Durga Puja 2023: আপনি কী জানেন সিঁদুরখেলার গুরুত্ব? তাহলে আসুন আমরা এখানে আলোচনা করি বিজয়া দশমীর দিন এই সিঁদুরখেলার আসল গুরুত্ব
Durga Puja 2023: সিঁদুরখেলা ছাড়া দুর্গাপুজো কল্পনা করাও কার্যত অসম্ভব
হাইলাইটস:
- বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গাপুজো
- তবে আজ বিজয়া দশমী অর্থাৎ এবছরের জন্য মাকে বিদায় জানানোর দিন আজ
- আবারও একটা বছরের অপেক্ষা
Durga Puja 2023: আশ্বিনের শারদপাতে শুক্লপক্ষের পূর্ণ্যলগ্নে দেবীদুর্গা পূজিত হন মর্তলোকে। দুর্গাপুজো আসতে আর খুব বেশি দেরি নেই, আর সেই সঙ্গেই বাঙালির উদ্দীপনা যেন বিশাল আকার ধারণ করেছে। ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন থেকে শুরু করে সপ্তমীতে কলাবউ স্নান, অষ্টমীতে অঞ্জলি, নবমীতে সন্ধিপুজো হয়ে দশমীতে সিঁদুর খেলা দিয়ে মা দুর্গার বিসর্জন, এই সবকিছুরই সাক্ষী থাকেন বাঙালিরা। এই সিঁদুর খেলার জন্য বছরভর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন লক্ষ লক্ষ বাঙালি মহিলারা৷ গতবছর ইউনেস্কোর ‘শাশ্বত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে’র তালিকায় ইতিমধ্যেই স্থান পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো যেটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
https://www.instagram.com/reel/CjVmW6goW3T/?igshid=MzRlODBiNWFlZA==
সিঁদুরখেলার পৌরাণিক কাহিনী ও তাৎপর্য:
সিঁদুরখেলার একটি পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাস ঘাটলে আমরা দেখতে পাবো যে, প্রাচীনকালের জমিদার সম্প্রদায়ের নারীরাই প্রথম সিঁদুরখেলার প্রচলন ঘটায়। সিঁদুর খেলা হল বিজয়া দশমীর একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। হিন্দু বিবাহ রীতিতে সিঁদুরদান একটি লৌকিক আচার। বিবাহিত হিন্দু নারীরা স্বামীর মঙ্গলকামনার জন্য সিঁথিতে সিঁদুর পরেন। দেবী দুর্গা বিবাহিত হওয়ায় তাঁরও সিঁথি রাঙা করিয়ে তারপর মিষ্টি মুখ করিয়ে তাঁকে বিদায় জানানো হয়।
https://www.instagram.com/reel/CjXrS2vqtTa/?igshid=MzRlODBiNWFlZA==
পুরাণশাস্ত্র অনুযায়ী সিঁদুর হল ব্রহ্মের প্রতীক। বিবাহিত মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর পরে পরম ব্রহ্মের সামনে নিজের স্বামীর মঙ্গল এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন। ব্রহ্মদেব সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর করে সুখ দান করেন। তাই বিজয়া দশমীর দিন সিঁদুরখেলাকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়।
বর্তমান সমাজে সিঁদুরখেলার গুরুত্ব:
https://www.instagram.com/reel/CjYguZYBq8c/?igshid=MzRlODBiNWFlZA==
বিজয়া দশমীর এই ধার্মিক এবং সুন্দর অনুষ্ঠানটি আগে সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল না। সিঁদুরখেলা কেবলমাত্র সেই মহিলাদের জন্য বোঝানো হয়েছে যার স্বামী বেঁচে আছেন। অবিবাহিত মহিলা এবং বিধবারা ঐতিহ্যগতভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারতেন না।
কিন্তু বর্তমানে এই বিষয়গুলির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কলকাতাসহ দেশবিদেশের অন্যান্য দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলগুলি সমস্ত মহিলাকে তাদের বৈবাহিক অবস্থা নির্বিশেষে এই প্রাচীন রীতিতে অংশ নিতে এবং উদযাপনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাছে। কারণ মা দুর্গা নিজে একজন নারী হয়ে কখনোই অন্য কোনো নারীকে তাঁর আরাধনা থেকে বঞ্চিত করতে পারেন না।
সুতরাং সিঁদুরখেলা ছাড়া বিজয়া দশমীর গুরুত্ব কল্পনা করাটাই কঠিন কাজ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পুজোর প্রথমদিন থেকে শেষদিন পর্যন্ত একসাথে আনন্দ করে।
দুর্গাপুজো সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।