Thamma Review: আয়ুষ্মান-রশ্মিকার প্রেমে বাধ সাধতে এলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী! কেমন হল ভৌতিক কমেডি থাম্মা? রিভিউ পড়ুন
এই দীপাবলিতে দুটি ছবি বক্স অফিস ঝড় তুলেছে। প্রথমটি হল "এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়াত" এবং দ্বিতীয়টি হল "থাম্মা"। ম্যাডক ফিল্মসের স্ত্রী, স্ত্রী ২, ভেড়িয়া এবং মুঞ্জ্যা ছবির পর, প্রযোজক দীনেশ বিজন এখন থাম্মা মুক্তি দিয়েছেন।
Thamma Review: কেমন হল আয়ুষ্মান খুরানা ও রশ্মিকা মন্দান্না অভিনীত এই ছবি?
হাইলাইটস:
- এই দীপাবলিতে বক্স অফিস কাঁপিয়েছে আয়ুষ্মান-রশ্মিকার থাম্মা
- থাম্মা হচ্ছে আয়ুষ্মান-রশ্মিকার হরর-কমেডি ছবি
- পৌরাণিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে কেমন হল থাম্মা?
Thamma Review: কাস্ট: আয়ুষ্মান খুরানা, রশ্মিকা মন্দান্না, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, পরেশ রাওয়াল, গীতা আগরওয়াল
পরিচালক: আদিত্য সরপোতদার
We’re now on Telegram- Click to join
এই দীপাবলিতে দুটি ছবি বক্স অফিস ঝড় তুলেছে। প্রথমটি হল “এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়াত” এবং দ্বিতীয়টি হল “থাম্মা”। ম্যাডক ফিল্মসের স্ত্রী, স্ত্রী ২, ভেড়িয়া এবং মুঞ্জ্যা ছবির পর, প্রযোজক দীনেশ বিজন এখন থাম্মা মুক্তি দিয়েছেন। এই ছবিটিও পৌরাণিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে একটি প্রেমের ভৌতিক কমেডি গল্প দিয়ে। তবে, গল্পে সতেজতার অভাব রয়েছে। ছবির নাম, থাম্মা, যার অর্থ “সবচেয়ে শক্তিশালী এবং রাক্ষসদের নেতা”।
We’re now on WhatsApp- Click to join
প্রেক্ষাপট
গল্পটি শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ সালে। প্রাচীন গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডার যখন একটি বনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন রাক্ষসদের নেতা যক্ষসন (নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী) তাকে তার শিকারে পরিণত করেন। গল্পটি তখন বর্তমান সময়ে ফিরে আসে। দিল্লির আজাদ নিউজ চ্যানেলের একজন প্রতিবেদক অলোক গোয়েল (আয়ুষ্মান খুরানা), দুই বন্ধুর সাথে ট্রেকিং করছিলেন। বনে সেলফি তোলার সময়, হঠাৎ একটি ভাল্লুক তাকে আক্রমণ করে এবং আহত করে। বনের বাসিন্দা তারকা (রশ্মিকা মন্দান্না) তার জীবন বাঁচায়। তার সঙ্গীরা তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে। তারা তাকে অভিশপ্ত পাহাড়ে বন্দী যক্ষসনের সামনে ফেলে দেয়, যাতে সে তার রক্ত পান করতে পারে। কিন্তু তারকা তাকে উদ্ধার করে। সে অলোকের জীবন বাঁচাতে তার বাড়িতে আসে। ঘটনার নাটকীয় মোড়ের পর, তারকা তার কাছে নিজেকে প্রকাশ করে। পুলিশ অফিসার পি কে যাদব (ফয়সাল মালিক), যিনি মানুষ এবং রাক্ষসদের জগতের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখেন, তারকাকে ফিরে আসতে বলেন। সে ফিরে আসার পথে অলোক তাকে থামাতে আসে। তাদের গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। তারকা তাকে একটি রাক্ষসে রূপান্তরিত করে। এর পরে অলোকের জীবনে কী পরিবর্তন আসে? তারকার ভুল তার উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা নিয়েই গল্পটি সামনে আসে।
“মুঞ্জ্যা”-এর পর আদিত্য সরপোতদার এই মহাবিশ্বের পঞ্চম ছবি “থাম্মা” পরিচালনা করেছেন। এবার তিনি “মুঞ্জ্যা”-এর মতো জাদু তৈরি করতে পারেননি। কারণ নীরেন ভাট, সুরেশ ম্যাথিউ এবং অরুণ ফুলার লেখা “থাম্মা”-তে নতুনত্ব এবং সতেজতার অভাব রয়েছে। এর মধ্যে চিত্রিত জগৎ এবং ঘটনাগুলি আগে বিভিন্ন ছবিতে অন্বেষণ করা হয়েছে। বেতালদের জগৎও গভীরভাবে অন্বেষণ করা হয়নি। একটি দৃশ্যে, তারকা ব্যাখ্যা করেছেন যে বেতালরা রক্ত পান করে এবং কখনও মরে না। পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য তাদের সৃষ্টি করা হয়েছিল। তাহলে, যক্ষসন কীভাবে তাদের “থাম্মা” হয়ে উঠল? উত্তরটি এখনও উত্তরহীন। থাম্মা সম্পর্কে কৌতূহল অপূর্ণ রয়ে গেছে। ক্লাইম্যাক্সে থাম্মা এবং অলোকের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও আকর্ষণীয় হওয়ার দরকার ছিল, তবে তা তাড়াহুড়ো করে বলে মনে হচ্ছে। শেষে একটি সিক্যুয়েলের ইঙ্গিতটি পুরোপুরি কাজ করে না। অ্যাকশন পরিচালক পারভেজ শেখ এবং জ্যাসপার গ্রান্ট হুলির স্টান্টগুলি হলিউডের সুপারহিরো চলচ্চিত্রের কথা মনে করিয়ে দেয়। ছবির দুটি গান, “তুম মেরে না হুয়ে” এবং “দিলবার কি আঁখোঁ কা”, ইতিমধ্যেই দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর মাঝে মাঝে ভয় জাগানোর চেষ্টা করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কেবল শব্দের মতো শোনায়।
“ড্রিম গার্ল ২” মুক্তির প্রায় দুই বছর পর, আয়ুষ্মান খুরানা থাম্মার মাধ্যমে কাম ব্যাক করেন। যদিও তিনি এটিকে সহজেই চিত্রিত করতে সক্ষম হন, ভয় এবং কৌতূহলের অনুভূতি জাগিয়ে তোলেন, তার দুর্বল চিত্রনাট্য তার পরিসরকে সীমাবদ্ধ করে। রশ্মিকা মন্দান্নার চোখ হরিণের মতো সুন্দর, তার অভিব্যক্তিগুলি সুন্দরভাবে প্রকাশ করে। তবে, কিছু আবেগঘন দৃশ্যে, রশ্মিকা ফ্যাকাশে দেখা যায়। সংলাপের মাধ্যমে থাম্মাকে বিপজ্জনক হিসাবে চিত্রিত করা যেতে পারে, তবে পর্দায় তা তেমনভাবে দেখা যায় না।
এইরকম আরও বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
