World Health Day 2025: উন্নত মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ, এই ৫টি টিপস মানসিক চাপ কমাবে
মানসিক চাপ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো শারীরিক কার্যকলাপ। ব্যায়াম করলে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, যা আপনার মেজাজ উন্নত করে।

World Health Day 2025: জেনে নিন এমন ৫টি স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট টিপস সম্পর্কে যা আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে
হাইলাইটস:
- ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে
- অতিরিক্ত চাপ মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে
- মানসিক চাপ কমাতে, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ
World Health Day 2025: বর্তমানের দ্রুতগতির পৃথিবীতে, মানসিক চাপ (Stress) একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের চাপ, পারিবারিক দায়িত্ব, আর্থিক উদ্বেগ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব – এই সবকিছুই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কিন্তু যদি মানসিক চাপ সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়, তাহলে আমরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারি। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (World Health Day 2025) উপলক্ষে, আসুন জেনে নিই ৫টি স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট টিপস (Stress Management Tips), যা আপনাকে শান্ত এবং ইতিবাচক থাকতে সাহায্য করবে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের ৫টি টিপস
নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগব্যায়াম
মানসিক চাপ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো শারীরিক কার্যকলাপ। ব্যায়াম করলে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, যা আপনার মেজাজ উন্নত করে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো বা যোগব্যায়াম করলে মানসিক চাপ কমে। যোগাসনের ভঙ্গি যেমন শবাসন, বালাসন এবং প্রাণায়াম (ভাস্ত্রিকা, অনুলোম-বিলোম) মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন
ঘুমের সাথে মানসিক স্বাস্থ্যের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কম ঘুমালে বিরক্তি, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। ভালো ঘুমের জন্য-
• রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল এবং ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে দিন।
• ঘুমানোর সময় নির্ধারণ করুন।
• ক্যাফেইন এবং অতিরিক্ত ভাজা ও মশলাদার খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
• ঘুমানোর আগে হালকা সঙ্গীত শুনুন অথবা ধ্যান করুন।
মাইন্ডফুলনেস এবং মেডিটেশন
মাইন্ডফুলনেস মানে বর্তমানে বেঁচে থাকা। প্রায়শই আমরা অতীতের ভুলগুলোতে অথবা ভবিষ্যতের চিন্তায় ডুবে থাকি, যা মানসিক চাপ বৃদ্ধি করে। মেডিটেশন এবং গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মনকে শান্ত করে। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন করলে মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায় এবং চাপের মাত্রা কমে।
We’re now on Telegram – Click to join
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং হাইড্রেশন
আমাদের খাদ্যাভ্যাস সরাসরি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার মানসিক চাপ বাড়ায়। পরিবর্তে-
• ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খান।
• গ্রিন টি বা হার্বাল টি পান করুন, যা উদ্বেগ কমায়।
• সারাদিন প্রচুর জল পান করুন, কারণ জলশূন্যতার ফলে ক্লান্তি এবং বিরক্তি হতে পারে।
Read more:- ২৫ বছর বয়সের পর নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়, এগুলি দূর করতে এই ৫টি ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন
সোশ্যাল সাপোর্ট এবং শখ
একাকীত্ব মানসিক চাপ বাড়ায়। বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে সময় কাটানো মানসিক সমর্থন প্রদান করে। এছাড়াও, ছবি আঁকা, নাচ বা গান শোনার মতো আপনার প্রিয় শখগুলো অনুসরণ করে সময় ব্যয় করুন। এই কার্যকলাপগুলি মনে ইতিবাচক শক্তি যোগায়।
স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।