ধ্যান করার সঠিক নিয়মগুলি জেনে নিন
শরীর ও মন উভয়ের প্রতি গভীর সংযোগস্থাপন এবং মনে শান্তভাব বজায় রাখতে আমাদের সকলেরই ধ্যান করা উচিত। ফলে শারীরিক এবং মানসিক চেতনার আমূল পরিবর্তন ঘটে। তবে কিছু প্রাথমিক ভুলের জন্য বেশির ভাগ মানুষ ধ্যান করলেও এর উপকার থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত থাকেন। তাই আজই জেনে নেব ধ্যান করার নিয়মগুলি –
১. প্রস্তুতি পদ্ধতি :
প্রথম নিয়ম প্রস্তুতি পদ্ধতির ক্ষেত্রে ধ্যান শুরু করার আগে নিজেকে রিল্যাক্স বা সঠিক স্থিতিতে আসার সময় দেওয়া অতি প্রয়োজনীয়। এর কারণ অস্থির মন আপনাকে ধীরে ধীরে অধৈর্য ও অতি চঞ্চল করে তুলবে প্রতি মিনিটে, এ অবস্থায় ধ্যান প্রক্রিয়া অনুসরণ করলেও পূর্ণ শান্তি, সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হয় না। তাই নিজের শরীরকে রিল্যাক্স ও ব্যালান্স করার প্রতি সবার প্রথমে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। নিজের শরীরকে রিল্যাক্স ও ব্যালান্স করার সবচেয়ে সরল সমাধান হল গভীর ভাবে শ্বাস গ্রহণ করা।
২. বিশ্বাস :
ধ্যান বা মেডিটেশন থেকে শুরু করে সমস্ত রকমের সাধনা ও অধ্যাত্মিক পদ্ধতির ভীত হল বিশ্বাস। কারণ আমাদের সম্পূর্ণ বিশ্বাস ছাড়া কোন কাজের পূর্ণতা অর্জন কোনো প্রকারেই সম্ভব না। ধ্যান প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে মানুষ যে ভুলটি করেন তা হল অবিশ্বাসের সাথে প্রতিদিন মেডিটেশন প্র্যাক্টিস করা, যা আসলে করা বা না করার সমান। তাই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল যখনই ধ্যান বা মেডিটেশন প্র্যাক্টিস শুরু করুন না কেন সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও ভরসার দ্বারাই করুন। তবেই ধ্যান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ রূপে সফল হবে এবং তার সম্পূর্ণ উপকার পাওয়া সম্ভব হবে।
৩. সময়সীমা :
মেডিটেশন প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট সময় সীমা নেই, কারণ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি আপনার উপলব্ধির উপর নির্ভরশীল। সবার উপলব্ধি মাত্রা ও উপলব্ধির গভীরতা সমান হতে পারে না, তাই ধ্যান প্রক্রিয়ার সময়সীমা নির্ধারন করা সম্ভব না। এবং তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল নিজের ধ্যান বা মেডিটেশন অভ্যাসের কোন বাধাধরা সময় একদমই নির্ধারন না করা।
৪. মুদ্রা :
মেডিটেশনের সময় হাত যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা অনেকেই জানেন না। যার ফলে না জেনেই একটি ভুল করে বসেন হাত কে ভুল স্থিতিতে রেখে। কারন আমাদের হাত বা হাতের ভঙ্গি আমাদের শরীরের বিভিন্ন এনার্জি সিষ্টেমকে অ্যাক্টিভ করতে সক্ষম এবং সঠিক ভঙ্গি দ্বারা আমাদের ধ্যানের গভীরতা কে দিগুন করা সম্ভব।
৫. অনুভব ও অনুভুতি :
ধ্যান কোন কাল্পনিক বা দৈব কোন জগতের অনুভুতি প্রাপ্তি নয়। মেডিটেশনের মূল লক্ষ্য বর্তমান ও অভ্যন্তরীন বাস্তবীক স্থিতিকে অনুভব করার একটি প্রচেষ্ঠা পদ্ধতি। তাই বাস্তবীক জীবনের বাইরে কাল্পনিক কিছুর অনুভব প্রচেষ্ঠা শুধুই সময় নষ্ট মাত্র।