Pharmacists: আপনি কী একজন ফার্মাসিস্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন? এবার আপনিও গড়তে পারবেন ফার্মাসিস্ট হওয়ার মত আকর্ষণীয় কেরিয়ার! ভাবছেন কীভাবে? রইল বিস্তারিত
একজন ফার্মাসিস্ট হতে গেলে প্রাথমিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতেই হবে। তবে মনে রাখবেন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করার সময় যেন বিজ্ঞান বিষয় থাকে।
Pharmacists: আপনারও কী ওষুধ নিয়ে পড়াশোনা করতে ভালো লাগে? ভাবছেন ফার্মাসিস্ট হতে গেলে কীভাবে এগোবেন? জেনে নিন কী কী যোগ্যতার প্রয়োজন
হাইলাইটস:
- ওষুধের দোকানের লাইসেন্স হয় একজন ফার্মাসিস্টের নামেই
- আপনারও কী বড় হয়ে এই বিষয়ে কেরিয়ার গড়ার ইচ্ছা?
- তবে এখনই জেনে নিন ফার্মাসিস্ট হতে গেলে কী প্রয়োজন?
Pharmacists: ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার অনেকেই হতে চান তবে ফার্মাসিস্টদের কদরও কিন্তু কম নয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক অবিচ্ছেদ্য ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল ফার্মাসিস্ট। ডাক্তারদের কাজ হচ্ছে রোগীদের রোগ নির্ণয় করে ওষুধ লিখে দেওয়া। ওষুধ সংক্রান্ত সমস্ত জ্ঞান এবং তার প্রয়োগ সম্পর্কে ডাক্তার কী পরামর্শ দিচ্ছেন তা বুঝে নিয়ে রোগীকে তা সহজভাবে বুঝিয়ে দেওয়া এবং সঠিক ওষুধ ব্যবহারে সহায়তা করাই মূল কাজ ফার্মাসিস্টদের। প্রত্যেক ওষুধের দোকানে নিয়ম অনুযায়ী ফার্মাসিস্ট থাকাটা অত্যন্ত আবশ্যক। তাই ওষুধের দোকানের ক্ষেত্রে লাইসেন্স হয় একজন ফার্মাসিস্টের নামেই। আপনারও কী ওষুধ নিয়ে পড়াশোনা করতে এবং ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভাল লাগে? বড় হয়ে কী আপনি এই বিষয়ে নিজের কেরিয়ার গড়তে চান? কিন্তু এই ফার্মাসিস্ট হতে গেলে কী কী যোগ্যতার প্রয়োজন জানেন? এখানে রইল বিস্তারিত–
We’re now on WhatsApp- Click to join
একজন ফার্মাসিস্ট হতে গেলে প্রাথমিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতেই হবে। তবে মনে রাখবেন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করার সময় যেন বিজ্ঞান বিষয় থাকে। সাব্জেক্ট কম্বিনেশনের ক্ষেত্রে থাকতে হবে বায়োলজি, কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স এবং অঙ্ক। ভবিষ্যতের কলেজে ভর্তির জন্য সহায়ক হল উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফলাফল।
We’re now on Telegram- Click to join
মূলত এই ফার্মাসি কোর্স হয় দুই ধরনের।
Diploma in Pharmacy (D.Pharm):
মূলত, এই কোর্সের সময়সীমা হচ্ছে ২ বছর। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরই এই কোর্সে ভর্তি হতে করতে পারেন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা। রাজ্যে D.Pharm-এ ভর্তির জন্য সাধারণত হয় JEXPO বা কলেজভিত্তিক মেধাতালিকা। এই কোর্সে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত থাকে ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলজি, ওষুধ সংরক্ষণ, ওষুধ তৈরি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়।
কোর্স শেষ হলে রাজ্য ফার্মাসি কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিয়ে, সরকারি ও বেসরকারি ফার্মেসিতে করা যেতে পারে চাকরি। ওষুধের দোকানও খুলতে পারেন নিজের নামে লাইসেন্স বার করে নিয়ে।
View this post on Instagram
Bachelor of Pharmacy (B.Pharm):
এই কোর্সের সময়সীমা হচ্ছে একটু বেশি। চার বছরের স্নাতক কোর্স। B.Pharm করতে গেলে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০% নম্বর সহ ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং বায়োলজি বা অঙ্ক-এ ভাল নম্বর পাওয়া অবশ্যক।
পশ্চিমবঙ্গে WBJEE (ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম) দিয়ে ভর্তি হতে হয় B.Pharm-এ। এই কোর্সে পাঠ্যক্রমে ওষুধের সংরক্ষণ, উৎপাদন, হসপিটাল ফার্মাসি, ক্লিনিকাল ফার্মাসি, ফার্মাসিউটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
কোর্স শেষ হলে সরকারি অথবা বেসরকারি হাসপাতাল, গবেষণা সংস্থা, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, রিটেল চেইন ইত্যাদিতে মেলে কাজের সুবর্ণ সুযোগ।
এছাড়া আরও পড়াশোনা করতে চাইলে উচ্চশিক্ষা হিসেবে MBA in Pharmaceutical Management বা Clinical Research, M.Pharm নিয়ে করা যায় পড়াশোনা।
এই ফার্মাসিস্ট হিসেবে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট পদে রয়েছে চাকরির সুযোগ। আছে ওষুধ কোম্পানিতে মার্কেটিং, উৎপাদন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইত্যাদি ক্ষেত্রেও কাজ। এমনকি খাকে নিজের মেডিসিন দোকান খোলার সুবর্ণ সুযোগও।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।