12th Fail: নিজেদের বিয়ের কিছু মজাদার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন রিয়েল লাইফ টুয়েলভথ ফেল জুটি! জেনে নিন তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল

12th Fail: তাঁদের বিয়েতে আমন্ত্রিতদের তুলনায় দ্বিগুণ অতিথি আসায় শেষে খাবার শর্ট পড়ে যায়

 

হাইলাইটস:

  •  নিজেদের বিয়ের স্মৃতিচারণ করলেন মনোজ-শ্রদ্ধার
  •  তাঁদের জীবনকাহিনি অবলম্বনে বানানো হয়েছে টুয়েলভথ ফেল ছবিটি
  •  হাসিচ্ছলে বিয়ের নানা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন দম্পতি

12th Fail: ২৭ অক্টোবর বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালিত টুয়েলভথ ফেল ছবিটি মুক্তি পায় বড় পর্দায়। তবে ছবিটি বক্স অফিসে তেমন একটা সাড়া ফেলতে পারেনি। তবে সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রিলিজ হতেই প্রশংসার ঝড় ওঠে। ফিল্ম ক্রিটিক থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ছবির ক্লিপিংস শেয়ার করে প্রশংসা স্তুতি গেয়ে চলেছেন নেটিজেনরা। সকলেরই জানা এই ছবিটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানানো হয়েছে। ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে বাস্তবের আইপিএস অফিসার মনোজ কুমার শর্মা ও তাঁর স্ত্রী আইআরএস অফিসার শ্রদ্ধা যোশীর কাহিনি। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যম মনোজ-শ্রদ্ধার সাক্ষাৎকার নেয়। সেই সাক্ষাৎকারে তাঁদের বিয়ের গল্প সহাস্যে ভাগ করে নিয়েছেন মনোজ-যোশী।

We’re now on WhatsApp – Click to join

পাহাড়ি কন্যা শ্রদ্ধার বাড়ি আলমোরাতে। অন্যদিকে বিহারের চম্বলে থাকেন মনোজ। বিয়ের সময়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতার কথা হাসতে হাসতে জানালেন শ্রদ্ধা। ‘সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। আমরা কখন বন্দুক দেখিনি। আর এদিকে দেখলাম বারাতে সকলে কাঁধে করে বন্দুক নিয়ে আসছেন। আনন্দ উচ্ছ্বাসে ঘনঘন আকাশের দিকে তাক করে গুলি ছুঁড়ছেন। এসব দেখে তো রীতিমতো তাক লেগে গিয়েছিল।’ জানালেন শ্রদ্ধা। দু’জনের সংস্কৃতি, আদব-কায়দায় বিস্তর ফারাক। তবুও মনের মিলনের কাছে কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।

নিমন্ত্রিতদের নিয়েও এক মজার কাহিনি ভাগ করে নিলেন। বিয়েতে মোটামুটি হাজার-দেড় হাজার জনকে আমন্ত্রণ করেছিলেন মনোজ। আর নেমন্তন্ন খেতে এসেছিলেন প্রায় তিন হাজারের মতো লোক। খাবার তখন শেষ হওয়ার জোগার। শেষ পর্যন্ত তরকারির পরিমাণ বাড়াতে জল ঢালতে বললেন মনোজ নিজেই। নিমন্ত্রিতদের থেকে দ্বিগুণের বেশি লোক বিয়েতে হাজির। অগত্যা তাই এমন সিদ্ধান্ত!

বিয়ের আরও একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন দম্পতি। বিয়েতে IG-কে আমন্ত্রণ করেছিলেন মনোজ। এদিকে IG যখন পৌঁছেছেন তখন সব খাবার শেষ। মশকরা করে আইজি স্টেজের সামনে গিয়ে মনোজকে ৫০০ টাকা দিতে বললেন। এসব দেখে কিছুটা অবাক হয়ে যান শ্রদ্ধা। আইজি তখন হেসে বলেন, ‘এখন বাড়ি ফিরে তো আর বউ খেতে দেবে না। তোমার এখানে তো খাবার শেষ। তাই টাকা দাও, বাইরে থেকেই কিনে খেয়ে নিই। ‘ খাবার তো তখন শেষ হয়ে গিয়েছে, এদিকে সব শেষে নব দম্পতি একে অপরকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছেন এমন কিছু ছবি তোলার জন্যও তো ন্যূনতম খাবার বাঁচিয়ে রাখতে হবে। চুপি চুপি মনোজ তাঁর বন্ধুদের পরামর্শ দিলেন যে কিছু খাবার অন্তত বাঁচিয়ে রাখতে। নিজেদের বিয়ের এমন অনেক টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করতে গিয়ে স্মৃতি মেদুর হয়ে পড়লেন দু’জনেই। সে যেন এক রূপকথার আনন্দময় দিন। পরিপূর্ণতা পেয়েছিল তাঁদের স্বপ্নগুলো।

এইরকম বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.