Sanskrit in Pakistan: স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার, পাকিস্তানের শ্রেণিকক্ষে শোনা যাচ্ছে সংস্কৃত, পড়ানো হবে মহাভারত-গীতা!
এই ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিয়েছে লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স। আর ৩ মাসের ওয়ার্কশপ নয়, পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ কোর্স সংস্কৃতে পড়ানো হবে।
Sanskrit in Pakistan: প্রথম সপ্তাহের এটি পড়ানোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে কী বললেন অধ্যাপক শাহিদ রশিদ?
হাইলাইটস:
- এবার পাকিস্তানের ক্লাসরুমে শেখানো হবে সংস্কৃত ভাষা
- স্বাধীনতার পর এই প্রথম পাকিস্তানে পড়ানো হবে সংস্কৃত
- আগামী দিনেও মহাভারত এবং গীতা পড়ানোরও ভাবনা
Sanskrit in Pakistan: পাকিস্তানে এবার ইতিহাস। দেশভাগের পর এই প্রথমবার পাকিস্তানি ক্লাসরুমে সংস্কৃত পড়ানো হচ্ছে। পাকিস্তানি পড়ুয়ারা পড়ছেন মহাভারত থেকে ভগবত গীতার শ্লোকও। উর্দুতে শোনা যাচ্ছে মহাভারত সিরিয়ালের ‘হ্যায় কথা সংগ্রাম কি’ টাইটেল ট্র্যাকও।
We’re now on Telegram- Click to join
এই ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিয়েছে লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স। আর ৩ মাসের ওয়ার্কশপ নয়, পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ কোর্স সংস্কৃতে পড়ানো হবে। পড়ুয়া এবং শিক্ষাবিদদের থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানানো হয় এদিন। সংস্কৃতকে ২০২৭ সালের মধ্যে বার্ষিক কোর্সে পরিণত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
We’re now on WhatsApp- Click to join
পাকিস্তানে সংস্কৃতকে পুনর্জীবিত করার উদ্যোগ নেন অধ্যাপক শাহিদ রশিদ। ফোরম্যান খ্রিস্টান কলেজে তিনি সোশিওলজি পড়ান। তাঁর সংযোজন, এই পদক্ষেপটি ছোট হলেও, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার দর্শন, সাহিত্যকে সংস্কৃত গঠন করেছে, তাই এই ভাষা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই পড়া উচিত বলে তিনি জানান।
View this post on Instagram
এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা কেন শিখব না? গোটা অঞ্চলকে এই ভাষা একসুতোয় বেঁধেছে। এখানে ছিল পানিনির গ্রাম। সিন্ধু সভ্যতার সময়ে এখানে (পাকিস্তান) অনেক কিছু লেখা হয়েছিল। আমাদেরও গ্রহণ করা উচিত এই ভাষা, এটা আমাদেরও। এই ভাষা কোনও একটি ধর্মের সাথে বাঁধা নয়।
Read More- আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের নির্বাচন, একই সঙ্গে ওই দিনই হবে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটও
উল্লেখ্য, গন্ধরায় থাকতেন সংস্কৃত ব্যকরণবিদ পানিনি, যা এখন খাইবার-পাখতুনখা। অধ্যাপক রশিদ আরও জানিয়েছেন যে, যখন প্রথমবার সংস্কৃত নিয়ে পঠন-পাঠন করা শুরু হয়, পড়ুয়ারা তখন ভয় পেত। তবে তারা দ্রুত আত্মস্থ করে নিয়েছে এই ভাষাকে। প্রথম সপ্তাহের পড়ানোর অভিজ্ঞতা তিনি ভাগ করে নিয়ে বলেন, “যখন আমি সুভাষিতা পড়াচ্ছিলাম, তখন পড়ুয়ারা অবাক হয়ে যায় যে উর্দু কতটা সংস্কৃত থেকে অনুপ্রাণিত। অনেকে তো জানতই না যে হিন্দি আর সংস্কৃত এই দুটো ভাষা আলাদা।”
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরমানি সেন্টারের ডিরেক্টর ডঃ আলি উসমান কাশমি জানিয়েছেন যে পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে বিশাল সম্ভার রয়েছে সংস্কৃত নথির। পাকিস্তানের মাটিতে এবার সংস্কৃত পড়ানো শুরু হওয়ায় সেই চিত্র বদলাবে। আগামী ১০-১৫ বছরে পাকিস্তান থেকে গীতা এবং মহাভারত বিশেষজ্ঞ উঠে আসবে বলে তাদের আশা।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।







