West Bengal Tourism: বিদেশী পর্যটকদের প্রিয় ভারতীয় গন্তব্যস্থলের মধ্যে কত স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ? দেখে নিন
তিনি বলেছেন, এটি ২০২২-২৩ সালে ২৭.১ লক্ষ এবং ২০২১-২২ সালে মাত্র ১০.৪ লক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, যা কোভিড-পরবর্তী সময়ে রাজ্যের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী আবেদন এবং পর্যটনের পরিবর্তনকে তুলে ধরে।
West Bengal Tourism: ভারতের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তালিকায় এবার পশ্চিমবঙ্গের নাম
হাইলাইটস:
- ভারতীয় গন্তব্যস্থলের মধ্যে স্থানে দখল পশ্চিমবঙ্গের
- পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আন্তর্জাতিক পর্যটকের আগমন উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে
- দেখুন এদিন পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন প্রতিক্রিয়ায় কী বলেছেন
West Bengal Tourism: বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেছেন, বিদেশী ভ্রমণকারীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ভারতের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে রেকর্ড ৩২ লক্ষ আন্তর্জাতিক পর্যটকের আগমন ঘটেছে – যা মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের পরে দেশের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
We’re now on WhatsApp- Click to join
তিনি বলেছেন, এটি ২০২২-২৩ সালে ২৭.১ লক্ষ এবং ২০২১-২২ সালে মাত্র ১০.৪ লক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, যা কোভিড-পরবর্তী সময়ে রাজ্যের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী আবেদন এবং পর্যটনের পরিবর্তনকে তুলে ধরে। বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারাকের এক প্রশ্নের জবাবে সেন বলেন, গত বছর ভারতের বিদেশী পর্যটকদের ১৪.৮% রাজ্যে এসেছিল। “এটি একটি বিশাল অর্জন। আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে কলকাতা দৃঢ়ভাবে স্থান করে নিয়েছে”। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়া ট্যুরিজম স্ট্যাটিস্টিকস ২০২৩’ থেকে সংগৃহীত তথ্যে কলকাতাকে জাতীয় পর্যটন জায়ান্টদের সাথে স্থান দেওয়া হয়েছে।
We’re now on Telegram- Click to join
পশ্চিমবঙ্গের বিদেশী পর্যটকদের বেশিরভাগই প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আসে। তিনি বলেছেন, “৩২ লক্ষ বিদেশী পর্যটকের মধ্যে মাত্র ১.৮ লক্ষ বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন। ২৭ লক্ষেরও বেশি ইউরোপ, রাশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছিলেন।” পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ হলো কলকাতার দুর্গাপূজা, যা ২০২১ সালে ইউনেস্কোর মানবতার অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্বমূলক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
https://www.instagram.com/p/CjQAKbLMdaT/?img_index=5&igsh=MW95YzMwdWQyazR6dw==
২০২৩ সালে, মহালয়া থেকে দীপাবলি পর্যন্ত উৎসবের সময়কালে, শহরটি ৫ লক্ষেরও বেশি বিদেশী দর্শনার্থীকে স্বাগত জানিয়েছিল – বাণিজ্য অনুমান অনুসারে কলকাতায় পাঁচটি পূজার দিনে কমপক্ষে ২০,০০০ বিদেশী ভ্রমণকারী ছিলেন। ট্র্যাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার জাতীয় কমিটির সদস্য অনিল পাঞ্জাবি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই কানাডা, স্পেন, ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্য থেকে পূজার বুকিং পাচ্ছি। উৎসবের আকর্ষণ, প্রদর্শনীতে কারুশিল্প এই সময়ে এটিকে একটি অপ্রতিরোধ্য গন্তব্য করে তোলে।”
পার্বত্য স্টেশনগুলি, বিশেষ করে দার্জিলিং এবং কার্শিয়ং-এও বিদেশী পর্যটকদের প্রচুর আগমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। “শিমলা এবং কুলু-মানালির মতো জনাকীর্ণ গন্তব্যের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য স্টেশনগুলি এখন বেশি পছন্দের। চা পর্যটনও জনপ্রিয়,” বলেন ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার জাতীয় কমিটির সদস্য মানব সোনি। পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া – একসময় পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন অর্থনীতির পাশের অঞ্চল – এখন জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। ২২শে এপ্রিল অযোধ্যা পাহাড়ের কাছে স্থানীয় উৎসাহীদের দ্বারা পরিচালিত একটি ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার চালু হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই ৮৭% দখলদারিত্বের রিপোর্ট করেছে, সেন বলেন। স্থানীয় পর্যটন অংশীদারদের সহায়তা করার জন্য এবং আরও বেশি দর্শনার্থী আকর্ষণ করার জন্য পুরুলিয়া পর্যটন উন্নয়ন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। পর্যটন শিল্পকে পেশাদারীকরণের ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ এক অগ্রণী পদক্ষেপ নিয়েছে। রাজ্যটি এখন দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক সার্টিফাইড ট্যুরিস্ট গাইড – ১,০২২ জন – ট্যুরিস্ট গাইড সার্টিফিকেশন স্কিমের অধীনে প্রশিক্ষিত।
উত্তর-পূর্বের প্রবেশদ্বার হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের কৌশলগত অবস্থানের কারণে এটি দ্বৈত সুবিধা পেয়েছে। সিকিম, আসাম এবং মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে ভ্রমণকারী পর্যটকরা প্রায়শই পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করেন। ট্র্যাভেল এজেন্টরা জানিয়েছেন, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মতো নতুন আধ্যাত্মিক স্থানগুলিও প্রধান তীর্থস্থান এবং পর্যটন আকর্ষণ হয়ে উঠছে।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
