Benefits of eating Raw Banana: নিয়মিত কাঁচকলা খেলে দূরে থাকবে ঘাতক সব রোগ! কাঁচকলা খাওয়ার উপকারিতা জানলে অবাক হবেন আপনিও
Benefits of eating Raw Banana: কাঁচকলার মধ্যে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা
হাইলাইটস:
• কাঁচকলায় রয়েছে প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন ও মিনারেলস
• কাঁচকলা খেলে শরীরের অনেকগুলি ঘাতক রোগ থেকে দূরত্ব রেখে চলা সম্ভব
• দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কাঁচকলা
Benefits of eating Raw Banana: প্রকৃতি আমাদের উপকারের জন্য বেশ কিছু উপকারী সবজির উৎপাদন করে, যেগুলি নিয়মিত খেলেই রোগ-বিরেত কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না। এই উপকারী সবজির তালিকায় প্রথমের দিকেই নাম আসে কাঁচকলার। একাধিক গুণ রয়েছে কাঁচকলার। ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবারের ভাণ্ডার কাঁচকলায় বর্তমান। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর উপস্থিতি রয়েছে এই সবজিতে। তাই নিয়মিত এই কলা খেলে একাধিক ক্রনিক অসুখ থেকে দূরত্ব রাখা সম্ভব।
তবে এখনকার নিউ জেনারেশনের অনেকেই এই সবজি খুব একটা পছন্দ করেন না। বাড়িতে কাঁচকলার পদ রান্না হতে দেখলেই অনেকে বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে খান। আর এই কারণেই তাঁরা বঞ্চিত থাকেন অত্যন্ত উপকারী একটি সবজির পুষ্টিগুণ থেকে। আপনারও কি কাঁচকলা অপছন্দের তালিকায়? যদি তাই হয়, তাহলে শীঘ্রই সাবধান হয়ে কাঁচকলার একাধিক গুণ সম্পর্কে জানুন এবং নিয়মিত এই সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাতেই হাতেনাতে উপকার পাবেন আপনিও।
১. প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে:
কাঁচকলায় অধিক পরিমানে পটাশিয়াম থাকে। রক্তনালীকে রিল্যাক্স করতে এই খনিজ সাহায্য করে। যার ফলে ব্লাড প্রেশার কমে। তাই ব্লাড প্রেশার বেশি থাকলে এই সবজি নিয়মিত পাতে রাখার চেষ্টা করুন। তবে শুধু রক্তচাপ বেশি থাকলেই নয়, হার্টের সমস্যা থেকে দূরে থাকতেও অত্যন্ত কার্যকরী এই কাঁচকলা। এতে উপস্থিত উপকারী উপাদান হার্টের রক্তনালীতে নোংরা জমতে দেয় না। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কম হয়।
২. বিপাকের হার বৃদ্ধি করে:
হাই প্রেশার, কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিড ও ডায়াবিটিসের মতো অসুখগুলি হল বিপাকীয় সমস্যা। মেটাবলিজমের রেটের তারতম্যের জন্যই দেহে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে কাঁচকলায় রয়েছে ভিটামিন B6 এবং ভিটামিন C। এই দুই ভিটামিন কিন্তু একত্রে মিলে বিপাকের হারকে স্বাভাবিক রাখে। এই কারণে সহজেই একাধিক ক্রনিক রোগ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব।
৩. সুগার কমাতে সাহায্য করে:
ভারতে টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা শেষ কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। দেহের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে, ব্লাড সুগার অসুখটিকে সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে। তাই যে কোনো উপায়ে সুগার কমাতে হবে। আর এই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কাঁচকলা। এই সবজিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম, যার ফলে দেহে ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কমে। তাই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে নিয়মিত কাঁচকলা খান।
৪. রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
কাঁচকলায় উপস্থিত ভিটামিন C দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর ইমিউনিটি তুঙ্গে থাকলে সহজেই প্রতিরোধ করা যায় ছোট-বড় সব ধরনের জটিল সংক্রামক অসুখকে। যার ফলে সহজে কাহিল করতে পারবে না জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যাও। তাই শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে চাইলে নিয়মিত কাঁচকলার পদ পাতে রাখার চেষ্টা করুন।
৫. ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ফেরায়:
দেহে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ফেরাতে সাহায্য করে কাঁচকলা। কাঁচকলায় রয়েছে খনিজের ভাণ্ডার। দেহে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ফেরায় এই সকল খনিজগুলিই। প্রসঙ্গত, বর্তমানে তীব্র গরমে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায় ইলেকট্রোলাইটস। হিট স্ট্রোক ও হিট এক্সহউশনের মতো সমস্যায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয় এই কারণে। তাই এই সমস্যা প্রতিরোধ করে সুস্থ থাকতে চাইলে আগেভাগেই কাঁচকলার তরকারি খাওয়া চালু করে দিন।
এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।