health

Remedies of Diarrhea for your kids: অসহ্যনীয় গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপে পড়েছে কী আপনার সন্তান? ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ থেকে মুক্তির উপায়

অসহ্যনীয় গরমে নাজেহাল গোটা বাংলা। বৃষ্টির দেখাও মিলছে না। সকলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বৃষ্টির আশায়।

Remedies of Diarrhea for your kids: ঘরোয়া পদ্ধতিতেও অনেক রোগের প্রতিরোধ সম্ভব

হাইলাইটস:

• এই জ্বালাপোড়া গরমে আট থেকে আশি সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন

• বিশেষ করে বাচ্চারা ডায়রিয়ার প্রকোপে পড়ছে

• ডায়রিয়া থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়গুলি জেনে নিন

Remedies of Diarrhea for your kids: অসহ্যনীয় গরমে নাজেহাল গোটা বাংলা। বৃষ্টির দেখাও মিলছে না। সকলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বৃষ্টির আশায়। কিন্তু প্রতিদিনই হতাশ করছে প্রকৃতি। সমস্যা হল, এই ধরনের পরিস্থিতিতে একাধিক শারীরিক সমস্যা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। মূলত, ছোটদেরই অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকছে বেশি। এই অসহ্যনীয় গরমের দাবদহে বেশির ভাগ মানুষের পেটের সমস্যা হচ্ছে, বিশেষ করে ছোটদের। আপনার বাচ্চার কী পেট ব্যথা করছে? ঘন ঘন বাথরুমে যাচ্ছে সে? এই লক্ষণগুলি থাকলে হতে পারে তার ডায়রিয়া হয়েছে। এই লক্ষণগুলি থাকলে বুঝতে পারবেন আপনার সন্তান ডায়রিয়ায় ভুক্তভোগী কিনা। সঙ্গে রইল কারণ এবং প্রাকৃতিক ভাবে এই রোগ নিরাময়ের উপায়ও।

শিশুদের ডায়রিয়া হল তাদের পেট খারাপের সাথে সাথে থাকে বমি এবং অস্বস্তি ভাব। সাধারণত এই রোগটি পাঁচ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। এছাড়াও এই রোগের আরও বেশ কিছু লক্ষণ থাকে। কিন্তু অনেক সময় বাড়ির খুদে সদস্যের ডায়রিয়া হয়েছে কিনা আমাদের বোঝা সম্ভব হয় না। কীভাবে বুঝবেন যে আপনার সন্তানের ডায়রিয়া হয়েছে কিনা। নইলে বিপদ আরও বাড়বে। কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ না করে ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

কী কারণে ডায়রিয়া হতে পারে? 

ছোটদের নানান কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। তার মধ্যে প্রধান হল ভাইরাসের আক্রমণ। শরীরে ভাইরাস আক্রমণের ফলে ডায়রিয়া হয়। মূলত শিশুদের বয়স যখন খুব কম থাকে তখন এটা স্বাভাবিক। আবার তাদের খাবার পরিবর্তন হলে এই রোগ হয়। বেশি পরিমাণে ফলের রস খাওয়ালেও ডায়রিয়া হয়। অনেক সময় কোনও একটি নির্দিষ্ট ফল বা খাবার তাদের সহ্য না হলে, অথবা কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে ডায়রিয়া হতে পারে।

• ডায়রিয়া নিরাময় করবে ওআরএস:

ওআরএস হল ডায়ারিয়ার সমস্যা নিরাময়ের অন্যতম অস্ত্র। এই রিহাইড্রেশন সলে থাকা উপাদান শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা করে ডায়রিয়ার প্রকোপ কমায়। আপনার বাচ্চাকে ওআরএস খাওয়ালে ডায়রিয়া সমস্যার সমাধান হবে। এক লিটার জলে একটি গোটা ওআরএস-এর প্যাকেট মিশিয়ে সারাদিন ধরে শিশুকে একটু একটু করে খাওয়ান। এর ফলে বার বার পায়খানা যাওয়া এবং বমি বমি ভাব কমবে।

• যথেষ্ট পরিমানে পান করতে হবে জল:

জল হল মানব দেহের প্রোটপ্লাজোমের অন্যতম উপাদান। ডায়ারিয়া হলে আপনার সন্তান বার বার পায়খানা যায় এবং তার ফলে দেহ থেকে অনেক পরিমান জল বেরিয়ে যায়। ফলে আশঙ্কা বাড়ে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। এই জলের ঘাটতি মেটানো অবিলম্বে প্রয়োজন। আর সেই কারণেই তাকে প্রতি আধ ঘণ্টা অন্তর জলপান করান। কিন্তু মাথায় রাখা দরকার একসঙ্গে অনেক পরিমান জলপান যেন না করানো হয়। এতে সমস্যা বাড়বে। এক্ষেত্রে বমি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই অল্প অল্প করে জলপান করিয়ে বাচ্চাকে সুস্থ করতে হবে।

• টক দইয়ের প্রয়োজনীয়তা:

মল ধরে আসলে সন্তানকে প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার খাওয়ান। যেমন দই, দইয়ে রয়েছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিক। এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া উন্নতি করে অন্ত্রের স্বাস্থ্য। এমনকী কোলোনে উপস্থিত খারাপ ব্যাকটেরিয়ার শেষ করে। ফলে প্রকোপ কমে ডায়ারিয়ার। এক্ষেত্রে দই বা দইয়ের তৈরি ঘোল বাচ্চাকে খাওয়ালে তার উপকার হবে।

• সমস্যা সমাধান ডাবের জলেই:

ডাবের জল হল ওআরএস জলের প্রাকৃতিক বিকল্প। ডাবের জলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম-পটাশিয়াম। তাই দেহের ইলেকট্রোলাইটস ব্যালেন্স করার কাজে এর জুড়ি মেলা ভার। দেহে জলের ঘাটতি মেটানোর কাজটিও ডাবের জল সেরে ফেলে অনায়াসে। তাই সন্তান ডায়ারিয়ায় ভুগলে তাকে ধীরে ধীরে একটি ডাবের জল সারাদিন ধরে খাওয়ান। এছাড়াও নুন-চিনির জল খাওয়ানো জেতে পারে, তাতেও বাচ্চার পেটের সমস্যার সমাধান হবে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধ করার উপায়:

কয়েকটি বিষয় মেনে চললে আপনার সন্তান ডায়ারিয়ার মতো রোগ থেকে দূরে থাকবে-

১. আপনার সন্তান যাতে বাইরের অপরিষ্কার জলপান না করে সেই বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে

২. এখনকার বাচ্চাদের বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি। বাইরের খাবার থেকে যতটা সম্ভব বাচ্চাকে দূরে রাখুন।

৩. রাস্তার ফুটপাথে যে কোনো দোকানের কাটা ফল কিংবা ওই ফলের রস না খাওয়ানোই শ্রেয়।

৪. আজকালকার বাচ্চাদের ফাস্ট-ফুডের দিকে ঝোঁক বেশি। ফাস্ট ফুড বা যে কোনও বাইরের খাবার এই সময় এড়িয়ে যেতে হবে। তার বদলে বাড়িতে তৈরি হালকা খাবারের প্রতি তাদের ভালোবাসা বাড়ানো প্রয়োজন। এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি মিটবে। সাথে সাথে রোগ- ব্যাধিও দূরে থাকবে।

এই কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি এবং নিয়ম মেনে চললেই আপনার সন্তানকে ডায়রিয়ার রোগ থেকে দূরে ও তাকে সুস্থ রাখতে সক্ষম হবেন।

এইরকম স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button