DIY Facial Toner For Summer: এই জ্বালা-পোড়া গরমে ত্বককে সুস্থ রাখতে বাড়িতে বানান হলুদ দিয়ে তৈরি ফেসিয়াল টোনার
প্রতিদিন বিকেলের দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলেও গরম থেকে নিস্তার রাজ্যবাসীর। তাই এই সময়ে শুধু স্বাস্থ্যের না ত্বকেরও বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
DIY Facial Toner For Summer: ত্বকের যত্নে হলুদের জুড়ি মেলা ভার
হাইলাইটস:
• গরমকালে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়
• বিশেষ করে গরমকালে টোনার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিউটি প্রোডাক্ট
• আপনিও বাড়িতে বানাতে পারেন হলুদ দিয়ে তৈরি হোমমেড ফেসিয়াল টোনার
DIY Facial Toner For Summer: প্রতিদিন বিকেলের দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলেও গরম থেকে নিস্তার রাজ্যবাসীর। তাই এই সময়ে শুধু স্বাস্থ্যের না ত্বকেরও বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ গরমকালে কাঠফাটা রোদ আর তীব্র দাবদাহের সাথে ত্বকের যত্নে খামতি থেকেই যায়। সুতরাং গরমকালে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করলে অ্যাকনে থেকে শুরু করে জ্বালা-পোড়া অথবা লালচে ভাব, ব়্যাশ এবং চুলকানি ইত্যাদির মতো সমস্যা দেখা দিতেই থাকে। তাই এই সময় টোনারকে সঙ্গী বানান। আপনি বাড়িতেও বানাতে পারেন সামার ফ্রেন্ডলি ফেসিয়াল টোনার। আজ আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো হলুদ দিয়ে তৈরি ফেসিয়াল টোনার বানানোর ঘরোয়া পদ্ধতিটি।
ত্বকের যত্নে হলুদ ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এটি এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের প্রাকৃতিক জেল্লা ধরে রাখে এবং ত্বকের নানা সমস্যাও মেটায়। ঠিক এই কারণেই বিয়ের সময়ও বর-কনকে বিয়ের আগে হলুদে মাখানোর রেওয়াজ রয়েছে। হলুদ ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তোলে, তাই বিবাহবাসরে বর-কনের সাজগোজ যাতে আরও নজরকাড়া হয়, তা নিশ্চিত করতেই হলুদের ব্যবহারের রীতি চলে এসেছে প্রাচীনকাল থেকে। আমাদের মা-ঠাকুমারাও ত্বকের যত্নে হলুদ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। আমরা হোমমেড যেকোনও ফেসপ্যাক বানালে কোনওদিন তাতে হলুদ দিতে ভুলি না। তবে হলুদের ফেসিয়াল টোনারও যে বাড়িতে অতি সহজেই বানানো যায়, তা এখনও অনেকেই জানেন না। তাই আজ আমরা কীভাবে এই টোনারটি বানাবেন স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।
হলুদের গুণাগুণ:
প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয়রা এই হলুদ ব্যবহার করে আসছেন। হলুদ যেমন রান্নাতেও ব্যবহার করা হয় তেমন ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা হয়। হলুদের নানা উপকারিতা আছে। তাই এটি যেমন সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা হয়, আবার নানা স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টেও হলুদ ব্যবহার করা হয়। এই হলুদে আছে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান। আর সেই কারণেই নানা বিউটি প্রোডাক্টে হলুদের ব্যবহার করা হয়। কারণ কারকিউমিনে আছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদান। যা আপনার ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আবার হলুদের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ ত্বকের জেল্লাও ধরে রাখতে সাহায্য করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ফলে ত্বকে যে সমস্যা দানা বাধতে পারে, তা সমাধান করে। ক্ষতিকারক ফ্রিব়্যাডিকালস ধ্বংস করে। ফলে ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে না। তার সাথে ত্বকের অন্দরে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে হলুদ। কারণ, এতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। সূর্যের ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। সানট্যান এবং সানবার্ন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া হলুদ ব্রণর সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।
কী ভাবে বানাবেন হলুদের টোনার?
উপকরণ:
কাঁচা হলুদ বাটা, অ্যালো ভেরা জেল, গোলাপ জল, লেবুর রস ও জল।
পদ্ধতি:
• প্রথমে এক গ্লাস জল গরম করে নিন।
• তারপর জল ঠান্ডা হলে তাতে ২ টেবিল চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ২ টেবিল চামচ গোলাপ জল এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান।
• সব উপাদান ভালো মেশানো হয়ে গেলে এবার একটি কাচের স্প্রে বোতলে মিশ্রণটি ভরে ফ্রিজে রাখুন। তৈরি আপনার সামার ফ্রেন্ডলি ফেসিয়াল টোনার।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
উজ্জ্বল ত্বক পেতে দিনে ২ বার এই ফেসিয়াল টোনারটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই টোনার ব্যবহার করার আগে প্রথমে ক্লিনজারের সাহায্যে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপরে হলুদের টোনার মুখে লাগান একটি কটন প্যাডের সাহায্যে অথবা আপনি সরাসরি স্প্রেও করতে পারেন। তারপর মুখে ময়শ্চরাইজার লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না। তবে গরমকালে দিনের বেলায় সানস্ক্রিন এবং রাতে নাইটক্রিম লাগিয়ে নিন টোনার লাগানোর পর। এই হোমমেড টোনারটি আপনি টানা ১৫ দিন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু আপনার যদি ত্বকে কোনও ট্রিটমেন্ট চলে তবে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
এইরকম জীবনধারা এবং বিউটি সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।