Ideal Diet: যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে কিছু অভ্যাস এড়িয়ে চলুন, ‘আদর্শ খাদ্যাভ্যাস’ গ্রহণ করলে উপকার হবে
খাদ্যকে কেবল শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও মৌলিক উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চরক সংহিতায় বলা রয়েছে যে খাদ্যই জীবন এবং একটি আদর্শ খাদ্য তৃপ্তি, পুষ্টি, শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা প্রদান করে।
Ideal Diet: শরীর সুস্থ রাখার জন্য একটি সুষম খাদ্যাভাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আসুন জেনে নেওয়া যাক ‘আদর্শ খাদ্যাভ্যাস’ কী?
হাইলাইটস:
- খাদ্য কেবল শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও মৌলিক উপাদান
- খাদ্যই জীবন এবং একটি আদর্শ খাদ্যাভাস তৃপ্তি, পুষ্টি, শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা প্রদান করে
- তবে কিছু খাদ্য এবং অভ্যাস শরীরের জন্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে, তাই এগুলিকে এড়িয়ে চলাই ভালো
Ideal Diet: শরীর সুস্থ রাখার পিছনে আমাদের খাদ্যাভাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা আয়ুর্বেদ অনুসারে, জীবনকে সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ রাখার জন্য একটি সুষম খাদ্যাভাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
We’re now on WhatsApp – Click to join
খাদ্যকে কেবল শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও মৌলিক উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চরক সংহিতায় বলা রয়েছে যে খাদ্যই জীবন এবং একটি আদর্শ খাদ্য তৃপ্তি, পুষ্টি, শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা প্রদান করে। এটি কেবল রোগের চিকিৎসা করে না বরং জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, জীবনধারা এবং মানসিক আচরণের প্রতিও গভীর প্রভাব ফেলে। তবে কিছু খাদ্য এবং অভ্যাস শরীরের জন্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে, তাই এগুলিকে এড়িয়ে চলাই ভালো।
এই ধরণের খাবার খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী
চরক সংহিতায় এমন কিছু খাবারের সংমিশ্রণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার বিপরীত গুণ রয়েছে এবং এগুলি একসাথে খাওয়া উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, দুধ এবং মাছ একসাথে খাওয়া উচিত নয় কারণ দুধ ঠান্ডা এবং মাছ গরম। খাবার ধীরে ধীরে এবং ভালভাবে চিবিয়ে খাওয়া উচিত; খুব তাড়াতাড়ি খাওয়ার ফলে সঠিক হজম হয় না। খাবার বারবার গরম করা উচিত নয়। এটি খাবারের পুষ্টিগুণ হ্রাস করে এবং স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকারক হতে পারে।
সুশ্রুত সংহিতা অনুসারে, অতিরিক্ত খাওয়া, দিনের বেলা ঘুমানো, গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা ইত্যাদি জিনিস নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়। এতে কফ বৃদ্ধি পায়, যা স্থূলতা এবং অ্যালার্জির কারণ হয়। অন্যদিকে, রাতে জেগে থাকার ফলে মেদ, মানসিক চাপ, অনিদ্রা এবং ক্লান্তির মতো সমস্যা দেখা দেয়। খাওয়ার পরই ঘুমোনো উচিত নয়, কারণ এটি হজম শক্তিকে দুর্বল করে দেয়।
We’re now on Telegram – Click to join
এই জিনিসগুলি শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে
আয়ুর্বেদের মতে, রাগ, উদ্বেগ, ঈর্ষা ইত্যাদির মতো নেতিবাচক আবেগ শরীর ও মনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এগুলো শরীরে বিষের মতো ছড়িয়ে পড়ে এবং বাত-পিত্ত-কফ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সুশ্রুত সংহিতা বলে যে অতিরিক্ত কাজ, ঘুমের অভাব এবং মানসিক চাপ এড়ানো উচিত কারণ এগুলো মানসিক ও মানসিক সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
Read more:- ওজন কমানোর জন্য কি আপনিও না খেয়ে থাকেন? সঠিক ডায়েট প্ল্যান জেনে নিন
মল, প্রস্রাব, হাঁচি, হাই তোলা, চোখের জল ইত্যাদি ১৩ ধরণের প্রাকৃতিক ইচ্ছা রয়েছে, যেগুলো বন্ধ করা নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। এগুলো বন্ধ করলে শরীরে মাথাব্যথা, হৃদরোগ, চর্মরোগ ইত্যাদির মতো গুরুতর রোগ হতে পারে।
জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।