শীতকালে সর্দি-কাশি নামক অসুখ থেকে বাঁচতে ডুমুর ফল খান
শীতকালের একটি অতি কার্যকরী ফল হল ডুমুর
শীতকাল তো এসেই গেছে এবং আমরা প্রায় অধিকাংশই শীতকাল পছন্দও করি। লেপ বা কম্বলের উষ্ণতা, গরম খাবার, আদা চা এই ঋতুকে আরও বেশি স্বস্তিদায়ক করে তোলে। কিন্তু এই সময়ই নানা রোগেরও সৃষ্টি হয়। তাই একটুখানি অসাবধানতাও আপনার জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণ হতে পারে। তাই ডাক্তাররা শীতকালে আপনার খাবার ও পানীয়ের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেন।
পুষ্টিবিদ লাভনীত বাত্রা বলেন যে, এমন ঠান্ডার দিনে আপনার খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা পুষ্টিতে ভরপুর এবং একই সঙ্গে শরীরকে উষ্ণ রাখতেও কাজ করে। তেমনই একটি বিশেষ ফল হল ডুমুর। খাদ্য বিশেষজ্ঞরা এটিকে শীতের দিনের সুপারফুড বলে মনে করেন। কারণ এতে উপস্থিত পুষ্টি ও ওষধি গুণাগুণ শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ডুমুরের উপকারিতাগুলি হল:
ডুমুর শ্বাসযন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে: প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন A, C এবং খনিজ লৌহ, ক্যালসিয়াম ইত্যাদিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর ডুমুর শ্বাসযন্ত্রকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এর সাথে এটি প্রাকৃতিকভাবে কফ পরিষ্কার করে, গলা ব্যথা প্রশমিত করে, কাশি এবং ফুসফুসের রোগও প্রতিরোধ করে।
ডুমুর ফল খাওয়া ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী: ভিটামিন C, E, A এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ ফল ডুমুর ত্বকের পুষ্টি জোগাতে এবং ত্বকের কোষগুলিকে সজীব রাখতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়।
ডুমুরের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ফাইবার: আমরা প্রায়ই দেখি ঠান্ডার দিনে গরম খাবার খেতে গিয়ে আমাদের বদহজম হয়ে যায়। এমন অবস্থায় ডুমুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আসলে ডুমুরে থাকে প্রাকৃতিক ফাইবার। এমন পরিস্থিতিতে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি ওষুধ হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে।
শীতের মরসুমে শরীরের ভিতরের উষ্ণতার জন্য ডুমুর খান: ডুমুর আপনাকে একদম ভিতর থেকে শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। যার কারণে ঠাণ্ডা, ফ্লু-সহ নানা সংক্রমণ থেকে আমাদের শরীর দীর্ঘ সময় দূরে থাকতে পারে।
ডুমুর খেলে আবার হাড়ের গঠন মজবুত থাকে: ডুমুর প্রধানত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস সহ হাড়-বান্ধব খনিজগুলির একটি প্রধান উৎস। তাই হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য এটি খাওয়া ঠান্ডার দিনে আপনার জন্য উপকারী প্রমাণ হতে পারে।
পরিশেষে বলা যায় যে, শীতের মরসুমে ডুমুর খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।