Suvendu Adhikari on CV Anand Bose: শুভেন্দু অধিকারী সিভি আনন্দ বোসকে বাংলার প্ৰাক্তন দুই রাজ্যপালের সাথে তুলনা করলেন
বর্তমান রাজ্যপালে অসন্তুষ্ট শুভেন্দু
হাইলাইটস:
•বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসে কার্যত অসন্তুষ্ট শুভেন্দু দলনেতা
•রাজ্যের প্রাক্তন দুই রাজ্যপালের সাথে বর্তমান রাজ্যপালের তুলনা করলেন
•হাওড়ার শিবপুরের হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যপালের ভূমিকায় খুশি নন বিরোধী দলনেতা
Suvendu Adhikari on CV Anand Bose: পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সাথে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদে বসার পর বাংলার নতুন রাজ্যপাল হয়ে আসেন সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। নতুন রাজ্যপালকে বিতর্কের শুরুটা হয় তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিনেই। প্রথম সারিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আসন না থাকায় রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি বয়কট করেছিল রাজ্য বিজেপি। অন্যদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস প্রথমদিন থেকেই রাজ্য সরকারের সাথে সুসম্পর্কেরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সুতরাং বলা যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অসন্তুষ্ট হতে শুরু করেন এখান থেকেই (Suvendu Adhikari on CV Anand Bose)।
তারপর সরস্বতী পুজোর দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের। সে অনুষ্ঠানও সরাসরি বয়কট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। নিজেই টুইট করে সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডি’লিট প্রদান অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। ফলে রাজ্যপালের এই ভাষণ নিয়েও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এবার বর্তমান রাজ্যপালকে সরাসরি বাংলার প্ৰাক্তন দুই রাজ্যপালের সাথে তুলনা করলেন তিনি।
রামনবমীর দিন হাওড়ার শিবপুরে হিংসার ঘটনার পর রাজ্যপালের ভূমিকায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে, অসন্তুষ্ট তা কার্যত স্পষ্ট (Suvendu Adhikari on CV Anand Bose)। শনিবার রাতে বনগাঁর একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতাকে সাংবাদিকরা এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে, উত্তরে তিনি বলেন, “আমি রাজ্যপালকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করবো না। আমি ভারতীয় জনতা পার্টির একজন শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি সাংবিধানিক প্রধান। তাঁর কাজ পছন্দ হোক বা না হোক, তা বলার জায়গা আছে৷ আমি এখানে কিছু বলবো না।”
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “এখনও সংবিধান রক্ষায় রাজ্যের দুই প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বা গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো ভূমিকা পালন করতে পারছেন না বর্তমান রাজ্যপাল।” তাঁর এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে বর্তমানে রাজ্যপালে ঠিক মতো খুশি নন গেরুয়া শিবির। এর ফলে পাল্টা আক্রমণ চলছে ঘাসফুল শিবির থেকে। তবে এটি নতুন কিছু নয়, এর আগেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিয়ে বঙ্গ বিজেপির ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছিল। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু তাতে আমল দেয়নি গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অবশ্য এই বিষয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে ছাড়েন নি কুনাল ঘোষ থেকে শান্তনু সেন কেউই।
অন্যদিকে হাওড়ার শিবপুরে হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর রাজভবন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেও আলাদা করে এই বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গেও। ইতিমধ্যে অশান্তির তদন্তে নেমেছে সিআইডি। দু’টি এফআইআর দায়ের করে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অবহের মধ্যে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপালও। রাজভবনের বিশেষ সেল নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর গলায় পুলিশের ভূমিকার সমালোচনাও শোনা গিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলার বদলে তিনি শুধু বলেছিলেন, ‘প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি হবে।’ আর এখানেই অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। কারণ রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এমনটা করতেন না। হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে তিনি সরাসরি রাজ্য প্রশাসনকেই দায়ী করতেন। সুতরাং দেখা যাক, জল কতদূর গড়ায়!
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।