Eye Effects: ক্লোরিন-সম্পর্কিত চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাঁতারু এবং সুইমিং পুল অপারেটররা বেশ কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ নিতে পারেন
চোখ জ্বালাপোড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল ক্লোরামাইন নামক একটি রাসায়নিক। এটি তখন তৈরি হয় যখন পুলের ক্লোরিন ঘাম, প্রস্রাব, ত্বকের কণা, তেল এমনকি প্রসাধনীর মতো জৈব পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে। ক্লোরামাইনের তীব্র ক্লোরিনের গন্ধ তৈরি হয়।
Eye Effects: ক্লোরিন-সম্পর্কিত চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে এই প্রতিরোধ টিপসগুলি অনুসরণ করুন
হাইলাইটস:
- সুইমিং পুলে ক্লোরিনের উচ্চ মাত্রা চোখের সংক্রমণের কারণ হতে পারে
- ক্লোরামাইন চোখে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে, এর কয়েকটি লক্ষণ জেনে নিন
- এখানে আপনার যা জানা দরকার তা শেয়ার করেছেন এক বিশেষজ্ঞ ডাঃ
Eye Effects: সুইমিং পুল এবং অন্যান্য জলের স্থানে ক্লোরিন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় যাতে জল পরিষ্কার থাকে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকে। যদিও এটি স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, অত্যধিক ক্লোরিন সমস্যা তৈরি করতে পারে—বিশেষ করে আপনার চোখের জন্য। সাঁতার কাটার পরে অনেকের চোখ লাল, চুলকানি বা জ্বালাপোড়া অনুভব করে। এই অবস্থা যাকে প্রায়শই সাঁতারের চোখ বলা হয়, অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস বা ক্লোরিনের কারণে জ্বালা এবং টিয়ার ফিল্মের ব্যাঘাতের কারণে ঘটে। ডাঃ অনুপমা ভি, কনসালট্যান্ট অফথালমোলজিস্ট, ডাঃ আগরওয়ালস আই হসপিটাল চেন্নাই আপনার যা জানা দরকার তা শেয়ার করেছেন:
We’re now on WhatsApp- Click to join
চোখ জ্বালাপোড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল ক্লোরামাইন নামক একটি রাসায়নিক। এটি তখন তৈরি হয় যখন পুলের ক্লোরিন ঘাম, প্রস্রাব, ত্বকের কণা, তেল এমনকি প্রসাধনীর মতো জৈব পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে। ক্লোরামাইনের তীব্র ক্লোরিনের গন্ধ তৈরি হয়।
We’re now on Telegram- Click to join
ক্লোরামাইন চোখে অস্বস্তি সৃষ্টি করে, যার ফলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দেয়:
• লালভাব এবং ফোলাভাব
• জ্বালাপোড়া বা হুল ফোটানোর অনুভূতি
• ঝাপসা দৃষ্টি
• চোখ দিয়ে জল পড়া
• কড়া বা চুলকানির অনুভূতি
এই অস্বস্তির প্রতিক্রিয়ায় মানুষ চোখ ঘষতে থাকে এবং এটি জ্বালা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং এমনকি কর্নিয়ায় ছোট ছোট আঁচড়ের সৃষ্টি করতে পারে (কর্নিয়াল অ্যাব্রেশন)। রাসায়নিকগুলি প্রতিরক্ষামূলক টিয়ার ফিল্মের ব্যাঘাত ঘটায়। গুরুতর ক্ষেত্রে, ব্যাকটেরিয়া এই ব্যাহত জায়গাগুলির মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে পারে এবং কনজাংটিভাইটিসের মতো অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে, যার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিরোধ টিপস
সৌভাগ্যক্রমে, ক্লোরিন-সম্পর্কিত চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাঁতারু এবং পুল অপারেটররা বেশ কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ নিতে পারেন:
১. ক্লোরিনের মাত্রা পরীক্ষা করুন এবং বজায় রাখুন: পুলের মালিকদের নিয়মিত ক্লোরিনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
এবং নিশ্চিত করুন যে তারা নিরাপদ সীমার মধ্যে থাকে।
২. সাঁতারের চশমা পরুন: এই ক্ষতিকারক রাসায়নিকের সংস্পর্শ এড়াতে সাঁতারুদের সর্বদা একটি ভালো সাঁতারের চশমা দিয়ে তাদের চোখ রক্ষা করতে হবে।
৩. পুলে সময় সীমিত করুন: পুলে দীর্ঘ সময় কাটালে সংস্পর্শে আসার এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সাঁতারুদের নিয়মিত বিরতি নিতে হবে যাতে তাদের চোখ ক্রমাগত সংস্পর্শে না আসে।
৪. সাঁতার কাটার আগে এবং পরে গোসল: পুলে প্রবেশের আগে গোসল করলে দূষণকারী পদার্থ, এবং পরে গোসল করলে আপনার ত্বক এবং মুখ থেকে ক্লোরিন দূর হয়ে যায়।
৫. কন্টাক্ট লেন্স খুলে ফেলুন: কন্টাক্ট লেন্স পরে সাঁতার কাটলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়, বিশেষ করে অ্যাকান্থামোইবার মতো জীবাণু থেকে। চোখে কন্টাক্ট লেন্স পরে সাঁতার কাটা এড়িয়ে চলুন।
৬. চোখ জ্বালাপোড়া করে সাঁতার কাটা এড়িয়ে চলুন: যদি আপনার চোখ ইতিমধ্যেই লাল বা ব্যথা করে থাকে, তাহলে আবার সাঁতার কাটার আগে তাদের সেরে ওঠার জন্য সময় দিন।
৭. চোখ ঘষবেন না: চোখে কোনও লক্ষণ দেখা দিলে, চোখ ঘষবেন না এবং কন্টাক্ট লেন্স পুনরায় লাগানো এড়িয়ে চলুন।
৮. চোখের অস্ত্রোপচার/অস্ত্রোপচারের পরে সাঁতার এড়িয়ে চলুন: যদি আপনার চোখের লেজার রিফ্র্যাক্টিভ সংশোধন বা ছানি অস্ত্রোপচারের মতো কোনও ধরণের পদ্ধতি হয়ে থাকে, তাহলে সাঁতার পুনরায় শুরু করার আগে আপনার চোখের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
Read More- এই শীতেও চোখের যত্ন নিন শুকিয়ে যাবে না! দেখুন চিকিৎসকের পরামর্শ
যদি লালচে ভাব, ব্যথা, বা ঝাপসা দৃষ্টির মতো লক্ষণগুলি ২৪ ঘন্টার বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা ভাল। এই সতর্কতাগুলি অনুসরণ করে, আপনি আপনার চোখকে ঝুঁকিতে না ফেলে সাঁতার উপভোগ করতে পারেন।
এইরকম আরও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।