China Dwarf Village: চীনের এই গ্রামটি আজও একটি অজানা রহস্য হয়ে রয়ে গিয়েছে, এখানকার অর্ধেক জনসংখ্যার উচ্চতা ৩ ফুটের কম!
China Dwarf Village: আজ আমরা চীনের একটি রহস্যময় গ্রামের কথা আলোচনা করছি, যেখানকার বেশিরভাগ মানুষ গড় উচ্চতার থেকে অনেক খাটো
হাইলাইটস:
- সমাজে প্রায়ই বামন মানুষদের দুর্বল ভেবে মজা করা হয়
- চীনের এই গ্রামটিতে বামন মানুষের জন্মের কারণ এখনো জানা যায়নি
- চীনের এই গ্রামের রহস্য সমাধানের জন্য বিজ্ঞানীরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন
China Dwarf Village: আজ আমরা আপনাকে চীনের একটি গ্রামের সম্পর্কে বলতে চলেছি, যেখানকার বেশিরভাগ মানুষ গড় উচ্চতার থেকে অনেক খাটো। এই রহস্যময় গ্রামে (Unusual Village) বামন হওয়ার পিছনের কারণ এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের কাছে একটি বড় রহস্য হয়ে রয়েছে। এই গ্রামের সাথে সম্পর্কিত কিছু মজার বিষয় সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন।
We’re now on WhatsApp – Click to join
সমাজে প্রায়ই খাটো মানুষকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিছু মানুষ তাদের উত্যক্ত করে, অনেকে এই ধরনের লোকদের দুর্বল বলে মনে করে, তবে চীনের এই গ্রামে (China’s Village of Short People) জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের উচ্চতা ৩ ফুটের কম। আসুন এই নিবন্ধে এই গ্রামের সাথে সম্পর্কিত আকর্ষণীয় তথ্য সম্পর্কে আপনাকে জানাই।
চীনের রহস্যময় ইয়াংসি গ্রাম
চীনের সিচুয়ান প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইয়াংসি নামে একটি গ্রাম রয়েছে, যেটি তার অনন্য বিশেষত্বের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এই গ্রামের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা বামন মানুষ নিয়ে গঠিত। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন! এখানে ৮০ জনের মধ্যে প্রায় ৩৬ জন মাত্র ২ ফুট ১ ইঞ্চি থেকে ৩ ফুট ১০ ইঞ্চি লম্বা। তাই একে ‘বামনদের গ্রাম’ বলা হয়।
বিজ্ঞানীরা গত ৬৭ বছর ধরে এই রহস্যের সমাধান করার চেষ্টা করছেন যে কেন এই গ্রামের এত মানুষ বামন। আগে এখানকার মানুষ একেবারেই স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু কয়েক দশক আগে এই এলাকায় একটি রহস্যময় রোগ ছড়িয়ে পড়ে, যার পরে এখানে জন্ম নেওয়া শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।
We’re now on Telegram – Click to join
বিজ্ঞানীদের কাছে আজও এক অজানা রহস্য
ইয়াংসি গ্রামে বামন মানুষের আবির্ভাব ১৯১১ থেকে শুরু হয়েছিল। যাইহোক, সমস্যাটি ১৯৫১ সালে সরকারী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল যখন প্রশাসন মানুষের কাছ থেকে অঙ্গ ছোট করার অভিযোগ পেয়েছিল। ১৯৮৫ সালের আদমশুমারিতে, এই গ্রামে প্রায় ১১৯টি এরকম ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল।
এই রহস্যময় রোগের কারণ খুঁজে বের করতে বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে গবেষণা করেছেন। তারা গ্রামের জল, মাটি এমনকি খাদ্যসামগ্রী পরীক্ষা করেও কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পায়নি। এই গ্রামের লোকেদের কেন উচ্চতা বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় তা আজ পর্যন্ত একটি অজানা রহস্য হয়ে রয়ে গিয়েছে।
পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ
চীন সরকার কখনোই ইয়াংসি গ্রামের অস্তিত্ব অস্বীকার করেনি, তবে এই গ্রামটিকে বহির্বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। এখানে কোনো বিদেশি আসতে দেওয়া হয় না। স্থানীয় লোকজন এই গ্রামটিকে অশুভ শক্তির রোষানল বলে মনে করে।
এই রহস্যের সমাধানে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করেছেন। তাঁরা দেখছেন গ্রামের মাটিতে পারদের পরিমাণ অনেক বেশি। মাটিতে বিদ্যমান বিষাক্ত উপাদানের কারণে এখানকার মানুষের উচ্চতা বাড়ছে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান কর্তৃক নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে এই গ্রামটি আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করেন।
Read more:- রাজস্থানের এই গ্রামটি সেরা পর্যটন গ্রাম, এখনকার কোনো ঘরের দরজায় কখনও তালা দেওয়া হয় না!
তবে আজ পর্যন্ত এই রহস্যের কোনো সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। ইয়াংসি গ্রামটি একটি রহস্য হয়ে রয়ে গেছে যা সারা বিশ্বের বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের আকর্ষণ করে চলেছে।
এইরকম আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।