Entertainment

Special Ops 2 Review: সাইবার অ্যাটাক রুখতেই এবার হিম্মত সিংয়ের মগজাস্ত্রে শান! কেমন হল ‘স্পেশাল অপস ২’ সিরিজটি? পড়ুন রিভিউ

প্রথমেই বলা যাক সিরিজের গল্প। যেভাবে পরিচালক চিত্রনাট্যের সঙ্গে বাস্তবের ঘটনাকে মিশিয়ে দেন, তা এককথায় হয় প্রশংসনীয়। সংসদ হামলার মূলচক্রীর খোঁজে প্রথম সিজনেও অপারেশনে নামে 'র'।

Special Ops 2 Review: অ্যাকশন প্যাকে ভরপুর, সাইবার ক্রাইমের গল্পকে কেন্দ্র করেই তৈরি ছবির প্রেক্ষাপট

হাইলাইটস:

  • কে কে মেননের স্পেশাল অপস ২ ১৮ই জুলাই জিও হটস্টারে প্রিমিয়ার হয়েছে
  • স্পেশাল অপস ২ হল এককথায় একটি সাইবার ক্রাইমের গল্প
  • এই প্রতিবেদনে স্পেশাল অপস ২ সিরিজের পুরো গল্পটি জেনে নিন

Special Ops 2 Review: প্রতিটি সিনেমা বা সিরিজের আসল হচ্ছে ছবির কাহিনি। অনেক সময় সেটি দুর্বল হলে অভিনেতা এবং পরিচালকরা তাঁদের অসাধারণ কারিগরিতে কোনওক্রমে বিষয়টা উতরে দেন। তবে যখন সব দিক ‘ইতিবাচক’ হয়, তখনই স্পেশাল অপস সিজন ২ তৈরি হয়। এই সিরিজের ইউএসপি একটি নয়, একাধিক।

We’re now on WhatsApp- Click to join

স্পেশাল অপস সিজন ২ রিভিউ

প্রথমেই বলা যাক সিরিজের গল্প। যেভাবে পরিচালক চিত্রনাট্যের সঙ্গে বাস্তবের ঘটনাকে মিশিয়ে দেন, তা এককথায় হয় প্রশংসনীয়। সংসদ হামলার মূলচক্রীর খোঁজে প্রথম সিজনেও অপারেশনে নামে ‘র’। একইরকম এই সিজনেও বর্তমান প্রযুক্তি, রাজনীতি এবং অন্যান্য দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক তুলে ধরে তার সাথেই মিশিয়েছেন কল্পনার তর্কা। সময় এগিয়েছে। যার স্বাদ সুস্বাদু। প্রযুক্তি হয়েছে অত্যাধুনিক। আমজনতার জীবনে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভালো-মন্দ দুই প্রভাবই পড়েছে। সে বিষয়টিকেই কাহিনির অস্ত্র হিসেবে এবারে বেছে নিয়েছেন পরিচালক। এও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এআইয়ের জন্ম ভারতেই।

গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রেক্ষাপট সাজিয়েছেন ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতিকে ঘিরে। যাতে ভেসে উঠেছে চোখের সামনে পেগাসাস (এখানে নাম বদলে মেগাসাস), অনলাইন লেনদেনে জালিয়াতির ঝুঁকি এবং বাস্তব পরিস্থিতির মতো ইত্যাদি বিষয়গুলি। সবমিলিয়ে পরিচালক সাইবার অ্যাটাকের বিরাট বড় প্লট তৈরি করে কাহিনি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। প্লটের সাথে সাবপ্লটকেও নিখুঁতভাবে মিলিয়েছেন।

We’re now on Telegram- Click to join

এবার আরেক ইউএসপির কথায় আসা যাক। নতুন করে আর কিছুই বলার নেই কেকে মেননকে নিয়ে। যেন তাঁর জন্যই রচিত এই হিম্মত সিং চরিত্রটি। যেন তাঁর অন্দরেই বছরভর কোনও হিম্মত সিং সুপ্ত থাকে। যে বেরিয়ে আসে পরিচালকের হাত ধরে। তাঁর মুখেই মানায় ‘হামারে পাস সিআইএওয়ালোকে লিয়ে কুছ হ্যায়?’ এসব সংলাপ। ‘র’ এজেন্টের পাশাপাশি, বাবা এবং ছাত্রের ভূমিকাতেও যেন সেরা কেকে মেনন। এরপরই আসে টোটা রায়চৌধুরীর কথা। এই সিরিজে প্রথমবার পা রেখেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই টলি অভিনেতা। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি বুঝিয়েছেন এখনও তিনিটা ফিট। আরেক অভিনেতার নাম হল তাহির রাজ ভাসিন (সুধীর আওয়াস্তি)। এই খলনায়ক যে পরস্পর কী করতে চলেছেন তার আন্দাজ করাই এবার বেশ কঠিন।

Read More- পুরনো গল্প নতুন রূপে, ‘রেড ২’ কি ঝড় তুলতে পারবে বক্স অফিসে? পড়ুন, রেড ২ মুভি রিভিউ

এই সিরিজের আরও একটি ভালো দিক হচ্ছে এর লোকেশন। চিত্রনাট্যকেই কেবল ঝকঝকে করতে নয়, বরং ছবির গল্পের স্বার্থেই ব্যবহার করা হয়েছে এই লোকেশনগুলি। যা আপনাকে কখনওই বিরক্তি করবে না। সবমিলিয়ে যেন মেদহীন, ঝরঝরে, সাসপেন্স এবং সায়েন্সে ভরা আরও একটা সিজন যেন বেশ মন কাড়ল।

এইরকম আরও বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button