BooksBangla News

Career Tips: উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ এক নতুন বিষয় নিয়ে এসেছে, আপনি এখন মাছ চাষের উপর পড়াশোনা করে আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন!

বর্তমানে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির জন্য মৎস্য ও জলজ সম্পদের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানকার মানুষের জীবিকা এবং খাদ্য চাহিদার একটি বড় অংশ এই খাতের উপর নির্ভর করে।

Career Tips: মাছ চাষ নিয়েও পড়াশোনা করে মোটা টাকা উপার্জন করা যায় এবং ভালো ক্যারিয়ার গড়া যায় কখনো শুনেছেন? হ্যাঁ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ এক নতুন বিষয় চালু করেছে

হাইলাইটস:

  • একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে মাছ চাষ করা বিষয় যোগ করেছে
  • এই বিষয়ে পড়লে পরবর্তীতে ক্যারিয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী কী সুবিধা পাবেন?
  • এছাড়া পড়ার পর কোন কোন পেশায় যেতে পারেন?

Career Tips: মৎস্য ও জলজ পালন হল একটি কৃষি-ভিত্তিক ক্ষেত্র যা মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর উৎপাদন এবং রক্ষণাবেক্ষণের সাথে জড়িত। মৎস্য বলতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে, যেমন পুকুর, জলাশয় বা কৃত্রিম জলাধারে মাছ চাষকে বোঝায়। অন্যদিকে, জলজ পালন হল একটি বিস্তৃত প্রক্রিয়া যার মধ্যে কেবল মাছই নয়, শামুক, শৈবাল এবং ঝিনুকের মতো প্রাণীরও চাষ অন্তর্ভুক্ত।

বর্তমানে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির জন্য মৎস্য ও জলজ সম্পদের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানকার মানুষের জীবিকা এবং খাদ্য চাহিদার একটি বড় অংশ এই খাতের উপর নির্ভর করে। সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উন্নয়নে কাজ করছে। ফলস্বরূপ, এই খাত কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এই বিষয় অধ্যয়ন সম্ভব করেছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ এই বছর থেকে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন এই বিষয় অধ্যয়ন করবেন? উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর উচ্চ শিক্ষায় আপনি কোন বিষয়গুলি অধ্যয়ন করতে পারবেন? পরবর্তীতে ক্যারিয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনি কী কী সুবিধা পাবেন?

We’re now on WhatsApp – Click to join

উচ্চশিক্ষায় তুমি কোন বিষয়ে পড়তে পারো?

১. মৎস্যবিদ্যা – এই বিষয়ে তুমি পূর্ণ সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারো। এখানে মাছের জীবনচক্র, প্রজনন, খাদ্য, রোগ, পরিবেশ এবং ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি পড়ানো হয়।

২. জলাধার – এটি মৎস্যবিদ্যার একটি শাখা হিসেবে বিবেচিত। এটি জলাশয়ে মাছ, শামুক, ঝিনুক এবং চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষের অধ্যয়ন। জলজ প্রাণী এবং পানির নিচের বাস্তুতন্ত্র কীভাবে বিকশিত হয় তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৩. সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান – এটি সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য, বাস্তুবিদ্যা এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর একটি গবেষণা বিষয়।

৪. পরিবেশ বিজ্ঞান – এই বিষয়টি জলজ পরিবেশ সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত।

৫. প্রাণিবিদ্যা – তুমি মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর শারীরবিদ্যা, শ্রেণীবিভাগ এবং বাস্তুবিদ্যা পড়তে পারো।

উপরের সকল বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ার সুযোগ রয়েছে। তুমি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারো। এছাড়াও, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্স আছে। তোমার দক্ষতা উন্নয়নের জন্য তুমি ঐ কোর্সগুলোও করতে পারো।

পড়াশোনা শেষ করার পর আপনি কোন কোন পেশায় যেতে পারেন?

সরকারি খাতে চাকরির সুযোগ –

১. মৎস্য কর্মকর্তা – জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে মাছ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা তত্ত্বাবধানকারী পদে নিয়োগ পেতে পারেন।

২. পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ইত্যাদিতে বিভিন্ন পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে।

৩. জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা গবেষণা প্রকল্পেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

Read more – কমিউনিকেশন ডিজাইন সম্বন্ধে জানেন? এই নতুন বিষয়টি নিয়ে পড়লে বিদেশে দারুণ কেরিয়ার বানানোর সুযোগ পাবেন!

বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক খাতে –

১. মৎস্য খামার ব্যবস্থাপক – আপনার নিজস্ব বা অন্যান্য বাণিজ্যিক মাছ/চিংড়ি খামার পরিচালনার দায়িত্ব আপনি পেতে পারেন।

২. এনজিও বা প্রকল্প কর্মকর্তা – ব্র্যাক, ওয়ার্ল্ডফিশ, এফএও-এর মতো প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন এনজিওতে চাকরির সুযোগ রয়েছে।

৩. মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা (রপ্তানি ও খাদ্য খাতে) – প্রক্রিয়াজাত মাছ ও সামুদ্রিক পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং পরীক্ষা। এই বিষয়ে আপনি সরকারি প্রতিষ্ঠানেও চাকরি পেতে পারেন।

মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নরওয়ে, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় মাছ চাষ এবং সামুদ্রিক পণ্যের বিশাল বাজারও রয়েছে। দক্ষ মৎস্য প্রযুক্তিবিদ এবং জলজ পালন বিশেষজ্ঞ হিসেবেও কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।

We’re now on Telegram – Click to join

আপনি চাইলে নিজেও একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মাছ চাষের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি জানা থাকলে সেই ব্যবসা স্থাপন করা অনেক সহজ হবে। পুকুরে মাছ বা চিংড়ি চাষ করে অথবা আধুনিক বায়োফ্লক পদ্ধতিতে ব্যবসা করতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করারও সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষকতাও করতে পারেন। তা ছাড়া, বৃত্তি নিয়ে উচ্চতর গবেষণার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এইরকম ক্যারিয়ার বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন। 

Back to top button