Bangla Newslifestyle

The National Anthem of India: বাংলা থেকে শুরু হয়ে কীভাবে ‘জন-গণ-মন’ ভারতের পরিচয় হয়ে উঠল? জেনে নিন জাতীয় সংগীতের ইতিহাস

১৫ই অগাস্টে প্রতিটি ভারতীয়ের বুক গর্বে ফুলে ওঠে। এই দিনটি কেবল স্বাধীনতার প্রতীকই নয়, বরং দেশকে স্বাধীন করার জন্য সর্বস্ব হারানো লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়। এই বিশেষ দিনে, স্কুল, কলেজ এবং অফিস সহ অনেক জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

The National Anthem of India: স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীত জন গণ মন গাওয়া হয়

হাইলাইটস:

  • ১৫ই অগাস্ট সারা দেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
  • এই সময় জাতীয় সঙ্গীতও গাওয়া হয়
  • জাতীয় সঙ্গীতের ইতিহাসও অনেক পুরনো

The National Anthem of India: আমরা যারা স্কুলের পড়তাম অথবা যারা এখনও স্কুলে পড়ি, তারা সকলেই জন-গণ-মনের গুরুত্ব খুব ভালো করেই জানি। জাতীয় সঙ্গীত সব স্কুলেই প্রার্থনার সময় গাওয়া হয়। এছাড়াও, ১৫ই অগাস্ট হোক বা ২৬শে জানুয়ারী, যখন আকাশে জাতীয় পতাকা গর্বের সাথে উড়তে দেখা যায়, তখন অবশ্যই সকলের ঠোঁটে জাতীয় সঙ্গীতই উচ্চারিত হয়।

We’re now on WhatsApp – Click to join

১৫ই অগাস্টে প্রতিটি ভারতীয়ের বুক গর্বে ফুলে ওঠে। এই দিনটি কেবল স্বাধীনতার প্রতীকই নয়, বরং দেশকে স্বাধীন করার জন্য সর্বস্ব হারানো লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়। এই বিশেষ দিনে, স্কুল, কলেজ এবং অফিস সহ অনেক জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই সময় দেশাত্মবোধক গান গাওয়া হয় এবং জাতীয় সঙ্গীত ‘জন-গণ-মন’-এর প্রতিধ্বনিও শোনা যায়।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Upendar Prajpati (@upendra__officel__)

কিন্তু আপনি কি জানেন আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন-গণ-মন’-এর যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল? এটি কি শুরু থেকেই হিন্দিতে ছিল? আজ আমরা আপনাকে বলব কিভাবে এই গানটি বাংলা ভাষা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল এবং ভারতের পরিচয় হয়ে ওঠে। আসুন বিস্তারিত জেনে নিই –

We’re now on Telegram – Click to join

এটা কোথা থেকে শুরু হয়েছিল?

আপনারা সকলেই জানেন যে ‘জন-গণ-মন’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন। তিনি প্রথমে এই গানটি বাংলা ভাষায় লিখেছিলেন, তারপর এর নাম ছিল ‘ভারত ভাগ্য বিধতা’। বলা হয় যে, এই গানটি প্রথম গাওয়া হয়েছিল ১৯১১ সালের ২৭শে ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে। তখন থেকে জাতীয় সঙ্গীতটি মানুষের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।

হিন্দিতে জাতীয় সঙ্গীত কখন গাওয়া হয়েছিল?

এখন আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন কখন এটি হিন্দিতে গাওয়া হত? আমাদের দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর, সংবিধান তৈরির প্রক্রিয়া চলছিল, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে ভারতেও একটি জাতীয় সঙ্গীত থাকা উচিত, যা দেশের ঐক্য, বৈচিত্র্য এবং গর্ব প্রদর্শন করতে পারে। তারপর ১৯৫০ সালের ২৪শে জানুয়ারী, সংবিধান প্রণয়নকারী পরিষদ ‘জন-গণ-মন’-এর প্রথম অংশকে হিন্দিতে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই দিনটি খুবই বিশেষ ছিল, কারণ এই দিনে দেশটি একটি সাংস্কৃতিক পরিচয়ও পেয়েছে।

Read more:- এই বছর ১৫ই অগাস্ট ভারত কত তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে? ৭৮তম নাকি ৭৯তম? জেনে নিন বিস্তারিত

জাতীয় সঙ্গীতের উল্লেখযোগ্য অংশ

জাতীয় সঙ্গীতে মোট ৫টি স্তবক রয়েছে, তবে কেবল প্রথম স্তবকটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা যখন পুরো জাতীয় সঙ্গীত গাই, তখন এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫২ সেকেন্ড। আপনার এটাও জানা উচিত যে, ‘জন-গণ-মন’ কেবল একটি গান নয়, এটি আমাদের পরিচয়ও। যখন আমরা এটি গাই বা শুনি, তখন গর্ব এবং ঐক্যের অনুভূতি জাগে। এই গানটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে বিভিন্ন ভাষা, ধর্ম এবং সংস্কৃতি থাকা সত্ত্বেও আমরা একসাথে আছি। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে যখনই আমরা জাতীয় সঙ্গীত শুনি বা নিজে গাই, আমরা সর্বদা দাঁড়িয়ে যাই।

এই রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button