Career Tips: উচ্চমাধ্যমিক স্তরেই এবার পড়ুন পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে! এছাড়াও আপনি এই বিষয়গুলি নিয়েও পড়তে পারেন
এই বিষয়টি জীববিজ্ঞান, ভূগোল, রসায়ন, নীতিশাস্ত্র, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদির সংমিশ্রণে বহুমুখী জ্ঞান প্রদান করে। সম্প্রতি, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছে।

Career Tips: উচ্চমাধ্যমিকে কি বিষয় নিয়ে পড়বেন? আপনার জন্য অনেক নতুন বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি
হাইলাইটস:
- উচ্চশিক্ষার জন্য পরবর্তীতে কোন কোন বিষয়ে পড়া যায়
- এই বিষয়গুলো পড়ার পর আপনি কোন কোন পেশায় যোগদান করতে পারবেন?
- পরিবেশ বিজ্ঞান কেবল একটি বিষয় নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য দায়িত্ব এবং সুযোগের পথ
Career Tips: পরিবেশ বিজ্ঞান হল এমন একটি বিষয় যার মধ্যে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, ভূগোল, ভূতত্ত্ব এবং সমাজবিজ্ঞান সব কিছুই আপনি পড়তে পারবেন। এটি পরিবেশ, জীবজগৎ এবং মানুষের বিভিন্ন কাজকর্মের মধ্যে বিভিন্ন সম্পর্ক আলোচনা করে থাকে। এটি পরিবেশ এবং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার সচেতনতা বৃদ্ধি করে, যা একজন দায়িত্বশীল নাগরিক গড়ে তোলে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
এই বিষয়টি জীববিজ্ঞান, ভূগোল, রসায়ন, নীতিশাস্ত্র, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদির সংমিশ্রণে বহুমুখী জ্ঞান প্রদান করে। সম্প্রতি, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই বছর থেকে এই কোর্সটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা। কেন এই বিষয়টি পড়বেন?
পরিবেশ বিজ্ঞান এমন একটি বিষয় যা সমসাময়িক সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বিকাশ করে। দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড়, টেকসই উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ের উপর গভীর ধারণা তৈরি করা হয়। বিভিন্ন বিষয়ের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে চিন্তা করার সুযোগ পায় এবং বিশ্লেষণাত্মক ও গবেষণামূলক মনোভাব তৈরি হয়।
Read more – এআই, ডেটা সায়েন্স থেকে শুরু করে মৎস্যবিদ্যা, এখন রাজ্য বোর্ড উচ্চমাধ্যমিকে নতুন বিষয় পড়ার সুযোগ দিচ্ছে
উচ্চশিক্ষার জন্য পরবর্তীতে কোন কোন বিষয়ে পড়া যায় –
১. পরিবেশ বিজ্ঞান বা পরিবেশগত স্টাডিজ
২. বাস্তুবিদ্যা বা পরিবেশগত জীববিজ্ঞান
৩. ভূগোল (পরিবেশগত ভূগোল)
৪. পরিবেশ প্রকৌশল
৫. বনবিদ্যা, বন্যপ্রাণী বিজ্ঞান
৬. জলবায়ু বিজ্ঞান বা বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান
৭. পরিবেশগত আইন বা নীতি স্টাডিজ
৮. টেকসই উন্নয়ন বা সম্পদ ব্যবস্থাপনা
এই বিষয়গুলো পড়ার পর আপনি কোন কোন পেশায় যোগদান করতে পারবেন?
১. বাস্তুবিদ্যা বা পরিবেশগত জীববিজ্ঞানী
২. পরিবেশ প্রকৌশলী
৩. জিআইএস বিশেষজ্ঞ / রিমোট সেন্সিং বিশ্লেষক
৪. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী
৫. পরিবেশ সাংবাদিক / বিজ্ঞান লেখক
৬. এনজিও বা আন্তর্জাতিক সংস্থায় (ইউএনডিপি, ডাব্লিউডাব্লিউএফ, গ্রিনপিস) চাকরির সুযোগ
৭. পরিবেশগত আইনজীবী বা নীতিনির্ধারক
৮. প্রভাষক / গবেষক / প্রকল্প পরামর্শদাতা
৯. জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ বা ডেটা বিশ্লেষক
মনে রাখবেন, পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ফলস্বরূপ, এই ক্ষেত্রে পেশাদারদের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেকসই উন্নয়ন, সবুজ প্রযুক্তি-এই ক্ষেত্রগুলি ভবিষ্যতে বিশাল সুযোগ নিয়ে আসবে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই চাকরির সুযোগ বাড়ছে।
We’re now on Telegram – Click to join
পরিবেশ বিজ্ঞান শুধুমাত্র একটি বিষয় নয়, এটি হল ভবিষ্যতের জন্য দায়িত্ব এবং সুযোগের একটি পথ। উচ্চমাধ্যমিকে যদি এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে সমাজ ও বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব হবে, এর পাশাপাশি একটি স্থায়ী ও সম্মানজনক ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
এইরকম ক্যারিয়ার বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।