Monsoon Fever: ২৪ ঘন্টার বেশি জ্বর কিন্তু বিপজ্জনক! বর্ষাকালে জ্বরকে অবহেলা করবেন না, নইলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে সময় লাগবে না!

Monsoon Fever
Monsoon Fever

Monsoon Fever: জ্বর কোনো রোগ নয় বরং একটি উপসর্গ, যা শরীরের অন্যান্য রোগের ইঙ্গিত দেয়

 

হাইলাইটস:

  • বর্ষাকালে জ্বর হলে কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে যায়
  • তবে একদিনের বেশি জ্বর থাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
  • চিকিসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খান, অন্যথায় অবস্থার অবনতি হতে পারে

Monsoon Fever: কখনো বৃষ্টি আবার কখনো রোদের কারণে বর্ষাকালে আবহাওয়া ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়। যার প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যের ওপর। অনেক রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হল জ্বর। এই ঋতুতে জ্বর (রেনি সিজন ফিভার) কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে যায় কিন্তু তা অবহেলা করার ভুলটা একেবারেই করবেন না।

We’re now on WhatsApp – Click to join

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঋতুতে ২৪ ঘণ্টার বেশি জ্বর থাকলে সতর্ক হওয়া দরকার। কারণ, এই জ্বর অনেক রোগের লক্ষণ হতে পারে। আসুন জেনে নিই জ্বর এড়াতে কী করবেন এবং কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে…

২৪ ঘণ্টার বেশি জ্বর কেন বিপজ্জনক?

জ্বর হলে শরীর সেই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে, কিন্তু যদি এটি দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকে তবে এর অর্থ সংক্রমণটি গুরুতর হয়ে উঠছে এবং অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে, দীর্ঘ সময় ধরে জ্বর দেহের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।

বর্ষার দিনে জ্বর এড়াতে কী কী করণীয়?

১. নিয়মিত হাত ধুন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।

২. সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার চেষ্টা করুন।

৩. পুষ্টিকর খাবার খান এবং প্রচুর জল পান করুন।

৪. ব্যায়াম করুন এবং ভালোভাবে ঘুমোন

We’re now on Telegram – Click to join

জ্বর হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

বর্ষাকালে জ্বর ২৪ ঘণ্টার বেশি থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়া জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা, বমি, ডায়রিয়া বা শ্বাসকষ্ট, শরীরে লাল ফুসকুড়ি, শিশুদের কাঁপুনি, বয়স্কদের মধ্যে বিভ্রান্তি বা অজ্ঞানতা থাকলে দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি হন। যাতে সঠিক সময়ে রোগটি নির্ধারণ করা যায় এবং তার চিকিৎসা করা যায়। এক্ষেত্রে সামান্য অসাবধানতাও কিন্তু পরিস্থিতিকে মারাত্মক করে তুলতে পারে।

জ্বর হল প্রতিটি ভাইরাসের প্রথম লক্ষণ

প্রতি বছর এই মরশুমে ডেঙ্গু তাণ্ডব চালালেও এ বছর ডেঙ্গু ছাড়াও আরও অনেক ভাইরাস আক্রমণ সানাচ্ছে। নিপাহ ভাইরাস, চন্ডিপুরা ভাইরাস, জিকা ভাইরাস বা ভাইরাল ফ্লু যাই হোক না কেন, সবার মধ্যেই প্রথম লক্ষণ হল জ্বর। এমন পরিস্থিতিতে, উচ্চ জ্বর (High Fever) যদি ২৪ ঘন্টার বেশি স্থায়ী হয় তবে এটিকে হালকাভাবে নেওয়ার ভুলটা করবেন না। অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং যত দ্রুত সম্ভব রোগ নির্ণয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা যায়।

Read more:- ম্যালেরিয়া থেকে চিকুনগুনিয়া এই ৭ ধরনের মৌসুমি জ্বরের প্রতিরোধের টিপসটি জেনে নিন

কিভাবে নিরাপদে থাকবেন?

জ্বরের সাথে সংক্রমণের প্রভাব কমানো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে, ডিহাইড্রেশন এড়ানোর চেষ্টা করুন এবং যতটা সম্ভব জল পান করুন। বিশেষ করে তাপ এবং আর্দ্রতার সময় নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, আপনি যদি জ্বর, বমি, ডায়রিয়া বা আমাশয়ের মতো সমস্যায় পড়েন তবে সর্বাধিক বিশ্রাম নিন কারণ বিশ্রাম শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া বর্ষায় ভিজে বা অন্য কোনো কারণে জ্বর হলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করবেন না, শুধু গরম জল দিয়ে স্নান করুন।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.