Tollywood News: বাংলার হলে ‘বাংলা’ চলচ্চিত্র চালানো এবার বাধ্যতামূলক, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠকে খুশ টলিপাড়া
মেগাবাজেট বলিউড সিনেমার গুঁতোয় হল থেকে উৎখাত করা হয় বাংলা সিনেমাকে, এর প্রভাব পড়ছে বাংলার ছবির ক্যাশবাক্সে। রাজ্য জুড়ে যখন বাঙালি অস্মিতায় শান দেওয়া হচ্ছে
Tollywood News: এদিন নন্দনে বৈঠকে কী কথা হল? দেখুন কী বলছে প্রযোজক-পরিচালকরা
হাইলাইটস:
- হিন্দি সিনেমার জেরে কোণঠাসা হয়েছে বাংলা সিনেমা
- এদিন একজোট হয়ে প্রতিবাদে নেমেছে টলিপাড়া
- গতকাল অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ইতিবাচক
Tollywood News: হিন্দি সিনেমার জন্য কোণঠাসা হতে হয় বাংলা সিনেমাকে। সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতেই এদিন নন্দনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হাজির হন টলিপাড়ার তাবড় প্রযোজক-পরিচালকরা। তারা একজোট হয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সাথে বৈঠকে বসেন। এই ইতিবাচক বৈঠকে খুশ টলিউডপাড়া।
We’re now on WhatsApp- Click to join
হিন্দি সিনেমার গুঁতোয় কোণঠাসা বাংলা সিনেমা
মেগাবাজেট বলিউড সিনেমার গুঁতোয় হল থেকে উৎখাত করা হয় বাংলা সিনেমাকে, এর প্রভাব পড়ছে বাংলার ছবির ক্যাশবাক্সে। রাজ্য জুড়ে যখন বাঙালি অস্মিতায় শান দেওয়া হচ্ছে, তখন এই আবহেই বাংলা সিনেমাকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে রীতিমতো দ্বারস্থ হয়েছিলেন টলিপাড়ার পরিচালক-প্রযোজকরা। সেই প্রেক্ষিতেই গতকাল বৈঠক ডেকেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নির্ধারিত সময় মত মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন দেব, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, নিসপাল সিং রানে, প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা, রানা সরকার প্রমুখ। বৈঠকে হাজির ছিলেন ইম্পা সভাপতি পিয়া সেনগুপ্তও।
We’re now on Telegram- Click to join
এদিন বৈঠকে কী কথা হয়েছে?
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমার প্রাণ হল বাংলা ভাষা। আট বছর শিক্ষকতা করেছি বাংলা ভাষাতেই। আমার ভাষা আমার গর্ব। ছবিও বানাই এই বাংলা ভাষাতেই। তবে বহু বছর ধরে বাংলা ছবি দেখাতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। হিন্দি ছবির দাপটে একটুও জায়গা পায়নি বাংলা সিনেমা। কেবল আমার ছবি বলে নয়, এই একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের গোটা বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রির প্রত্যেকেই। তার মধ্যেও টিকে রয়েছি আমরা…”
দেব বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে জানালেন, “বাংলা সিনেমা বাংলায় চলবে না? এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। খুবই ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। এবং প্রত্যেকটি হলকে একটা শোতে হলেও বাংলা সিনেমা চালাতে দিতে হবে, এমনটাই আলোচনা হয়েছে। পরিবেশক এবং হল মালিকদের অনেকেই হাজির ছিলেন। এবং সকলেই একমত যে বাংলা সিনেমা বাংলায় চলবে।” এই নিয়ম আগে কেন কখনও চালু করার কথা ভাবা হয়নি? এ প্রসঙ্গে দেবের বলেন, “আগে কখনও একজোট হয়ে আমরা আওয়াজ তুলিনি।”
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কথায়, “আমার ছবিগুলি চলছে, লোক দেখছে। তারপর হঠাৎই টাইম স্লট বদল হচ্ছে। অনেক সময় প্রযোজকদের যথাযথ যুক্তি দিতে পারেন না পরিবেশকরাও। সেখানে একটা হতাশা কাজ করে প্রযোজকদের মধ্যেও তো। সিনেমাটা অন্তত দু’টো সপ্তাহ তো রাখা উচিত। সব সিনেমার ব্যবসা তো আর সমান হয় না। বাংলা সিনেমা কেউ যখন ভালোবেসে তৈরি করছে তখন তাঁকে তো বাংলাতে একটা জায়গা দিতে হবে। সেই জায়গাই যদি না পাওয়া যায়, তবে আর প্রমাণ হবে কোথা থেকে? এই বৈঠকে কিছুটা সমাধানের পথ পাওয়া গিয়েছে। এখনও আমি বলব, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটি যথাযথ আগে প্রয়োগ করা হোক। খুব খুশি হব আমরা।”
এইরকম আরও বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।