lifestyle

Blue Dog: রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে নীল রঙের কুকুর! এ কোন ভয়ঙ্কর আশঙ্কার মেঘ?

Blue Dog: গুজরাতের রাস্তায় দেখা গেলো নীল বর্ণের সারমেয়!

হাইলাইটস:

  • গুজরাতের ভারুচ জেলার অঙ্কলেশ্বরের অঞ্চলের রাস্তায় দেখা গেল নীল বর্ণের কুকুর
  • অঙ্কলেশ্বর জিআইডিসি-এর আশেপাশে বহু রঙের কারখানা রয়েছে
  • এটি সেই কারখানা থেকে বেড়িয়ে আশা দূষিত জলের প্রভাব বলেই মনে করা হচ্ছে

Blue Dog: গুজরাতের রাস্তায় দেখা গেলো নীল বর্ণের সারমেয়! আপাত ভাবে দেখলে মনে হবে অতি সাধারণ একটি পথের কুকুর। কিন্তু তাদের গায়ের রঙ দেখলে চোখ কপালে উঠবে। কখনও নীল তো কখনও গোলাপি।

বিষয়টি কিন্তু একেবারেই মজার নয়। বরং এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক তীব্র যন্ত্রণা আর ভয়ঙ্কর আশঙ্কার ইঙ্গিত। গুজরাতের ভারুচ জেলার অঙ্কলেশ্বরের পরিচিত শিল্পতালুক হিসাবে। এই অঞ্চলে গড়ে ওঠা শিল্পসংস্থায় স্থানীয়দের পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকেও কাজের জন্য বহু মানুষ আসছেন। তাই গত কয়েক বছরে এই অঞ্চলের মনুষ্যবসতি ক্রমশ ঘন হয়েছে।

কিন্তু বিপদ বাড়ছে অন্যদিকে। প্রতিনিয়ত এলাকার জলে অতি উচ্চমাত্রায় মিশছে বিষাক্ত রাসায়নিক। তার ফলে মানুষের পাশাপাশি পশুরাও মারাত্মক বিপদের মুখে পড়েছে। এই নীল বর্ণের কুকুরটি তারই দৃষ্টান্ত।

তবে শুধু এই কুকুরটিই নয়। এর আগে চোখে পড়েছিল একটি গোলাপি কুকুর। আসলে এখানে রয়েছে বিভিন্ন রঙের কারখানা। সেই সব রঙই পশুদের শরীরে লাগছে বলে মনে করা হচ্ছে। বহু রঙিন প্রাণীর দেখা মেলে এই সব কারখানার আশপাশে। কয়েকদিন দিন আগেই এই এলাকায় একটি গোলাপি কুকুর দেখা গিয়েছিল। সেই সময় গোলাপি কুকুরটি নিয়ে তুমুল চর্চা হয়। আর এবার নীল কুকুরটি উঠে এসেছে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।

রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো নীল রঙের এই কুকুর দেখে হতবাক মানুষ। অনেকেই মনে করছেন রঙের কারখানার আশপাশে ঘুরে বেড়ানো এই কুকুরগুলির গায়ে কারখানায় উৎপাদিত রঙই লেগেছে।

পশুপ্রেমী সংগঠনগুলির দাবি, রং প্রস্তুতকারী কারখানাগুলির রাসায়নিক বর্জ্য মিশ্রিত জলই এই অবস্থার জন্য দায়ী। এই জলের কারণেই কুকুরের গায়ের রং বদলে গেছে। অঙ্কলেশ্বর জিআইডিসি-এর আশেপাশে বহু কারখানা থেকেই দূষিত জল বাইরে বেরিয়ে আসে। প্রায় কেউই নির্দিষ্ট বর্জ্য নিষ্কাশন পদ্ধতি মানে না।

এই কারখানাগুলির আশপাশে অনেক শ্রমিক পরিবারেরও বসতি রয়েছে। তাঁদের শরীরেও বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রভাব পড়তে পারে, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা।

দেশ ও দুনিয়ার আরও অজানা তথ্য পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button