Skin Care Tips: শীত তো চলে গেল কিন্তু গোড়ালি ফাটা ভালো হল না? কী করা যায় তাহলে?
গোড়ালি ফাটলে ব্যথা হওয়া বা চলাফেরায় অসুবিধা হয়ে থাকে। তাই এখন অনেকেই শীত আসার আগে থেকেই সচেতন হয়ে যান। তবে এখন জলবায়ু এবং রোগের যা অবস্থা, তাতে এখন সারা বছরই অনেকের পা ফেটে যায়। তাই পা-কে নিয়মিত যত্ন নিন।
Skin Care Tips: আপনিও যদি পা ফাটার সমস্যায় ভোগেন তাহলে আর চিন্তা করে লাভ নেই, আমরা এর উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি
হাইলাইটস:
- ডিহাইড্রেশন হলে পা ফাটতে পারে
- পুষ্টির অভাব হলে পা ফাটতে পারে
- সবসময় নরম জুতো পড়ুন
Skin Care Tips: শীতকাল পড়তেই অনেকের পায়ে ফাটল ধরা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু শীত চলে যাওয়ার পরও যদি এই ফাটল উধাও না হয়, তাহলে অনেক সমস্যা। এর ফলে পায়ের পাতার সৌন্দর্যও নষ্ট হয়ে যায়। আবার এটি অন্য কোনও গোপন রোগের লক্ষণও হতে পারে। গোড়ালি ফাটলে ব্যথা হওয়া বা চলাফেরায় অসুবিধা হয়ে থাকে। তাই এখন অনেকেই শীত আসার আগে থেকেই সচেতন হয়ে যান। তবে এখন জলবায়ু এবং রোগের যা অবস্থা, তাতে এখন সারা বছরই অনেকের পা ফেটে যায়। তাই পা-কে নিয়মিত যত্ন নিন। এছাড়া জেনে নিন গোড়ালি ফাটার অন্যান্য কারণগুলি।
We’re now on WhatsApp – Click to join
গোড়ালি ফাটার কারণগুলি হল:
১) পুরুষ নারী উভয়েরই পা ফাটতে পারে। পা ফাটার সবথেকে বড় কারণ হল ডিহাইড্রেশন। শরীরে যখন জল কম থাকে, তখনই পা ফাটে। এ ছাড়াও, খুব বেশি শুষ্ক পরিবেশে থাকার ফলে পায়ের চামড়া ফাটতে পারে।
২) শরীরে যদি পুষ্টির অভাব হয় তাহলে পা ফাটতে পারে। আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের জন্য ভিটামিন বি এবং সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই দুই ভিটামিন যখন শরীরে কমে যায়, তার ফলে পা ফেটে যায়।
Read more – লম্বা এবং স্বাস্থ্যকর চুল পেতে চান? তাহলে এখনই তিসির বীজ ট্রাই করে দেখুন
৩) অনেক সময় ধরে খালি পায়ে থাকা, জুতো না পরে থাকা বা শক্ত জুতো পরা, ধুলোবালির কারণেও গোড়ালি ফেটে যেতে পারে।
৪) এছাড়া কয়েকটি রোগ আছে যেমন – পামোপ্ল্যান্টার কেরাটোডার্মা, সোরিয়াসিস, পিটিরিয়াসিস রুব্রা পিলারিস এর ফলেও গোড়ালি ফাটতে পারে। পামোপ্ল্যান্টার কেরাটোডার্মা এটি একটি জিনবাহিত রোগ। এই রোগের আসল লক্ষণ রোগীর চামড়া পুরু ও শক্ত হয়ে ফেটে যায়। আবার অনেক সময় ফাটা জায়গা থেকে রক্তও বের হতে পারে। সোরোসিস হল একটি অটো ইমিউন রোগ। এই রোগের ক্ষেত্রে ত্বকের উপরিভাগে গোল গোল চাকা চাকা হয়ে যায়, ফলে প্রচণ্ড চুলকানি হয়, এবং চামড়া উঠে যায়।
গোড়ালি ফাটা প্রতিরোধের উপায়
সবসময় খালি পায়ে চলাফেরা করবেন না। সাথে একটি নরম ও আরামদায়ক জুতো পরুন।
প্রতিদিন বেশি পরিমাণে জল খান। বিশেষ করে যাঁরা বেশি এসি-তে থাকেন, তাঁদের অনেক জল খেতে হবে।
স্নানের পর পায়ে ক্রিম অথবা লোশন লাগান। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল দিয়েও মালিশ করতে পারেন।
সপ্তাহে অন্তত একবার করে পা স্ক্রাব করতে হবে। স্ক্রাবিং-এর পর পা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন তারপর ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার করুন।
We’re now on Telegram – Click to join
যদি দেখেন পা ফাটার সমস্যা বেশি হচ্ছে তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে পারেন এবং পাতলা সুতির মোজা পরে ঘুমাতে পারেন। তবে হাইপ্রেশারের রোগীরা ভুলেও পায়ে মোজা পরে ঘুমাবেন না।
বাইরে বের হওয়ার সময় শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলোবালি থেকে পা কে সুরক্ষিত রাখতে সুতির মোজা পরার অভ্যাস করুন।
এইরকম বিউটি সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।