Entertainment

Balochistan on Dhurandhar: ‘কুমিরদের বিশ্বাস করো কিন্তু বালোচদের নয়…’, ‘ধুরন্ধর’ ছবির এহেন সংলাপে ফুঁসছে ভারত ‘বন্ধু’ বালোচিস্তান

এই ছবি মুক্তির প্রাক্কালেই ট্রেলারে 'লিয়ারি'র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দৃশ্য দেখেই আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তানের একাংশ, এবার রণবীর সিং অভিনীত 'ধুরন্ধর' ছবির এক সংলাপের জন্য 'ভারতবন্ধু' বালোচিস্তান থেকে ধেয়ে এল কটাক্ষের ঝড়।

Balochistan on Dhurandhar: ‘ধুরন্ধর’ ছবির উদ্দেশে বালোচিস্তানের মানবাধিকার কর্মীর তরফে ধেয়ে এল কটাক্ষ,বিতর্ক তুঙ্গে

হাইলাইটস:

  • ৫ই ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে রণবীর সিংয়ের ‘ধুরন্ধর’
  • রিলিজের পরও বিতর্ক পিছু ছাড়ছেনা ‘ধুরন্ধর’-এর
  • এবার ছবির এক সংলাপ নিয়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়

Balochistan on Dhurandhar: গত ৫ই ডিসেম্বর আইনি জটিলতাকে সঙ্গী করেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আলো দেখেছে রণবীর অভিনীত ‘ধুরন্ধর’। বর্তমানে যে বলিউড সিনেমা নিয়ে চলছে পাকিস্তান, বালোচিস্তানেও জোরদার চর্চা। ২০২৫ সালের বক্স অফিস নম্বরের নীরিখে ছক্কা হাঁকিয়েছে প্রথম সপ্তাহে তা একেবারে ঠিকই, তবে রিলিজের পরও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি ‘ধুরন্ধর’-এর।

এই ছবি মুক্তির প্রাক্কালেই ট্রেলারে ‘লিয়ারি’র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দৃশ্য দেখেই আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তানের একাংশ, এবার রণবীর সিং অভিনীত ‘ধুরন্ধর’ ছবির এক সংলাপের জন্য ‘ভারতবন্ধু’ বালোচিস্তান থেকে ধেয়ে এল কটাক্ষের ঝড়।

We’re now on WhatsApp- Click to join

ছবির এক দৃশ্যে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে বলতে শোনা যায়, “কুমিরদের বিশ্বাস করো তবে বালোচদের নয়…!” আর বর্তমানে এই সংলাপ নিয়েই ক্ষোভের আগুন জ্বলছে বালোচিস্তানে। সেখানকার মানবাধিকার কর্মী মীর ইয়ার বালোচের অভিযোগ তুলেছে যে, ‘ধুরন্ধর’ ছবিতে অপমান করা হয়েছে বালোচদের।

We’re now on Telegram- Click to join

কেবল তাই নয়, এহেন সংলাপের মাধ্যমে সিনেমায় ভারত-বালোচিস্তান সম্পর্ককেও তুলে ধরা হয়েছে নেতিবাচকভাবে। ২৬/১১ মুম্বাই হামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এক্স হ্যান্ডেলে ওই মানবাধিকার কর্মী লিখেছেন, “বালোচিস্তানের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা বালোচ বাহিনি মুম্বাই হামলার উদযাপনে মাতেনি কোনওদিনই। কারণ আমরাও শিকার পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর সন্ত্রাসলীলার। তাই ভারতের কথা মাথায় রেখেই কোনওদিন ‘আল্লা-হু-আকবর’ স্লোগান তুলে বালোচরা আইএসআই-এর সাথে যোগ দিয়ে কোনও উল্লাসে মাতেনি।” তিনি এখানেই অবশ্য থামেননি।

মীর ইয়ার বালোচের কথায়, “এই ‘ধুরন্ধর’ ছবিতে অপমান করা হয়েছে বালোচিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। ছবিতে এমন কিছু দৃশ্য রয়েছে, যা দেখেই দর্শকমহলের রীতিমতো মনে হতেই পারে যে ভারতকে রক্তাক্ত করার জন্য অস্ত্র পাঠানো হয়েছিল বালোচিস্তান থেকেই। ছবিতে বলা হচ্ছে যে- ‘কুমিরদের বিশ্বাস করো তবে বালোচদের নয়’। কিন্তু আমাদের বালোচদের অভিধানে বিশ্বাসঘাতকতার মতো এমন কোনও শব্দ নেই। আমাদের সংস্কৃতিতে বলা হয় যে- এক গ্লাস জলের দাম আমরা মেটাই একশো বছরের আনুগত্য দিয়ে। আর ‘ধুরন্ধর’ ছবিতে ঠিক এর উলটোটা দেখানো হয়েছে।”

Read More- ‘ধুরন্ধর’ ছবির সাথে ‘উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক’-এর মিল টের পেলেন দর্শকরা, কোথায় বিশেষ যোগ পাচ্ছেন দর্শকরা?

বালোচিস্তানের খ্যাতনামা এই মানবাধিকার কর্মীর আরও অভিযোগ যে, “ছবিটা করার আগে আমাদের দেশের আচার, সংস্কৃতি, রীতিনীতি নিয়ে সেরকম কোনও গবেষণাই করা হয়নি। আর হ্যাঁ, যদি জাল নোট ছাপানোর যন্ত্র বালোচ গ্যাংস্টারদের কাছে থাকত, তাহলে দারিদ্রের জ্বালায় বালোচিস্তান এত ভুগত না।”

এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ বিনোদন দুনিয়ার প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button