Good Parenting Tips: প্ৰতিটি বাবা-মায়ের উচিত সন্তানদের প্রতি সঠিক মনোযোগ দেওয়া
হাইলাইটস:
•সন্তান হল পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান উপহার
•একজন অভিভাবক হিসাবে বাচ্চাকে ভালো অভ্যাস শেখান
•উল্লেখিত ভালো অভ্যাসগুলি দেখে নিন
Good Parenting Tips: প্রত্যেক বাবা-মার কাছেই তাদের সন্তান হল পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তাই এক্ষেত্রে প্ৰতিটি বাবা-মাই চান তাদের সন্তান যেন ভবিষ্যতে একজন ভালো মানুষ হতে উঠে। তার জন্য অভিভাবক হিসেবে তারা সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যান। শিশুকে সুস্থ, শক্তিশালী ওএবং একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সর্বাধিক যত্নশীল হতে হবে অভিভাবককেই (Good Parenting Tips)। কারণ তারা তো ছোট, ভালো-খারাপের জ্ঞান তাদের নেই। বাবা-মারা তাদের ছোট দিয়ে যা শেখাবেন বড়ো হয়ে তারা সেগুলিই রপ্ত করবে।
বর্তমানে ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপট শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে শিশুরা ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ভবিষ্যতেও হয়তো নতুন কোনও ভাইরাস একইভাবে দাপট চালাবে। তাই একজন অভিভাবক হিসাবে আপনার উচিত একদম শৈশব থেকেই বাচ্চাদের এমন কিছু ভালো অভ্যাস শেখানো যা এই সব রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আপনার সন্তানকে সাহস জোগাবে। কারণ একমাত্র স্বাস্থ্যকর অভ্যাসই শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। আপনার সন্তানের মধ্যেও যদি ভালো অভ্যাসগুলি গড়ে তুলতে চান তবে নীচে উল্লেখিত অভ্যাসগুলি মনোযোগ সহকারে দেখে নিন –
খেলাধুলোর প্রতি বাচ্চাকে বেশি করে উৎসাহিত করুন:
যত বাচ্চারা খেলাধুলো করবে ততো তারা সুস্থ থাকবে। শিশুর বয়সটাই হল খেলাধুলার জন্য। বাচ্চাদের সবসময় এক জায়গায় চুপ করে বসিয়ে রাখবেন না। বরং তাকে হাঁটাচলা এবং দৌড়ানোর মতো কাজে উৎসাহ করুন। দয়া করে কোনও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস তুলে দেবেন না তার হাতে। কারণ এটি তার পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। আবার তাকে বিকালের দিকে বাড়ির বাইরে নিয়ে গিয়েও খেলাধুলা করাতে পারেন। শিশুকে এমন খেলাধুলায় উৎসাহ দিন যাতে তার শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। খেলাধুলা করায় সে সুস্থ এবং সতেজ থাকবে। এছাড়া ছোট থেকে ইলেকট্রনিকস ডিভাইস হাতের নাগালে না পাওয়ায় ভবিষ্যতে সে একজন ভালো মানুষও তৈরি হবে।
তাকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে শেখান:
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বই পড়ার অভ্যাসটাই ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কারণ যা জানান ইচ্ছা সবই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে বই পড়ার মতো ভালো অভ্যাসটি থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু বই পড়া শিক্ষা দক্ষতার উন্নত করার সর্বোত্তম উপায়। শিশুর মেধা বিকাশ থেকে শুরু করে ব্যক্তিত্ব গঠন, সবকিছুতেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে তার বই পড়ার অভ্যাস। তার সাথেই বাচ্চারা শিখে যাবে শব্দভাণ্ডার, ভাষার দক্ষতা, একাগ্রতা এবং কল্পনার জগৎ সম্পর্কে। সুতরাং বাচ্চাকে গল্পের বই থেকে শুরু করে সব ধরণেরই বই পড়তেই উৎসাহিত করুন। নানা ধরনের বই পড়লে শিশুদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং অন্যদের অনুভূতি সম্পর্কে বুঝতেও সুবিধা হবে। বই পড়ার ফলে ভবিষ্যতে তার উন্নতিই হবে।
আপনার সন্তানের খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন:
শিশু বয়সে সকলেরই মুখরোচক খাবারের দিকে বেশি ঝোঁক দেখা যায়। আর এখনকার দিনে অভিভাবকরাও বার্গার, পিৎজা, চিপস ইত্যাদি খাবার দেয়। কিন্তু এই খাবারগুলি আপনার সন্তানের জন্য একদমই পুষ্টিকর না। এইসব খাবারের পরিবর্তে বাচ্চাকে স্বাস্থ্যকর খাবার দিন। তার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবারই অন্তর্ভুক্ত করুন। মুখরোচক খাবার থেকে সে প্রথমে স্বাস্থ্যকর খাবার হয়তো খেতেও চাইবে না। একটি কাজ করতে পারেন, তাকে নিয়েই বাজারে যান। তাকে স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন – সবুজ শাকসবজি, ফল, মাছ, মাংস ইত্যাদির সাথে পরিচয় করান। বাচ্চাকে কোনও প্রকার প্যাকেটে পাওয়া যায় এমন জুস অথবা কোল্ড ড্রিংকস দেবেন না। এইসব অস্বাস্থ্যকর পানীয় না দিয়ে তাকে বিশুদ্ধ জল পান করার গুরুত্ব শেখান। এর ফলে ভবিষ্যতে সে একজন পরিশ্রমী এবং ভালো মানুষ তৈরি হবে।
আর্থিক অবস্থার কথা তাকে বোঝান:
ছোট থেকেই বাচ্চাদের টাকা-পয়সার প্রতি সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কারণ তবেই সে ভবিষ্যতে গিয়েও বাজে খরচ করবে না। কারণ বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কৈশোর বয়সে এসেই তারা ধূমপান এবং মদ্যপানে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এইসব বাজে অভ্যাসে জড়িয়ে পড়ায় তারা তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা ভুলে যায় এবং নিজেদের শরীরের প্রতি যত্নও ঠিক ভাবে নেয় না। তাই ছোট থেকেই বাচ্চাদের সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। যখনই পারবেন তাকে টাকা-পয়সার মূল্য বোঝান। আবার কেনাকাটা করতে যাওয়ার সময় সম্ভব হলে শিশুকেও সঙ্গে রাখবেন। কারণ কেনাকাটা করার দক্ষতা থাকাও জরুরি।
সুতরাং বলা যায়, আপনার সন্তান যদি ছোট দিয়েই এই অভ্যাসগুলির সাথে পরিচিত থাকে তবে তাকে একজন ভালো মানুষ হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবেন না
এইরকম লাইফস্টাইল সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।