Child’s Health: এই ঠান্ডা-গরমের দিনে আপনার সন্তানের কী বারবার নাক বন্ধ হয়ে যায়? জেনে রাখুন প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়গুলি
জুন মাসের শুরুতেই তাপমাত্রার পারদ তুঙ্গে। তার সাথেই বাতাসে বেড়েছে আর্দ্রতার পরিমানও। এমন পরিস্থিতিতে পাখার তোলা থেকে সরলেই শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে।
Child’s Health: ঠান্ডা-গরম লেগে শিশুদের নাক বন্ধ হওয়া খুবই সাধারণ বিষয়
হাইলাইটস:
• এই ঠান্ডা-গরমের দিনে বড়দের থেকে বাচ্চাদের সমস্যা বেশি হয়
• তারা নানা রোগের কবলে পড়ে, যেমন – নাক বন্ধ
• আপনার সন্তানের এইরকম সমস্যা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়গুলি জেনে নিন
Child’s Health: জুন মাসের শুরুতেই তাপমাত্রার পারদ তুঙ্গে। তার সাথেই বাতাসে বেড়েছে আর্দ্রতার পরিমানও। এমন পরিস্থিতিতে পাখার তোলা থেকে সরলেই শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে। বড়দের ইমিউনিটি বেশি হওয়ায় তাঁরা ঘেমে নেয়ে স্নান করার পরও খুব বড় কোনও সমস্যায় পড়ছেন না। কিন্তু ছোটরা একেবারেই পেরে উঠছে না এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। ফলে তাদের একটুতেই ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিকাশমান থাকার কারণে তারা সবর্দাই জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। নাক বন্ধ, সর্দি-কাশি, জ্বর প্রতিদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোটদের নাক বন্ধ হয়ে গেলে তারা খুবই কষ্ট পায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে গিয়ে তাদের ভীষণ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ঠান্ডা লেগে বাচ্চাদের নাক বন্ধ হয়ে গেলে তাদের ঘুম পর্যন্ত ঠিকমতো হয় না। এই ধরনের সমস্যা দেখলেই অ্যান্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েড যুক্ত ন্যাজাল ড্রপ ব্যবহার করেন অনেকেই। ফলে সাময়িক ভাবে স্বস্থি হলেও পরে তা নানান সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এর বদলে ঘরোয়া কিছু উপায়ে ছোটদের বন্ধ নাক খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
১. পর্যাপ্ত পরিমানে জলপান অবশ্যই প্রয়োজন:
ঠান্ডা লাগলে শরীরে ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ জলের ঘাটতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এই অবস্থায় শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ানো প্রয়োজন। চিকিৎসকরা বলেন, নিয়মিত জলপান করলে এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই কমে। এমনকী নাকের ভিতরে শক্ত হয়ে জমে থাকা মিউকাস বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। এই সময়ে বাচ্চাকে ঠান্ডা জল খাওয়ানো একেবারেই উচিত নয়। এতে বাচ্চার সমস্যা বাড়বে বেশি।
২. স্যালাইন জলের ব্যবহার করুন:
বাজারে উপলব্ধ একাধিক স্যালাইন ন্যাজাল ড্রপ পাওয়া যায় যা ব্যবহার করলে বিশেষ কোনও ক্ষতি হয় না। এমনকী এর কোনও পার্শ্বপ্রক্রিয়াও নেই। অতএব এই ধরনের ড্রপ ব্যবহার করা যেতেই পারে। দিনে এক থেকে দুইবার শিশুর বন্ধ নাকে এক ফোঁটা স্যালাইন ড্রপ দিন। এতেই তার নাকের জমাট বাধা মিউকাস পরিষ্কার হবে। ফলে সন্তান ঠিকমতো নিঃশাস-প্রশাস নিতে পারবে।
৩. হট স্টিম অর্থাৎ গরম জলের ভাপ নিলে নাক বন্ধের সমস্যা থেকে স্বস্তি মিলবে:
এই সমস্যার সমাধানে ছোটদের গরম জলের ভাপ নিতে হবে। জল সামান্য গরম করে তাতে সন্তানকে ভাপ নিলে তার বন্ধ নাক খুলে যাবে। এখন অত্যাধুনিক কিছু ভেপার নেওয়ার যন্ত্র বাজারে এসেছে যাতে করে আপনার সন্তান যন্ত্রের নির্দিষ্ট জায়গায় মুখ দিলেই ভাপ নিতে সক্ষম হবে। আর এগুলি অত্যন্ত কার্যকরীও। অতএব এই ধরনের যন্ত্র বাড়িতে একটা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু জল বেশি গরম হয়ে গেলে বাচ্চার কষ্ট বাড়বে।
৪. মাথার তলায় বালিস দিয়ে ঘুম পাড়ান:
পূর্বেই আলোচিত নাক বন্ধ থাকলে শিশুর ঘুমের বেঘাত ঘটে। এর থেকে রক্ষা পেতে চাইলে সন্তানকে শোয়ানোর সময় তার মাথার তলায় দুটো বালিস দিয়ে শোয়ান। ফলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে তার নাকে জমে থাকা কফ বাইরে বেরিয়ে আসবে। সাথে সাথেই মাথার তলায় বালিস থাকলে শ্বাস নিতে ও ঘুমাতেও সুবিধা হবে। এই পদ্ধতিতে বাচ্চার কষ্ট অনেকটাই লঘু হবে।
৫. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
ঘরোয়া টোটকা বা পদ্ধতি ব্যবহারের পরও অনেক ক্ষেত্রে বন্ধ নাক খোলে না। এই পরিস্থিতিতে সমসময় ডাক্তারের মত পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। এছাড়া সন্তানের নাক থেকে বেরনো মিউকাসের রং সবুজ বা হলুদ দেখা গেলে, কিংবা জ্বর এলে অপেক্ষা না করে প্রথমেই চিকিসকের পরামর্শ নিন। সঠিক সময়ে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা করালেই সমস্যার সমাধান মিলবে।
এইরকম স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।