Saroj Khan Death Anniversary: পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে জেনে নিন সরোজ খানের জীবনের কিছু অজানা তথ্য এবং কি ভাবে তিনি ডান্স গুরু হয়ে উঠলেন
সরোজ খানের আসল নাম ছিল নির্মলা নাগপাল। তার স্টাইলে এমন কিছু বিশেষ ছিল যা প্রতিটি গানকে আরও বিশেষ করে তুলেছিল। তিনি মাধুরী দীক্ষিত, শ্রীদেবী, ঐশ্বর্য রাইয়ের মতো বড় অভিনেত্রীদের নাচ শেখাতেন।
Saroj Khan Death Anniversary: ১৩ বছর বয়সে তিনি কোরিওগ্রাফি শেখা শুরু করেন
হাইলাইটস:
- আজ কোরিওগ্রাফার সরোজ খানের মৃত্যুর ৫ বছর পূর্ণ হল
- কিন্তু তিনি এখনও তার কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে ভক্তদের মনে বেঁচে আছেন
- তিনি তার জীবনে ২০০০ টিরও বেশি গানের কোরিওগ্রাফি করেছিলেন
Saroj Khan Death Anniversary: বলিউডের কোরিওগ্রাফারদের কথা বলতে গেলেই সরোজ খানের নাম সবার সবার প্রথমে আসে। অবশ্যই, তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার স্মৃতি, তার আবেগ এবং তার অসাধারণ ডান্স স্টেপগুলি এখনও আমাদের হৃদয়ে জীবন্ত। ২০২০ সালের ৩রা জুলাই ৭১ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
We’re now on WhatsApp – Click to join
আপনি কি সরোজ খানের আসল নাম জানেন?
সরোজ খানের আসল নাম ছিল নির্মলা নাগপাল। তার স্টাইলে এমন কিছু বিশেষ ছিল যা প্রতিটি গানকে আরও বিশেষ করে তুলেছিল। তিনি মাধুরী দীক্ষিত, শ্রীদেবী, ঐশ্বর্য রাইয়ের মতো বড় অভিনেত্রীদের নাচ শেখাতেন। তার মধ্যে গুরুর মতো গম্ভীরতা এবং মায়ের স্নেহ একসাথে ছিল। তিনি দেখতে যেমন কঠোর ছিলেন, তেমনি ছিলেন নরম মনের মানুষ।
সরোজ খানের রাগ দেখে মানুষ ভয় পেত। বিখ্যাত বলিউড কোরিওগ্রাফার বসকো মার্টিস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তিনি এবং তার সঙ্গী সিজার কীভাবে বলিউডে ওয়েস্টার্ন ডান্স স্টেপ আনার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তারা সরোজ খানের রাগ দেখে সবচেয়ে বেশি ভয় পেতেন।
We’re now on Telegram – Click to join
সরোজ খান মাত্র ৩ বছর বয়সে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন
মাত্র ৩ বছর বয়সে ‘নজরানা’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন, কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি নৃত্যের প্রতি ঝোঁক দেখাতে থাকেন। প্রথম দিকে তিনি একজন ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে কাজ করতেন এবং ১৩ বছর বয়সে তিনি কোরিওগ্রাফি শেখা শুরু করেন। তিনি বিখ্যাত নৃত্য পরিচালক বি. সোহানলালের সহকারী হিসেবে কাজ করেন এবং নৃত্যের সূক্ষ্ম দিকগুলো গভীরভাবে শিখে নেন।
সরোজ খান একজন স্বাধীন কোরিওগ্রাফার হিসেবে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন
তার ক্যারিয়ারের আসল মোড় আসে যখন তিনি একজন স্বাধীন কোরিওগ্রাফার হওয়ার সুযোগ পান। তিনি ‘গীতা মেরা নাম’ ছবির মাধ্যমে একজন স্বাধীন কোরিওগ্রাফার হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন, কিন্তু ১৯৮৬ সালের ‘নাগিনা’ ছবির সুপারহিট গান ‘ম্যায় তেরি দুশমন’ থেকে স্বীকৃতি পান। এই গানে শ্রীদেবীর অসাধারণ নৃত্য দর্শকদের মন জয় করে এবং সরোজ খানের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পায়। এর পর, ১৯৮৭ সালে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির ‘হাওয়া হাওয়াই’ গানটি তাকে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিখ্যাত করে তোলে।
সরোজ খান একটি গান দিয়েই হিট মেশিনে পরিণত হন
১৯৮৮ সালের ‘তেজাব’ ছবির ‘এক দো তিন’ গানটি কোরিওগ্রাফ করার সময় সরোজ খানের ক্যারিয়ার শীর্ষে পৌঁছে যায়। এই গানটি কেবল মাধুরীকে রাতারাতি তারকাই করেনি, বরং সরোজ খানকে ‘হিট মেশিন’-এর মর্যাদাও দিয়েছে। এই গানের সাফল্য এতটাই দুর্দান্ত ছিল যে প্রথমবারের মতো ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারে ‘সেরা কোরিওগ্রাফি’ বিভাগ শুরু হয়েছিল এবং প্রথম পুরষ্কারটি দেওয়া হয়েছিল সরোজ খানকে।
Read more:- আজ দিল্লিতে সঞ্জয় কাপুরের শেষকৃত্য! শোকবার্তায় নাম রয়েছে প্রাক্তন করিশ্মা কাপুরের সন্তানদেরও
এরপর ‘ঢোলি তারো’, ‘হামকো আজকাল হ্যায় ইন্তেজার’, ‘চোলি কে পিচে’, ‘ধাক ধাক করনে লাগা’, ‘দোলা রে দোলা’ এবং ‘নিম্বুদা’-এর মতো ২ হাজারটিরও বেশি গানের কোরিওগ্রাফি তাকে কোরিওগ্রাফি জগতের রানী বানিয়েছে। তার কোরিওগ্রাফিতে নাচতে দেখা গেছে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের। তিনি বৈজয়ন্তীমালা, হেলেন, শর্মিলা ঠাকুর, জিনাত আমান, রেখা, শ্রীদেবী, মাধুরী দীক্ষিত, রবীনা ট্যান্ডন, ঐশ্বর্য রাইয়ের অভিনেত্রীদের নাচ শিখিয়েছিলেন।
এই রকম বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।