Bangla News

West Bengal Health Department: এবার নড়েচড়ে বসলো পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর, অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধের নির্দেশ জারি হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে

West Bengal Health Department: রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে

হাইলাইটস:

  • বর্তমানে রাজ্যে অপ্রয়োজনীয় সিজারের হার বহু গুনে বেড়ে গেছে
  • সিজার-পরবর্তী শুশ্রূষার অভাবে বহু প্রসূতিরই প্রাণ বিপদে পড়ছে
  • রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর অপ্রয়োজনীয় সাইজের প্রবণতা কমাতে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে

West Bengal Health Department: ঝুঁকিপূর্ণ আসন্নপ্রসবাকে বাঁচাতে করা হয় সিজার। কিন্তু সেই সিজারেই কারণেই হারিয়ে যাচ্ছে বহু প্রাণ। স্বাভাবিক প্রসবের বদলে অপ্রয়োজনীয় সিজ়ার রাজ্যে এত বেড়ে গিয়েছে যে সিজার-পরবর্তী শুশ্রূষার অভাবে বহু প্রসূতিরই প্রাণ সংকট হচ্ছে। তাই রাজ্যে অপ্রয়োজনীয় সিজারের প্রবণতায় রাশ টানতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালকে কড়া নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। সিজ়ার সংক্রান্ত গাইডলাইনও প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

View this post on Instagram

A post shared by Vatsal Sheth (@vatsalsheth)

অপ্রয়োজনীয় সিজারে রাশ টানতে গত ১লা এপ্রিল থেকেই বাংলায় শুরু হয়েছে সিজার অডিট। তাতে জানা গেছে, মেডিক্যাল কারণ ছাড়াও সময় বাঁচাতে কিংবা গর্ভবতী মহিলা বা তাঁর পরিবারের ইচ্ছায় অপ্রয়োজনীয় সিজার হচ্ছে। তাই সব মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল, স্টেট জেনারেল ও সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতালকে এই অডিট চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, একমাত্র কোন পরিস্থিতিতে সিজার করা যাবে।

স্বাস্থ্য ভবনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘পঞ্চম রাষ্ট্রীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে, গোটা দেশে যেখানে গড়ে সরকারি পরিষেবায় ১৪.৩ শতাংশ ও বেসরকারি পরিষেবায় ৪৭.৪ শতাংশ ক্ষেত্রে সিজার হয়, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে এই অনুপাত যথাক্রমে ২২.৯% ও ৮২.৭%। রাজ্যে এই অনুপাত কমানো না গেলে তা প্রসূতি-মৃত্যুই বাড়িয়ে দেবে।’ বিশেষজ্ঞরাও জানাচ্ছেন, প্রসূতি-মৃত্যুর হার যে মাঝে কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল, তার নেপথ্যেও রয়েছে মুড়ি-মুড়কির মতো সিজারের কারণ।

তাই স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশ্য জেলা ও মেডিক্যাল কলেজ স্তরের হাসপাতালে খুব বেশি ৫-১০% সিজ়ার করা হোক। মহকুমা স্তরের হাসপাতালে সিজারের হার আরও কম হোক। সব হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা স্বাস্থ্য দপ্তরের ‘মাতৃ-মা’ পোর্টালে প্রতিটি সিজ়ারের বিস্তারিত কার্যকারণ লিখে রিপোর্ট আপলোড করেন। প্রত্যেক মাসের অডিট রিপোর্ট জমা দিতে হবে পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে। ৫০ বা তার বেশি সিজ়ার হওয়া হাসপাতালগুলিকে ১৫ দিন অন্তর রিপোর্ট দিতে হবে।

View this post on Instagram

A post shared by Dipika (@ms.dipika)

এই অডিটের বিষয়টি যৌথ ভাবে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান চিকিৎসক এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষ কিংবা সুপারকে তদারক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ এই সরকারি পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, অপ্রয়োজনীয় সিজারের ফলে গোটা একটা জাতির পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিমত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এইরকম স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button