Guava For Diabetes: এই ফলে রয়েছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফোলেট এবং ফাইবার সহ একাধিক জরুরি উপাদান
হাইলাইটস:
- বাঙালির একটি অতি পরিচিত ফল হল পেয়ারা
- নিয়মিত পেয়ারা খেলে হাই ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব
- দেহের ইমিউনিটি বাড়াতেও পেয়ারার জুড়ি মেলা ভার
Guava For Diabetes: বাঙালির অতি পরিচিত পেয়ারার গুণের শেষ নেই। পেয়ারায় রয়েছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফোলেট, ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপেন এবং ফাইবার সহ একাধিক জরুরি উপাদান। তাই বলাই বাহুল্য যে, নিয়মিত পেয়ারা খেলে যে স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত বদলাবে। এমনকী হাই ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে আনার কাজেও পেয়ারার জুড়ি মেলা ভার। তাই আর দেরি না করে আসুন ডায়াবিটিসে এই ফলের কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
জিআই ভ্যালু কম
পেয়ারা হল একটি লো জিআই (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) ফল। পেয়ারার জিআই ভ্যালু ১২ থেকে ২৪-এর মধ্যে। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে অনায়াসে রক্তে শর্করার মাত্রাকে কন্ট্রোলে রাখতে পারবেন। তবে পাকা পেয়ারার জিআই ভ্যালু কিছুটা বেশি। তাই ডায়াবিটিস রোগীরা পাকা পেয়ারা না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ফাইবারের খনি
পেয়ারায় রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। এই উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণের কাজে সিদ্ধহস্ত। পাশাপাশি এই ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখার কাজেও একাই একশো। আর দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকলে আজেবাজে খাওয়া থেকেও দূরে থাকা যাবে। আর আজেবাজে খাবার কম খেলে যে ওজন কমবে, তা বলাই বাহুল্য! তাই আপনার ওয়েট লস ডায়েটেও আপনার সঙ্গী হতে পারে এই ফল।
বাড়বে ইমিউনিটি
সাধারণত ডায়াবিটিস রোগীদের ইমিউনিটি অনেকটাই কম থাকে। কিন্তু নিয়মিত পেয়ারা খেলেসেই ইমিউনিটি বাড়তে সময় লাগবে না। কারণ, এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্রিয় করে তুলতে পারে।
সুস্থ সবল থাকবে কোষ
ডায়াবিটিসের ফাঁদে পড়ে কোষের একাধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিন্তু নিয়মিত পেয়ারা খেলে কোষের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। এমনকী অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও প্রশমিত হবে।
সারা দিনে কটা পেয়ারা খাওয়া যাবে?
ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা সারাদিনে ১ থেকে ২টি মাঝারি সাইজের কাঁচা পেয়ারা খেতে পারেন। অর্থাৎ ওই ১০০ গ্রামের মতো খেলেই উপকার পাওয়া যাবে। তবে এর থেকে বেশি পরিমাণে পেয়ারা খেলে গ্যাস-অ্যাসিডিটি বা অন্যান্য সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা বাড়বে।
এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
[…] […]