
Makhana Benefits: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের ভাগলপুরের সুপারফুড বলে মাখনার প্রশংসা করেছেন
হাইলাইটস:
- মাখানা একটি সুপারফুড, এতে চমৎকার পুষ্টিগুণ রয়েছে
- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের ভাগলপুরের এই সুপারফুডের প্রশংসা করেছেন
- তিনি ব্যাখ্যা করেছেন কেন প্রত্যেকেরই তাদের খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত
Makhana Benefits: সম্প্রতি বিহারের ভাগলপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) মাখানাকে একটি সুপারফুড হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এই শুকনো ফল (Fox Nuts) স্বাস্থ্যের জন্য এতটাই উপকারী যে তিনি নিজেও প্রতিদিন এটি খান। প্রধানমন্ত্রী এর উৎপাদন বৃদ্ধির উপরও জোর দেন। ভারতে বহু শতাব্দী ধরে মাখনা ব্যবহার হয়ে আসছে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
আমাদের পূর্বপুরুষরা শরীরের শক্তি বজায় রাখার জন্য উপবাসের সময় মাখনা খেতেন। অসুস্থ হলে দুধ এবং মাখনা খাওয়া হয়। এর পিছনে মাখনার শক্তি রয়েছে। এটি প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, সেই সঙ্গে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থও পাওয়া যায়। প্রতিদিন মাখনা খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী এটিকে সুপারফুড বলেছেন।
We’re now on Telegram – Click to join
প্রধানমন্ত্রী কেন বিহারের মাখনার প্রশংসা করলেন?
ভারত সমগ্র বিশ্বের মধ্যে মাখনার বৃহত্তম উৎপাদক। দেশে উৎপাদিত মাখানার ৯০ শতাংশ শুধুমাত্র বিহারেই উৎপাদিত হয়। ভারতে মাখনার বাজারের আকার ৩,০০০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে আগামী সময়ে বাজারের আকার ৬,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে।
মাখনা কতটা পুষ্টিকর?
১. এতে পুষ্টির ঘনত্ব বেশি।
২. এটি একটি কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার।
৩. প্রোটিন, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটের ভাণ্ডার।
৪. এতে প্রায় কোনও চর্বি থাকে না।
৫. ভিটামিন এ, বি১, সি রয়েছে।
৬. এতে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থও রয়েছে।
৭. সোডিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস এবং আয়রন পাওয়া যায়।
Read more:- মাখনা আপনার হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে? এর স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি দেওয়া হল
মাখনা খাওয়ার উপকারিতা
১. মাখনায় উপস্থিত ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩. মাখনায় গ্যালিক অ্যাসিড, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং এপিকেটেচিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা মুক্ত র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।
৪. এটি খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. মাখনা হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে।
৬. মাখানা ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকিও কমায়।
৭. হজমের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
৮. ওজন কমাতে সহায়ক।
৯. প্রদাহ কমায়।
১০. কিডনির কার্যকারিতা উন্নত হয়।
১১. ত্বক সুস্থ থাকে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।