রাত্রিবেলা ঘুমন্ত অবস্থাতে কী আপনার হঠাৎ-ই পেশিতে টান ধরে? এই সমস্যাকে উপেক্ষা না করে সমাধানের উপায় খুঁজুন
অতিরিক্ত চাপের কারণে পেশিতে টান বা খিঁচুনির সৃষ্টি হয়
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানব শরীরে পেশি দু’ধরনের হয়, ঐচ্ছিক পেশি ও অনৈচ্ছিক পেশি। ঐচ্ছিক পেশি সহায়তায় আমরা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করে বিভিন্ন কাজ করে থাকি। এই পেশিগুলিতে সাধারণত সংকুচিত বা প্রসারিত করা হয়। কিন্তু কিছু সময় পেশিগুলি স্থায়ী ভাবে সংকুচিত হয়ে থাকে কিন্তু প্রসারিত হতে পারে না। এর ফলে পেশিতে টান ধরে। রাত্রিবেলা যখন আমরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকি তখন দেখি হঠাৎ-ই পা সোজা করতে পারছি না। একেই পেশিতে টান ধরা বা পেশির খিঁচুনি বলে। আমাদের রোজকার জীবন-যাপনে বেশির ভাগ সময়টাই কাটে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে বসে। তাই শুধু পায়ের পেশিই নয় কাঁধ বা হাতের আঙুল নাড়াতেও সমস্যা হয়। পেশির খিঁচুনিতে কোনও ক্ষতি নেই, তবে এই খিঁচুনি সাময়িকভাবে পেশি ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম করা বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করার ফলেও এই সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রক্তের সরবরাহ কমে গেলে বা পায়ে রক্তবহনকারী ধমনীগুলি যদি সরু হয়ে যায়, তাহলে এর ফলে আপনার পায়ের পেশিতে খিঁচুনির সৃষ্টি হয়। যার ফলে ব্যায়াম করার সময় আপনি প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। আপনি কিছুদিন যদি ব্যায়াম বন্ধ করেন, তখন ওই ব্যথাগুলি নিজে থেকেই চলে যায়।
কী কী কারণে পেশিতে টান ধরে?
•বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, আমাদের শরীর ৯০ শতাংশই তরলে পূর্ণ। শরীরে তরলের পরিমাণ যখন সঠিক থাকে তখন অঙ্গগুলিও ঠিক মতো কাজ করে। জলের পরিমাণ কম হলেই শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয় আর তখনই পেশির সংকোচন দেখা যায়।
•বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, শরীরের ক্ষমতা যতটা তার থেকে যদি বেশি শক্তি প্রয়োগ করা হয়, তার ফলে পেশির মধ্যে জমা হয় ল্যাক্টিক অ্যাসিড। যা আমাদের পেশিকে সংকুচিত করে রাখে কিন্তু প্রসারিত হতে দেয় না।
সমাধানের উপায়গুলি হল:
•সময়মত খাবার খেতে হবে।
•পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে।
•গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে বারবার পেশিতে টান ধরলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
•এক ভাবে কাজ না করে মাঝে মধ্যে সাময়িক বিরতিও নিতে হবে।
•ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন-C সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে।
এখানে যে উপায়গুলি বলা হয়েছে অনুসরণ করে দেখুন, সাময়িক স্বস্তি পাবেন।