন

গরমকালে ছোট থেকে বড় সকলেরই নাজেহাল অবস্থা হয়

হাইলাইটস:

•গরমকালে বাচ্চাদের দিকে বেশি করে খেয়াল রাখতে হবে

•গরমকালে বাচ্চাদের অনেক কিছু সমস্যা দেখা দেয়

•এই সময় বাচ্চাদের সুস্থ রাখার টিপসগুলি জেনে নিন

Summer Safety Tips For Kids: আট থেকে আশি প্রায় সকলেই গরমকালে নাজেহাল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এই সময় বাচ্চাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয় (Summer Safety Tips For Kids)। আর কিছুদিন পরেই শুরু বৈশাখ মাস। অতএব ভ্যাপসা গরমে বেহাল হওয়ার অবস্থা আসতেই চলেছে। চৈত্র মাসের শুরুতে ঝড়-বৃষ্টির জন্য ততোটাও গরম সহ্য করতে হয়নি শহরবাসীকে। কিন্তু এবার ধীরে ধীরে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমান বাড়ছে। আগামীদিনে আরও তাপমাত্রা বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

গরমকালে বিশেষ করে বাচ্চারা একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কারণ স্কুল এবং পড়াশোনার চাপে তারা নাজেহাল হয়ে পড়ে। তার উপর যদি কোনও খেলাধুলার সাথে যুক্ত থাকে তবে তো আর দেখতে নেই। এর ফলে তারা অসুস্থও হয়ে পড়ে। একজন অভিভাবক হিসাবে আপনার উচিত গরমকালে বাচ্চাদের বিশেষ যত্ন নেওয়া (Summer Safety Tips For Kids)। এখানে বাচ্চার খেয়াল রাখতে এবং যত্ন করার কিছু টিপস দেওয়া হল।

গরমকালে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বাচ্চাদের দেখে নিন –

•গরমকালে ঘামের সঙ্গে বাচ্চাদের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় জল এবং নুন বেরিয়ে যায়। ফলে এক অদ্ভুত ক্লান্তি এবং শুষ্ক ভাব গ্রাস করে নেয় তাদের। শরীরে জলের অভাব ছাড়াও গরমে শিশুরা অনেক ধরনের সমস্যার কবলে পড়তে পারে। এর মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু অ্যালার্জি এবং সংক্রমণ। এক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের সচেতনতা সবথেকে বেশি দরকার। কারণ তারা ছোট তাদের নিজেদের শরীরের যত্ন নিজেরা নিতে পারে না।

•হিটস্ট্রোকের সমস্যা গরমকালে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এমনকি ছোট থেকে বড় সকলের এই সমস্যা হতে পারে। এর থেকে মাথা ঘোরানো, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা এই জাতীয় লক্ষণ দেখা যায়। এই গরমে বাচ্চাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে হয় এবং বার বার ঠান্ডা জলে স্নান করানো, প্রচন্ড রোদ থেকে বাড়ি ফিরলে গায়ে বরফ দিয়ে হালকা সেঁক দেওয়া দরকার। বাচ্চার প্রতি অতি যত্নশীল হওয়া উচিত অভিভাবকদের।

•অতিরিক্ত গরমে অত্যধিক তেল ঝাল মশলাযুক্ত খাবার খেলে সেটি সহজে হজম হয় না। বিশেষ করে বাইরের খাবার এই সমস্যা বাড়াতে পারে। ফলে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যাথা দেখা দেয়। এর ফলেও শরীরের জলের পরিমাণ আরও কমে যায়।

•গরমকালে শরীর শুকিয়ে যাওয়া ভীষণ একটি খারাপ লক্ষণ। জলের অভাবে যখন শরীরে মিনারেলস কমে যায়, পুষ্টির আকাল পরে তখন বাচ্চাদের শরীরে খুব সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এই সময় নারকেলের জল এবং বাটার মিল্ক কিংবা দই লস্যি খাওয়া ভালো প্রমাণিত হতে পারে।

•আবার শরীরে জলের অভাবে ইউরিনারি সমস্যার কবলেও পড়ে বাচ্চারা। জলের অভাবে কিডনির ইনফেকশন এবং ব্লাডারের সমস্যা গরমে কিন্তু হতেই পারে। তাই ফলের রস কিংবা বিশুদ্ধ জল বেশি করে পান করান বাচ্চাদের।

•গরমকালে অতিরিক্ত সূর্যের আলোর তাপে বাচ্চাদের ত্বক পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। একেই সানবার্ন বলে। এতে ত্বক লাল হয়ে যায় এবং প্রদাহ বেড়ে যায়। আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন তার ত্বকে। এবং আরেকটি কথা হল, দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪তে অবধি বাচ্চাদের বাড়ির বাইরে বের করবেন না।

গরমকালে বাচ্চাদের সুস্থ থাকতে যে সতর্কতাগুলি অবলম্বন করবেন সেগুলি হল –

সবসময় জলের বোতল সঙ্গে রাখুন:

গরমকালে জলের বোতল ছাড়া থাকা মুশকিল। গরমে ছোট-বড় সকলেরই সারাদিনে প্রচুর পরিমানে জল খাওয়া উচিত। বিশেষ করে বাচ্চাদের সঙ্গে সবসময় জলের বোতল দিন। বাচ্চারা খেলাধুলো করার ফলে বেশি করে ঘাম হয় তাদের। যার জন্য বাচ্চাদের শরীরে জলের প্রয়োজন হয়। বেশি পরিমানে জল খেলে শরীরে শরীরে টক্সিনের মাত্রা কমে। ফলে শরীর সুস্থ থাকে এবং রক্ত সঞ্চালনও সঠিক পর্যায়ে চলে। তাই বাচ্চারা যখনই বাড়ির বাইরে পা রাখবে তার সাথে জলের বোতল দিয়ে দিন।

ফাস্ট ফুড এবং জাঙ্ক ফুড থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখুন:

গরমকালে ফাস্ট ফুড এবং জাঙ্ক ফুড অর্থাৎ পিৎজা, বার্গার, পাস্তা ইত্যাদি জাতীয় খাবার থেকে বাচ্চাদের যত দূরে রাখতে পারবেন ততো তাদের মঙ্গল। কারণ এই খাবারগুলি শরীরের ক্ষতি করে। এর বদলে সবুজ শাকসবজি এবং টাটকা ফল খাওয়ান বাচ্চাদের।

শুধু টাটকা ফল না ফলের রসও খাওয়ান:

শুধু টাটকা ফল খাওয়ালে চলবে না, তার সাথে বাচ্চাদের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে টাটকা ফল রসও। বিশেষ করে ডাবের জল, লেবুর রস, বাটারমিল্ক এই সময় বাচ্চাদের জন্য রিফ্রেশমেন্ট হিসেবে কাজ করে। এর ফলে আপনি বাচ্চাদের শরীর থেকে জলের ঘাটতিও মেটাতে পারবেন।

বাচ্চাদের পোশাকের দিকে খেয়াল রাখুন:

গরমকালে বাচ্চাকে সবসময় হালকা রঙের জামাকাপড় পরানোরই চেষ্টা করুন। হালকা রঙ গরম তাড়াতাড়ি শুষে নিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে গরমকালেও বাচ্চা সুস্থ থাকবে।

এইরকম লাইফস্টাইল সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button