Train Derailed: শক্তিগড় স্টেশনের কাছে যাত্রী সমেত লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন, অল্পের জন্য বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেল যাত্রীরা
Train Derailed: গতকাল রাত ৯টা ১৬ মিনিট নাগাদ ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে
হাইলাইটস:
• শক্তিগড়ের স্টেশনের কাছে যাত্রী সমেত লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন
• মালগাড়ি সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে লাইনচ্যুত ট্রেনের দুটি বগি
• আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনে থাকা যাত্রীরা
Train Derailed: শক্তিগড় স্টেশনের কাছে যাত্রী সমেত লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন। বর্ধমান থেকে শক্তিগড় স্টেশনে আসার সময়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটে। শক্তিগড় স্টেশনে ঢোকার আগেই লাইনচ্যুত (Train Derailed) হয় ডাউন বর্ধমান-ব্যান্ডেল লোকালের দুটি বগি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বর্ধমানমুখী একটি মালগাড়ি এবং ব্যান্ডেলমুখী ওই লোকাল ট্রেনটি একই লাইনে চলে এলে তাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তার জেরেই লাইনচ্যুত হয় লোকাল ট্রেনের দুটি বগি। দুটি ট্রেনেরই গতি কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। মূলত বলা যায়, ট্র্যাক চেঞ্জের সময় একই লাইনে চলে আসা মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় লাইনচ্যুত হল যাত্রীবাহী ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল। তবে মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের এই বিষয়টি মেনে নেয়নি রেল। সিপিআরও পূর্ব রেল কৌশিক মিত্র সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, রাত ৯টা ১৬ মিনিটে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। তদন্ত না করে কারণ বলা যাবে না।
রেল সূত্রে খবর, গতকাল রাত ৯টা ১৬ মিনিট নাগাদ ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বর্ধমান থেকে ছেড়ে ব্যান্ডেলের দিকে ছুটছিল এই লোকাল ট্রেনটি। শক্তিগড় স্টেশনের কাছে ট্রেনের গতি কিছুটা কম হয়। আর তখনই হয় বড় বিপত্তি। ট্রেনের প্রথমের দুটি কামরা একেবারে লাইন থেকে বেরিয়ে যায়। তবে ট্রেনের গতি কম থাকার জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছে লোকাল ট্রেনটি। আচমকাই বিকট শব্দে জোরে ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেন থেমে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনের মধ্যে থাকা যাত্রীরা। অন্ধকারের মধ্যেই তড়িঘড়ি ট্রেন থেকে লাফ মারেন অনেকে। ঘটনার জেরে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসেন। তবে, কোনও হতাহতের খবর নেই। রাতের ট্রেন হওয়ায় যাত্রী খুব একটা বেশি ছিল না। কিন্তু কেন এই ধরনের ঘটনা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশ এবং রেলের আধিকারিকরা।
ঘটনার জেরে বর্ধমান হাওড়া ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় গতকাল রাতেই। ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই একটি ব্রেক ডাউন ভ্যান পাঠানো হয়েছিল ঘটনাস্থলে। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটিকে সোজা করা এবং লাইন মেরামতের কাজ চলে সারারাত ধরে। গতকাল রাতে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হলেও আপ লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। খুব শিগগির পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে রেলের তরফে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে পয়েন্টে গোলমালই দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েকমাস আগেই শক্তিগড় স্টেশন ও সিগন্যাল ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে৷ তবে তাও কেন এত বড়ো বিপত্তি হল, তা খতিয়ে দেখবে আজ সকলে রেলের তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে যান। অবশ্য গতকাল রাতের মধ্যে ট্রেনের দুটি বগিকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে লাইন পরিষ্কার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী রেল। তবে এখনও পর্যন্ত ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধই রয়েছে।
অল্পের জন্য বিরাট দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেনটি। ট্রেনের গতি কম থাকার জন্য বিপত্তি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে রাত্রিবেলার কারণে যাত্রী সংখ্যাও দিনের বেলার তুলনায় কম ছিল। কারণ দিনের বেলা ভিড় ট্রেনে অনেকে দরজার কাছে ঝোলেন। তীব্র ঝাঁকুনিতে তারা পড়ে যেতে পারতেন। সব মিলিয়ে বলা যায় গতকাল অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা। এক ট্রেনযাত্রী সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “শক্তিগড়ে ঢোকার আগেই ঘটনাটা হল। আচমকাই জোরে ঝাঁকুনি। এরপর ট্রেনটি লাইন থেকে নেমে যায়। কয়েকজন যাত্রী আতঙ্কে ঝাঁপ দিয়ে দিয়েছে।” তবে রেলকর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে যাত্রীদের সুরক্ষার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা হল তা খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই লাইন থেকে বেরিয়ে যায় হাওড়া-আমতা লোকাল। দিনের বেলায় ব্যস্ত সময়ে বড় দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় ট্রেনটি। দক্ষিণপূর্ব রেলের আপ-হাওড়া আমতা লোকাল লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।