lifestyle

Female Electrician: জেনে নিন কে সীতা দেবী, যিনি বিহারের প্রথম মহিলা ইলেকট্রিশিয়ান হয়েছিলেন

Female Electrician: সীতা দেবী এই কাজে বিহারের পুরুষদের কঠিন প্রতিযোগিতা দিচ্ছেন

হাইলাইটস:

  • জেনে নিন বিহারের প্রথম মহিলা ইলেকট্রিশিয়ান কে?
  • বাড়ির দায়িত্ব নিতে নিযুক্ত ইলেকট্রিশিয়ান
  • মহিলা ইলেকট্রিশিয়ান সীতা দেবীর পরিচয়

Female Electrician: আপনি হয়তো শুনেছেন যে মহিলারা মাল্টিটাস্কিং করতে পারেন, অর্থাৎ তারা প্রতিটি কাজ করতে পারদর্শী। এটা আমরা বলছি না কিন্তু নারীরা নিজেরাই এটা প্রমাণ করেছেন। গৃহস্থালির যাবতীয় কাজ করে একদিকে যেমন নিজেকে একজন আদর্শ গৃহিণী হিসেবে প্রমাণ করছেন, অন্যদিকে ঘরের বাইরে গিয়ে চাকরি থেকে শুরু করে ব্যবসা সব ক্ষেত্রেই নিজের ছাপ রেখেছেন। একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশের নারীদের শুধু রান্নাঘরে রান্না করতে দেখা যেত, কিন্তু আজ সময় বদলেছে। আজ আমাদের দেশের নারীরা প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের সাফল্যের পতাকা উত্তোলন করছে। তাই আজ আমরা আপনাদের এমনই এক নারীর কথা বলব।

যখনই ইলেকট্রিশিয়ানের কথা আসে, আমাদের মনে প্রথম যে চিত্রটি উঠে আসে তা হল একজন মানুষ। আপনি আপনার বাড়িতেও নিশ্চয়ই দেখেছেন যে যখনই বিদ্যুতের সমস্যা হয়, বাড়িতে বাবা বা ভাইয়ের কথা মনে পড়ে। কিন্তু বিহারে একজন মহিলা আছেন যিনি ‘পুরুষের কাজ’ও করেন, অর্থাৎ তিনি ঘরের কাজ করার পাশাপাশি ভাঙা পাখা মেরামত করতেও সক্ষম। বিহারের এক সাধারণ গৃহবধূ ইলেকট্রিশিয়ান হয়েছেন। এক সময় বাড়ির দায়িত্ব নিতে ইলেকট্রিশিয়ান হয়ে গেলেও আজ এই নারী তার কাজের সুবাদে পুরো এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন। তাহলে আসুন এই মহিলা ইলেকট্রিশিয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

মহিলা ইলেকট্রিশিয়ান সীতা দেবীর পরিচয়:

বর্তমানে বিহারের গয়া জেলার বাসিন্দা সীতা দেবী ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে খুবই বিখ্যাত। তাদের দোকানের কথা যদি বলি, কাশীনাথ মোড়ে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি মেরামতের দোকান আছে সীতা দেবীর। সীতা দেবী জানেন কীভাবে সুইচ থেকে ভাঙা পাখা পর্যন্ত সব ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি মেরামত করতে হয়।

সীতা দেবী যেভাবে ইলেকট্রিশিয়ান হয়ে গেলেন:

প্রায় ১৫ বছর আগে যখন সীতা দেবীর বিয়ে হয় তখন তিনি একজন সাধারণ গৃহিণী ছিলেন। তার স্বামী জিতেন্দ্র মিস্ত্রি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন। তিনি বাড়ির বাইরের কাজ দেখাশোনা করতেন এবং সীতা দেবী ঘর ও বাচ্চাদের দেখাশোনা করতেন। কিন্তু তার স্বামীর স্বাস্থ্য ভালো না থাকায় মাঝে মাঝে স্বামীর সাথে দোকানে বসে তাকে সাহায্য করতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তার স্বামীর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে, তার লিভার ফুলে যায় এবং তিনি আর কাজ করার মতো অবস্থায় ছিলেন না। এরপর সীতা দেবী ঘর ও সন্তানসহ স্বামীর দোকানের পুরো দেখাশুনা শুরু করেন। তার স্বামী তাকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি মেরামত করতে শিখিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে সীতা দেবী পাখা, গ্রাইন্ডার, আলো ইত্যাদি যন্ত্রপাতি মেরামত শুরু করেন। স্বামীকে সাহায্য করতে করতে সীতা দেবী ধীরে ধীরে এসব কাজে পারদর্শী হয়ে ওঠেন।

তিনি তার সন্তানদের সাথে কাজে নিয়ে যেতেন:

সীতা যখন তার স্বামীর দোকান পুরোপুরি দেখাশোনা করতে শুরু করেন, তখন তার ছেলে খুব ছোট ছিল, তার বয়স ছিল মাত্র এক বছর, যাকে সীতা তার সাথে দোকানে নিয়ে যেতেন। শুধু দোকানে আসা সব ভাঙা যন্ত্রপাতিই মেরামত করেননি, প্রয়োজনে বাড়ির বাইরেও যেতেন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে।

এইরকম জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে থাকুন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button