আপনি কী জানেন কফি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে?
কফিপ্রেমীদের জন্য সুখবর:ফিল্টার করা কফি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।
বাইরে যখন খুব ঠান্ডা পরে, তখন নিজেকে উষ্ণ রাখতে আমাদের যা দরকার তা হল একটি ‘হট কাপ অফ কফি’। কফি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত পানীয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, কফি পানকারীদের কিছু গুরুতর রোগের ঝুঁকি অনেক অংশে কম থাকে।
জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রস্তুতির পদ্ধতি বেছে নেওয়া স্বাস্থ্যের উপর অনেক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ফিল্টার করা কফি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায়, সিদ্ধ করা কফি একই প্রভাব ফেলবে না।
এখানে নিয়মিত কফি খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে:
১. এটি আপনার দিন আলোকিত করতে পারে এবং আপনার মেজাজ উন্নত করতে পারে:
অফিসে যদি আপনার দিনটি খারাপ হয়, তাহলে এক কাপ গরম কফি তাৎক্ষণিকভাবে আপনার মেজাজকে উন্নত করতে পারে। ২০১১ সালে প্রকাশিত হার্ভার্ডের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মহিলারা প্রতিদিন চার কাপ কফি পান করেন তাদের বিষণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি ২০ শতাংশ কম ছিল।
২. এটি হার্ট-স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়:
কফি রক্তচাপকে হালকা বৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, কফি পানকারীদের হার্ট- স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে কম।
৩. এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সবচেয়ে বড়ো উৎস:
কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যারা একটি আদর্শ পশ্চিমা খাদ্য অনুসরণ করেন, কফি তাদের খাদ্যের স্বাস্থ্যকর দিকগুলির মধ্যে একটি হতে পারে।
৪. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
ক্যান্সার আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ব্যাধি। আপনি যদি নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান করেন, তবে এটি নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সার যেমন লিভার, স্তন, রেকটাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
৫. ওজন কমাতে সাহায্য করে:
আপনি যদি জিমে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এক কাপ কফি পান করেন তবে এটি আপনাকে আরও বেশি ব্যায়াম করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি বিপাক প্রক্রিয়াকে প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। এটি স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে যা শরীরকে সংকেত দেয় ফ্যাট কোষগুলিকে ভেঙে ফেলার। আবার গ্লাইকোজেনের বিপরীতে শক্তির উৎস হিসাবে ব্যবহার করার জন্যও এটি পান করা আবশ্যিক।