শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম কমে যাওয়ার ৫টি লক্ষণ সম্বন্ধে জেনে নিন
শরীরের নিজস্ব একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে
আমাদের শরীরকে বাইরের ক্ষতিকর জীবাণু থেকে বাঁচানোর জন্য একটি সৈন্যবাহিনী রয়েছে। এর সাথে বলা যায় শরীরের একটি নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই বলে ইমিউনিটি। এই ইমিউনিটি বাইরের ক্ষতিকর জীবাণুকে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করতে দেয় না। এই ইমিউনিটি সিস্টেম যদি পারে ক্ষতিকর জীবাণুর প্রবেশকে রুখে দিতে তবেই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। আর যদি ইমিউনিটি পাওয়ার কম থাকে তবে নানারকম ক্ষতিকর জীবাণু শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে রোগের সৃষ্টি করে।
শরীরে ইমিউটিনিটি পাওয়ার স্বাভাবিক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ সারাদিন হাজারেরও বেশি জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। এই ইমিউনিটি সিস্টেম জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে বলেই রোগ হয় না। তাই মানুষকে মাথায় রাখতে হবে যে, এই সবসময় ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়িয়ে রাখাটা আমাদের প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে অযাচিত কিছু অসুখ বাসা বাধবে। সেক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করুন। আপনি যত দ্রুত বিষয়গুলিকে নিয়ে সতর্ক হবেন ততো তাড়াতাড়ি সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
শরীরে ইমিউনিটি স্বাভাবিক রয়েছে না কমেছে, এই বিষয়টিই বুঝতে পারেন না বহু মানুষ। এবার ইমিউনিটি কম থাকার কিছু উপসর্গ শরীরে ভেসে ওঠে। আপনাকে সেই লক্ষণ চিনে নিতে হবে। এরপর যথাযথ ব্যবস্থা আপনাকে নিতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান আপনি করে ফেলতে পারবেন। অন্যথায় জটিলতা বহুগুন বাড়তে পারে। আসুন উপসর্গগুলি জেনে নেওয়া যাক..
১. পেটের সমস্যা: পেটের সমস্যায় ভোগা বাঙালির সংখ্যা কম নয়। তবে বারবার পেটের রোগ হলে ইমিউনিটি কমে যেতে পারে। কারণ বিভিন্ন গবেষণা বলা হয়েছে যে, আমাদের ইমিউনিটি বাড়িয়ে দিতে পারে অন্ত্রে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া। কিন্তু বারবার পেট খারাপ হতে থাকলে এই ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। তখন সমস্যা দেখা দেয়। এই বিষয়ে কোনো গাফিলতি করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
২. হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া: হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া বিরাট একটি সমস্যার বিষয়। এই জটিলতা যদি মাঝেমাঝেই ঘটে তবে এখনই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যান। কারণ এর থেকে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই সচেতনতাই হল সুস্থ থাকার একমাত্র উপায়। এই লক্ষণ দেখা দিলেই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে যান।
৩. সর্দি-কাশি: সর্দি-কাশি একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু অনেকেই বারবার সর্দি, কাশির সমস্যায় ভুগতে থাকেন। এক্ষেত্রে নতুন নতুন ভাইরাস থেকে এই সমস্যা হতে পারে বলে চিকিৎসকরা মনে করেন। এছাড়াও সর্দি-কাশির নেপথ্যে থাকতে পারে অনেক কারণ। এবার এটি একটি জটিল সমস্যা। কারণ কোনও সুস্থ সবল মানুষের এমন জটিলতা হয় না। আর আপনার সঙ্গে যদি এক মাস-দুই মাস অন্তর এই সমস্যা হয় তবে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। প্রায়ই যদি এমন হতে থাকে তবে বুঝবেন আপনার ইমিউনিটি পাওয়ার কম রয়েছে।
৪. হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে: হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া একেবারেই ভালো লক্ষণ না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় মানুষের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। আসলে রক্তনালীতে প্রদাহজনিত সমস্যায় ভুগলে তা বড়ো রকম ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন তা ত্বককে গরম রাখতে পারে না। এই কারণে হাত-পা ঠান্ডা হয়। এটিও একটি কারণ ইমিউনিটি পাওয়ার কমে যাওয়ার।
৫. ক্লান্তি: অনেক পরিশ্রমের পর আমাদের সবারই ক্লান্তি আসে। কারণ কাজ করলে ক্লান্তি আসবেই। এবার কোনও কোনও মানুষ সারাদিনই ক্লান্ত বোধ করেন। যদি এই বিষয়টি কারোর সাথে ঘটে এখনই তাকে সতর্ক হতে হবে। কারণ আপনার এই ক্লান্তি কিন্তু শারীরিক কোনও সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করছে। এটিও একটি লক্ষণ হতে পারে ইমিউনিটি কম থাকার।