Coronavirus: আবারও বাড়ছে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, কিন্তু কেন? এই মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়ই বা কী?
সঠিক তথ্য জেনে নিন চিকিৎসকদের কাছ থেকে
হাইলাইটস:
•আবারও বাড়ছে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা
•আমাদের অসচেতনার জন্য আবারও ফিরে আসছে এই ভাইরাসটি
•করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়গুলি জেনে নিন
Coronavirus: করোনা ভাইরাস (Coronavirus) নামটি শুনলেই যেন ৩ বছর আগের সব কথা মনে পড়ে যায়। সারা পৃথিবী জুড়ে কীভাবে তান্ডবলীলা চালিয়ে গেছিল এই ভাইরাসটি। ভারতবর্ষ জনসংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় হওয়ায় করোনা ভাইরাস (Coronavirus) ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। সেই সময় দেশ জুড়ে দেখা যাচ্ছিল শুধুই কান্না, হাহাকার। বহু মানুষ তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এই ভাইরাসের জন্য। এত লড়াই-এর পর দেশ যখন স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছিল তখন করোনা ভাইরাস আবারও তার প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে দিল।
কিন্তু প্রশ্ন হল, কেনই বা বার বার করোনা ভাইরাস ফিরে ফিরে আসছে এক একটি রূপ নিয়ে? যখনই মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করার চেষ্টা করছে তখনই আবারও তাদের আঘাত আনছে এই ভাইরাসটি। বেশ কিছুদিন মৌন অবস্থায় থাকার পর আবারও মাথা চারা দিতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। একের পর এক ভাইরাসের আক্রমণে দেশ যখন ব্যতিব্যস্ত তখন আবারও দেশের মাটিতে হানা দিল করোনা ভাইরাস। অবশ্য কোভিড ভ্যাকসিন সকলেরই নেওয়া। তাও অ্যাডিনো, ইনফ্লুয়েঞ্জার এবং তার সাথে করোনা ভাইরাস এই তিন শত্রুর আক্রমণে সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা।
করোনা ভাইরাস আমাদের পিছু ছাড়বে না:
ইতিমধ্যে ভারতের বেশ কিছু জায়গায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। এমনকি সেই জায়গাগুলিতে ফের বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। যেটি অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। চিকিৎসকদের মতে, করোনা ভাইরাস আমাদের ছেড়ে যাবে না। এই ভাবেই বারে বারে ফিরে আসবে। অসচেতন থাকলেই এই ভাইরাস তার আক্রমণ চালাবে। আবার কিছুদিন স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম করে মেনে চললে প্রতিরোধও সম্ভব। এভাবেই চক্রাকারে গোটা বিষয়টা চলতে থাকবে। যেহেতু সকলেরই ভ্যাকসিন নেওয়া আছে তাই ভয়ের কোনও কারণ দেখেছেন না চিকিৎসক মহলের একাংশ।
কিছুদিন মৌন থাকার পর মাথা চারা দেওয়ার কারণই বা কী?
যখন সকলেই করোনা ভাইরাসকে ভুলে যেতে শুরু করেছিল ঠিক তখনই আবারও মাথা চারা দিতে শুরু করল এই ভাইরাস। হঠাৎ করেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে আমাদের দেশে। এর কারণ হল –
•অসচেতনার অভাব
•অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা
•মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার বন্ধ করা
•বুস্টার ডোজ না নেওয়া
•বিভিন্ন মিটিং-মিছিলে অংশ নেওয়া
•ভিড় ট্রেন অথবা বাসে যাতায়াত
কোনও একটি লক্ষণ দেখা দিলেই তড়িঘড়ি টেস্ট করান:
জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে অসুবিধা, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া ইত্যাদি যেকোনও লক্ষণ দেখা দিলেই সময় অপচয় না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে টেস্ট করার। কারণ এখন বিভিন্ন ভাইরাস সক্রিয়। তাই নিজেদের সবসময় সচেতন খুব উচিত। এবং রিপোর্টে করোনো পসিটিভ হলে নিজেকে আলাদা ঘরে রাখুন। এতে আপনার পরিবারও সুরক্ষিত থাকবে।
অন্য কোনও রোগ থাকলে সাবধান:
ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখ, ক্যান্সার, হার্টের অসুখ এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা এইগুলির মধ্যে কোনও একটি রোগ থাকলে অবশ্যই আপনাকে অনেক বেশি সাবধান থাকতে হবে। কারণ একমাত্র এনাদেরই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। কিন্তু করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া সাধারণ মানুষের আক্রান্তের আশঙ্কা তুলনামূলক কম। তবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সকলকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
করোনো ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়:
আপনাকে কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে করোনো ভাইরাস প্রতিরোধরের জন্য, দেখে নিন সেগুলি –
•বাইরে বেরোলেই মুখে মাস্ক পড়া জরুরি।
•সবসময় স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
•বাইরে থেকে এসে সাবান দিয়ে হাত ধুতে ভুলবেন না।
•বাইরে যখন থাকবেন সেই অবস্থায় নোংরা হাত মুখে দেবেন না।
•দ্বিতীয় ডোজ অবধি নেওয়া থাকলে বুস্টার ডোজটিও নিন।
•যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন।
•জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই চিকিৎসকের কাছে যান।
এই কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি যদি মেনে চলতে পারেন তবে করোনা ভাইরাস আপনার কোনওরকম ক্ষতি করতে পারবে না
এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।