health

Heart Health Tips: ঘুমের অভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, এই পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে নিজেকে রক্ষা করুন

যখন আমাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না তখন আমাদের শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এই হরমোন রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদপিন্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে।

Heart Health Tips: ঘুমের অভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে! ভালো ঘুমের জন্য কী করবেন জেনে নিন

হাইলাইটস:

  • ঘুমের অভাব হার্টের উপর প্রভাব ফেলে
  • ঘুমের অভাব হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ
  • এর কারণে আরও অনেক সমস্যা হতে পারে

Heart Health Tips: বর্তমানের জীবনযাত্রায় পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। যে কোনো ব্যক্তির সুস্থ থাকার জন্য ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে, অনেকেই তাদের ঘুম সম্পূর্ণ করতে পারেন না (Sleep Deprivation)। এর পিছনে কারণ হল ব্যস্ত জীবনযাপন।

We’re now on WhatsApp – Click to join

কিন্তু, আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে রাতে ঘুমের অভাব আপনার হৃদয়ে কী প্রভাব ফেলে? সম্ভবত না, তবে অনেক গবেষণা নিশ্চিত করেছে যে ঘুমের অভাব এবং হৃদরোগের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে (heart disease causes)। আসুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

ঘুমের অভাব কেন বিপজ্জনক?

• স্ট্রেস হরমোনের বৃদ্ধি – যখন আমাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না তখন আমাদের শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এই হরমোন রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদপিন্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে।

We’re now on Telegram – Click to join

• প্রদাহ – ঘুমের অভাবে শরীরে প্রদাহ বাড়ে, যা ধমনীর ক্ষতি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

• রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে – ঘুমের অভাব রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, যা টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস হৃদরোগের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির কারণ।

• অনিয়মিত হৃদস্পন্দন – ঘুমের অভাবে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

• স্থূলতা – ঘুমের অভাবে খিদে এবং ধীর বিপাক বাড়াতে পারে, ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায়। স্থূলতাও হৃদরোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকির কারণ।

কত ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন?

বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের রাতে ৭-৯ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে না, তাহলে আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলা উচিত।

Read more:- শুধু অন্ধকারেই কেন ভালো ঘুম হয়? লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাতে অসুবিধা হয় কেন? জেনে নিন বিজ্ঞান কি বলে

ভালো ঘুমের জন্য টিপস

• সঠিক স্লীপ সাইকেল – প্রতি রাতে একই সময়ে শোয়ার চেষ্টা করুন এবং একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন।

• শান্ত পরিবেশ – ঘুমানোর আগে আপনার ঘরটি শান্ত, অন্ধকার এবং ঠান্ডা রাখুন।

• ডিজিটাল ডিভাইস – ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট এবং কম্পিউটার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

• ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল – ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন।

• ব্যায়াম – নিয়মিত ব্যায়াম করুন, তবে ঘুমানোর আগে ঠিক নয়।

• স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট – স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা অন্যান্য কৌশল অবলম্বন করুন।

স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button