আপনার প্রেমিক কী আপনাকে সব ব্যাপারে বারণ করেন? যদি এমন বন্দিদশা কাটান তবে এই কৌশলগুলি শিখে রাখুন
বন্দিদশা থেকে মুক্তির উপায়গুলি জেনে নিন
সবার জীবনেই টানাপোড়েন লেগে থাকে। কেউ সম্পর্কে ভালো থাকেন তো আবার কেউ খারাপ থাকেন। সুখ-দুঃখ দুই মিলেই আমাদের জীবন। জীবনে সবকিছু আমাদের মন মতো হয় না বরং মনের মতো করে নিতে হয়। অনেক সময় ভুল মানুষের সাথে আমাদের পরিচয় হয়। দুজনেই আলাদা জগতের মানুষ। চিন্তাভাবনাও আলাদা। কিন্তু মন আমাদের বড়োই চঞ্চল। অবশেষে সেই মানুষগুলি একদিন ঠিকই আমাদের মনে জায়গা করে নেন।
সব কিছু ভালো চললেও তার সব ব্যাপারে বারণ আপনাকে অতিষ্ট করে তোলে। তখন যেন মনে হয় দেশের একজন স্বাধীন নাগরিক হয়েও স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু আপনার একটা নিজের জীবন রয়েছে। তবে আপনার প্রেমিক হয়তো এই বিষয়টি ভুলে গিয়েছেন। আপনারও এই বন্দিদশা কাটাতে আর ভালো লাগে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিটি মানুষের চিন্তাভাবনা আলাদা। কারণ তারা সকলেই আলাদা মানুষ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ মানুষ তার প্রেমিকার নানা সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেন। আর তখনই শুরু হয় সম্পর্কে ফাটল। ফলে এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা কিছু কৌশল খুঁজে বার করেছি। দেখে নিন সেগুলি –
১. প্রথম দিয়েই পদক্ষেপ নিন:
আপনি যদি প্রথম দিয়েই পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন তবে পরে এইরকম সমস্যা দেখা যাবে না। কিন্তু যদি প্রথম দিয়েই পদক্ষেপ না নেন তবে আমরা বলবো ভুল আপনিই করেছেন। কারণ পদক্ষেপ না নিয়ে তাকে মাথায় আপনি নিজেই তুলেছেন। তার সব বাঁধা আপনি মুখ বুঝে সহ্য করে গেছেন যেটি আপনার একদমই উচিত হয়নি। তাই এর পিছনে আপনারও দোষ রয়েছে। প্রথমদিনই যদি আপনি তার মুখ বন্ধ করে দিতেন, দেখতেন তিনি আর এই ধরনের ব্যবহার করার সাহস পেতেন না।
২. এইরকম ব্যবহারের কারণ কী?
তার এইরকম ব্যবহারের সঠিক কারণ খোঁজার চেষ্টা করুন। তার অতীতের কোনও স্মৃতি তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে কী না ভালো করে জানুন তার থেকে। অথবা আপনার কোথাও ভুল আছে কী না সেই বিষয়েও নজর দিন। যদি ভুল থাকে সংশোধন করার চেষ্টা করুন। কেন সে সব বিষয়ে বাঁধা দেন এবং আপনি তাতে একে বারে বন্দি হয়ে আছেন সে বিষয়টি তাকে বলুন এবং যদি সে উত্তর সঠিক না দেয় তবে আপনি উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন।
৩. তার সাথে এই ব্যাপারে কথা বলুন:
আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল, তার সাথে এই ব্যাপারে ঠান্ডা মাথায় কথা বলতে হবে। তার এই আচরণ আপনি যে আর মেনে নিতে পারছেন না, তা পরিষ্কার করে স্পষ্ট ভাষায় তাকে বলুন। এই বিষয়টি তাকে ভালো করে বোঝান যে, এমন ব্যবহার আপনাদের সম্পর্কের জন্য খারাপ ফল আনবে। কারণ এইরকমভাবে কোনও সুন্দর সম্পর্ক চলতে পারে না। এটি বলে দেখুন কাজটি সহজ হবে।
৪. আপনিও তার সাথে একই ব্যবহার করুন:
সে আপনাকে সব বিষয়ে বারণ করেন। আজ থেকে আপনিও তাকে সব বিষয়ে বারণ করুন। আপনি যখনই তার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করবেন, তখন তিনি বিষয় সেটি ভালো চোখে নেবেন না, তার সেগুলি মানতে কষ্ট হবে। তখন তাকে নিজের পরিস্থিতির কথা বলুন। আশা করি তখনই সে বুঝতে পারবেন আপনার পরিস্থিতিটি। আর সমস্যার সমাধান এইভাবেও করা যেতে পারে।
৫. এমন সম্পর্ক না রাখাই ভালো:
আপনার সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে সম্পর্ক দিয়ে বেরিয়ে আসুন। কারণ আপনাদের সম্পর্কটি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যেটির বিচ্ছেদ নিশ্চিত। তাই এইরকম টক্সিক সম্পর্কে থাকার থেকে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া অনেক ভালো। কারণ আপনাদের সম্পর্কে ভালোবাসা কম টক্সিসিটি বেশি হয়ে গেছে। এইরকম সম্পর্কের শেষ পরিণতি বিচ্ছেদেই হয়। তাই এইরকম টক্সিক সম্পর্ক দিয়ে নিজেকে দূরে রাখুন।