Kasavu Kerala Saree: আপনি কি জানেন, কেরালার মহিলারা কেন সোনালী পাড়ওয়ালা সাদা শাড়ি পরেন?
কাসাভু শাড়ি তৈরিতে কেবল সুতো এবং কাপড় ব্যবহার করা হয় না। এর পাড় অত্যন্ত মূল্যবান জিনিস দিয়ে সজ্জিত। যার ফলে এই শাড়ির উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর, সেই কারণেই এই শাড়ির দাম হাজার থেকে লক্ষ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে।
Kasavu Kerala Saree: এই সাদা শাড়ির পিছনে বহু বছরের পুরোনো ইতিহাস রয়েছে
হাইলাইটস:
- প্রতিটি রাজ্যেই কোন না কোন বিখ্যাত শাড়ি আছে
- কেরালার কাসাভু শাড়িও সারা ভারতে বিখ্যাত
- সাদা রঙের হওয়া সত্ত্বেও এই শাড়িটির বিশেষত্ব কী?
Kasavu Kerala Saree: মহিলাদের শাড়ির রঙ এবং নকশা কেবল স্টাইলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিটি শাড়ির পিছনে একটি বহু বছরের পুরোনো গল্প রয়েছে, যা এটিকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। কেরালার কাসাভু শাড়ির ইতিহাসও খুবই আকর্ষণীয়। এর রঙ সাদা এবং পাড় সোনালী। কেরালার মহিলারা অবশ্যই ওনামের মতো অনেক অনুষ্ঠানে এই শাড়ি পরেন।
We’re now on WhatsApp – Click to join
কাসাভু শাড়ি তৈরিতে কেবল সুতো এবং কাপড় ব্যবহার করা হয় না। এর পাড় অত্যন্ত মূল্যবান জিনিস দিয়ে সজ্জিত। যার ফলে এই শাড়ির উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর, সেই কারণেই এই শাড়ির দাম হাজার থেকে লক্ষ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে। কাসাভু শাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন –
কাসাভু শব্দের অর্থ
কাসাভু শাড়ির ইতিহাস এবং তথ্য জানার আগে, আপনার কাসাভু শব্দের অর্থ বোঝা উচিত। যার অর্থ ব্রোকেড। কাসাভু শব্দটি শাড়ি নয়, এটি তৈরিতে ব্যবহৃত ব্রোকেডের সাথে সম্পর্কিত। তাই পুরুষরা যখন ব্রোকেড ধুতি পরেন, তখন তাকে কাসাভু মুন্ডু বলা হয়। মুন্ডু মানে ধুতি।
এই শাড়ির উৎপত্তি কিভাবে?
কাসাভু শাড়ির উৎপত্তির গল্প মহারাজা বলরাম বর্মা এবং তার মুখ্যমন্ত্রী উম্মিনি থাম্পির সাথে জড়িত। তারা তামিলনাড়ু থেকে তাঁতিদের কেরালায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তারপর থেকে বলরামপুরমে কাসাভু শাড়ি তৈরি হচ্ছে। আজ বলরামপুরম এই শাড়ির জন্য পরিচিত এবং এটি সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে উঠেছে। এই শাড়ি তৈরিকারী কারিগরদের পরিবারগুলি কয়েক দশক ধরে এটিকে ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণ করে আসছে।
এই কারণেই এটি মূল্যবান
কাসাভু শাড়ি তৈরিতে সোনা ব্যবহার করা হয়। সোনাকে সূক্ষ্ম সুতো দিয়ে বুনন করা হয় এবং তারপর কারিগররা তা শাড়িতে বুনেন। এই কারণেই এই শাড়ির দাম লক্ষ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কাসাভু শাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া বদলে গেছে। এখন এটি সোনা ছাড়াই তৈরি করা হয় এবং সস্তা দামে বিক্রি হয়।
We’re now on Telegram – Click to join
সাদা শাড়ির সোনালী পাড় কেন বিশেষ?
কাসাভু শাড়ির রঙ সাদা। এর পাড় সরিয়ে ফেললে শাড়ির ঔজ্জ্বল্য অর্ধেকে নেমে আসবে। কাসাভু শাড়ির এই সোনালী পাড় সম্পদ এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। যার কারণে মহিলারা বিবাহ এবং উৎসবের মতো অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যের জন্য এটি পরেন। কিছু মহিলা ইতিবাচকতার জন্যও এই শাড়ি পরেন। যদিও শাড়ির সাদা রঙ পবিত্রতা প্রকাশ করে।
কত দিনের মধ্যে এটি প্রস্তুত হয়?
এই সুন্দর শাড়িটি তৈরি করতে কত দিন সময় লাগবে তা নির্ভর করে এর ডিজাইনের উপর। একটি সাধারণ শাড়ি ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। অন্যদিকে, মোটিফের মতো বিশদ বিবরণের জন্য, কারিগররা মাসের পর মাস কঠোর পরিশ্রম করেন। অন্যদিকে, যদি আরও কারিগররা একটি শাড়িতে অনেক ঘন্টা ধরে কঠোর পরিশ্রম করেন, তাহলে এটি দ্রুত প্রস্তুত হয়ে যায়।
Read more:- আলমারি জামদানি শাড়িতে ভর্তি, অথচ এই নামের অর্থ জানেন না? মুঘলদের সাথেও রয়েছে বিশেষ সম্পর্ক
উল্লেখ্য, কাসাভু শাড়ি অবশ্যই সাদা রঙের। কিন্তু এটি কোনও প্রচেষ্টা ছাড়াই লুককে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। সেই কারণেই বলিউড থেকে শুরু করে সাউন্ড ইন্ডাস্ট্রির সুন্দরীরা এই শাড়ি পরে মনোমুগ্ধকর স্টাইল দেখায়। সাদা রঙ ক্লাসি হওয়ার পাশাপাশি লুকে রাজকীয় ছোঁয়াও দেয়।
এই রকম ফ্যাশন এবং বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।