CM Mamata Banerjee Books: এবার থেকে পড়ুয়ারা পড়বে মুখ্যমন্ত্রীর বই, “মা” থেকে “কথাঞ্জলি” মমতার লেখা ১৯টি বই পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুলে স্কুলে
শিক্ষা দফতর তরফে, স্কুলকে ৫১৫টি বই কিনে রাখতে হবে লাইব্রেরিতে। এই ৫১৫টি বইয়ের মধ্যেই ১৯টি বই হল মুখ্যমন্ত্রী মমতার। ইতিমধ্যে, লাইব্রেরির জন্য স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে ১ লাখ টাকা।
CM Mamata Banerjee Books: মুখ্যমন্ত্রীর ‘কথাঞ্জলি’ এবার স্কুলের গ্রন্থাগারে, মমতার লেখা বই লাইব্রেরিতে রাখার নির্দেশ শিক্ষা দফতরের
হাইলাইটস:
- মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বই লিখতে ভীষণ ভালোবাসেন
- এবার মমতার এই লেখা বইগুলিই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরাও পড়বে
- স্কুলের গ্রন্থাগারে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা মোট ১৯টি বই
CM Mamata Banerjee Books: জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই মা থেকে কথাঞ্জলি, বাধ্যতামূলক রাখতেই হবে সরকারি স্কুলের লাইব্রেরিগুলিতে। শিক্ষা দফতরের নির্দেশানুযায়ী রাজ্যের সব স্কুলের গ্রন্থাগারে এবার থেকে থাকবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই। সেই তালিকাই এবার পৌঁছল রাজ্যের স্কুলে স্কুলে।
We’re now on WhatsApp- Click to join
মুখ্যমন্ত্রীর ‘কথাঞ্জলি’ এবার স্কুলের লাইব্রেরিতে
শিক্ষা দফতর তরফে, স্কুলকে ৫১৫টি বই কিনে রাখতে হবে লাইব্রেরিতে। এই ৫১৫টি বইয়ের মধ্যেই ১৯টি বই হল মুখ্যমন্ত্রী মমতার। ইতিমধ্যে, লাইব্রেরির জন্য স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে ১ লাখ টাকা। এরপর পৌঁছে গেল বইয়ের তালিকাও। বিকাশ ভবন সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রথমে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে পৌঁছবে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই। এমনই নির্দেশ এদিন দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতর তরফে।
We’re now on Telegram- Click to join
বইয়ের প্রথম সেট পৌঁছবে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং, দার্জিলিং, মালদহ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরে। এরপর বইয়ের দ্বিতীয় সেট পৌঁছবে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়ার স্কুলগুলিতে। এরপর বইয়ের তৃতীয় সেট পৌঁছবে, নদিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরে। এরপর বইয়ের চতুর্থ সেট পৌঁছবে, হাওড়া, কলকাতা, ব্যারাকপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সবশেষে বইয়ের সেট পৌঁছবে, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেছেন, ‘আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই সরকারি পয়সায় পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে শুনে একটু অবাক হলাম। এটি বিস্ময়কর ঘটনা। তবে এটি মনে করতে পারছি না এই ধরনের ঘটনা আমাদের রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী-এর আগে অথবা অন্যান্য রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রীর পদে বহাল থাকাকালীন আগে ঘটিয়েছেন কি না। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার বলে আমরা মনে করি। শিক্ষা দফতর যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে যাতে তাঁর লেখা বই যাতে গ্রন্থাগারে না যায় তা মুখ্যমন্ত্রীর উচিত শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দেওয়া।’
উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হওয়ার পাশাপাশি বই লেখা থেকে শুরু করে গান লেখা, ছবি আঁকা সবই ভালবাসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কাজের ফাঁকে এইগুলিই করতে ভালবাসেন মুখ্যমন্ত্রী এদিন সে কথাই নিজ মুখেই জানিয়ে ছিলেন। ছোটদের কবিতা লেখা থেকে বড়দের জন্য গল্প, সব লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবছরই মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই বইমেলায় বিক্রি হয়। এবার তাঁর এই সৃষ্টিই পড়বে রাজ্যের স্কুল সমস্ত পড়ুয়ারা।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।