Diet for Fatty Liver: আপনি কী ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন? উত্তর হ্যাঁ হলে এসব খাবার না ছোঁয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা
Diet for Fatty Liver: বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাত্রা ও ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন
হাইলাইটস:
- দিনে দিনে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
- তবে সঠিক সময়ে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে বিপদ বাড়তে পারে
- তাই ফ্যাটি লিভার হলে কী কী খাবেন না জেনে নিন
Diet for Fatty Liver: লিভার হল শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গ শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও পিত্তরস উৎপাদন করে খাবার হজম করতে সাহায্য করে লিভার। এই পিত্তরসই ফ্যাটকে ফ্যাটি অ্যাসিডে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। ফলে ফ্যাট জাতীয় খাবার সহজে হজম হয়ে যায়। এতসব গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় কাজ একা হাতে সামলায় লিভার।
We’re now on WhatsApp – Click to join
তবে মুশকিল হল, মানুষের কিছু ভুলের কারণে এহেন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে জমে ফ্যাট। যার ফলে পিছু নিচ্ছে ফ্যাটি লিভার। আর একবার এই সমস্যার ফাঁদে পড়লে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি নিজের স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলতে পারে লিভার। আর এমন পরিস্থিতিতে লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনই লিভারের হাল ফেরাতে পারে। তাই আর দেরি না করে কী ভাবে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি মিলবে জেনে নেওয়া যাক (Global Fatty Liver Day)।
ফ্যাটি লিভার বাড়াচ্ছে বিপদ
পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১১.৫ কোটি মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৩৫ কোটি ছাড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সময় থাকতে এই রোগের বিষয়ে সাবধান হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
We’re now on Telegram – Click to join
ফ্যাটি লিভারের প্রকারভেদ
ফ্যাটি লিভার মূলত দুই ধরনের হয়। প্রথমত, অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। আর দ্বিতীয়ত ননঅ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। এই রোগে লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে যায়। আর তার ফলে লিভার বড় হয়ে যায় এবং সেই কারণে পেটে ব্যথাও হতে পারে। সাধারণত টাইপ ২ ডায়াবিটিস এবং ওবেসিটির সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের গভীর সংযোগ রয়েছে বলে জানোচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাই এই দুই রোগকে বশে রাখতে পারলেই ফ্যাটি লিভারের ফাঁদ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব বলেই তাঁদের মত। আর সেই জন্য বিশেষ নজর দিতে হবে লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসের দিকে।
অ্যালকোহল নৈব নৈব চ
মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করলে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। সেজন্য সময় থাকতে মদ্যপান করা ছাড়তে হবে। তবেই ফ্যাটি লিভারের ফাঁদ এড়ানো যাবে।
মিষ্টি থাকুক দূরে
ডায়াবিটিস এবং ওবেসিটির সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের নিবিড় যোগ রয়েছে। তাই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি মিলবে। সেজন্য বিশেষজ্ঞরা বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার না খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই ক্যান্ডি, কুকি, সোডা এবং মিষ্টি খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
ভাজাভুজি একেবারেই না
বাইরের বেশি তেলে ভাজা খাবার লিভারের জন্য এমনিতেও ভাল নয়। নিয়মিত এসব খাবার খেলে তরতরিয়ে বাড়বে ওজন। এর ফলে লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাটও জমে। যে কারণে ফ্যাটি লিভারের যন্ত্রণা পোহাতে হয়। তাই বাইরের ভাজাভুজি খাবারের পরিবর্তে ঘরে তৈরী হেলদি স্ন্যাকসেই আপনার রসনাতৃপ্তি করুন।
বেশি নুন চলবে না
বেশি নুন জাতীয় খাবার খেলে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ে বৈকি! সারাদিনে ২,৩০০ মিলিগ্রামের কম নুন খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে প্রসেসড ফুডও না খাওয়াই মঙ্গল। কারণ এই ধরণের খাবারে নুনের পরিমান বেশি থাকে।
https://www.instagram.com/p/C14nUgvo1Yk/?igsh=ajZodnF4aHZoMXFt
এসব খাবারও এড়িয়ে চলুন
পাউরুটি, পাস্তা সহ ময়দার তৈরি বিভিন্ন খাবারও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এসব খাবার খেলে ব্লাড সুগার বাড়ে। যে কারণে ফ্যাটি লিভারের প্রবণতাও বাড়ে।
Read more:- যকৃতের বারোটা বাজায় এই জটিল অসুখ! তাই এই ৫ টিপস মেনে ফ্যাটি লিভার ডিজিজকে প্রতিরোধ করুন
এছাড়াও পাঁঠার মাংসের মতো অন্যান্য রেড মিটও দূরে রাখার চেষ্টা করুন। কারণ এসব মাংসে প্রচুর পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যে কারণে লিভারে ফ্যাট জমতে পারে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ শুনুন
বিশেষজ্ঞদের মোটেও ফ্যাটি লিভার সারাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মতো ভালো কোনও ওষুধ নেই। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাতেই ফ্যাটি লিভারের মতো জটিল সমস্যাকে আটকে দেওয়া সহজ হবে।
এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।