lifestyle

সারারাত ভিজিয়ে রাখা কিশমিশের জল খেলে এই ৩টি রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব

শরীর সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই পানীয়টি

আমরা প্রত্যেকেই ড্রাই ফ্রুটস খেতে ভালোবাসি। আর এই ড্রাই ফ্রুটসগুলির মধ্যে কিশমিশ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কারণ এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার। তাই শরীর সুস্থ রাখতে পারে এই খাবার। আবার কিশমিশ সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে পরেরদিন সকালে সেই জল খেলে মিলবে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা।

কিশমিশ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন রোগের জন্য দারুণ কার্যকরী ভূমিকা নেয়। অ্যানিমিয়া থেকে শুরু করে নানা অসুখ দূর করে দেয় এই খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই খাবারটিকে জলে ভিজিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে জলে ভিজিয়ে খেলে উপকার আরও অনেকটা বেশি মেলে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:

১. ত্বকের জন্য উপকারী : শীতকাল এসে গেছে, এই সময়ে নানারকম গুরুতর সমস্যা দেখা দেয় ত্বকে। এই পরিস্থিতিতে আপনি খেতে পারেন এমন কিছু খাবার, যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখে। এর সাথে ত্বকও উজ্জ্বল রাখে। সেই তালিকায় কিশমিশের জল একদম প্রথম সারির খাদ্য। এই জল খেলে ত্বক ভালো থাকে। তাই শীতকালে ত্বক নিয়ে বেশি চিন্তা করার দরকার নেই।

২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : এখনকার দিনে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ঘরে ঘরে। পেট পরিষ্কার না হওয়ার ফলে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। এই সমস্যায় জর্জরিত মানুষগুলি প্রতিদিন সকালে কিশমিশের জল খেতে পারেন। এতে ভালো থাকে বিপাকের হার। এমনকী পেটও পরিষ্কার হয়ে যায় দ্রুতগতিতে।

৩. ওজন কমায় : অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক প্রমান হতে পারে। আর এখনকার দিনে প্রতিনিয়ত মানুষ এই রোগে আক্রান্তও হচ্ছেন। আপনি শরীরের ওজন কমাতে চাইলে কিশমিশ জল খেতে পারেন। এতে থাকে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ। ফলে শরীরে মেলে অনেকটা শক্তি। এমনকী ওজন বাড়ে না।

কিশমিশের জল কী ভাবে খাবেন?

•প্রথমে ১৫০-১৮০ গ্রামের মতো কিশমিশ নিন। তারপর সেগুলি ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

•তার সাথে ২ কাপ জল মেশান।

•তারপর সেটি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।

•সকালে উঠে খেয়ে নিন জল ও কিশমিশ দুটোই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button